ইনসাইড বাংলাদেশ

৬১ ভাগ মৃত্যুই অসংক্রামক ব্যাধিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৭


Thumbnail

দেশে মানুষ মৃত্যুর শতকরা ৬১ ভাগই ঘটে অসংক্রামক ব্যাধিতে। এর মধ্যে আছে, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, নিউমোনিয়া, গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতাসহ নানা ধরনের অসংক্রামক রোগ। এছাড়া আগুনে পোড়া, আত্মহত্যাসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুও অসংক্রমণের মধ্যে পড়ে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হেলথ বুলেটিন ২০১৬-তে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

হেলথ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশে ধুমপায়ী ও ধোঁয়াবিহীন তামাকসেবী বয়স্ক লোকের সংখ্যা প্রায় চার কোটি। ৬ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত ফলমূল ও শাকসব্জী খায় না। এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ শারীরিক পরিশ্রম করে না। আর শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ বয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপ আছে।

হেলথ বুলেটিনে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রোগীদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে ওই সাত বছরের প্রায় প্রতিবছর ক্রমেই বেড়েছে হৃদরোগীর সংখ্যা। বছরগুলোতে ভর্তি হওয়া হৃদরোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪১ হাজার ৫৫৪, ৪২ হাজার ৭৭৯, ৪৩ হাজার ২৭৫, ৪৪ হাজার ৫৫৯, ৪৩ হাজার ৩৪৭, ৪৯ হাজার ২৮৯ ও ৬৩ হাজার ৩৯০। আর বহির্বিভাগে যাওয়া রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে এক লাখ ৬০ হাজার ৯, এক লাখ ৬১ হাজার ৯৫৮, এক লাখ ৬৩ হাজার ৮১৩, এক লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৬, এক লাখ ৭২ হাজার ২৬৯, দুই লাখ ৫৩৩ ও দুই লাখ ২২ হাজার ১৮৬।

বুলেটিনে দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অসংক্রামক ব্যাধি আর্সেনিক রোগীর সংখ্যা প্রতি বছরই বেড়েছে। ওই পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান যথাক্রমে ২৪ হাজার ৩৮৯, ৩৮ হাজার ৩২০, ৫৬ হাজার ৭৫৮ ও ৬৫ হাজার ৯১০। এতে বলা হয়েছে ২০১২ সালে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩১ হাজার ২৩০ জন ছিল চট্টগ্রামে। শতকরা হিসাবে যা মোট রোগীর ৪৭ ভাগ। ওই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকায় এই রোগী ছিল ১১ হাজার ৯০ জন, শতকরা ১৭ ভাগ। তাছাড়া রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও সিলেটে ছিল যথাক্রমে ৬ হাজার ১২০, ১ হাজার ৬৭৪, ১ হাজার ৫১২ ও ৬৮৬ জন।

এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি মারা যাচ্ছেন অসংক্রামক ব্যাধিতে। আর ৫ বছরের কম বয়সী শিশু বেশি মারা যাচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধি নিউমোনিয়ায়। আর মাতৃমৃত্যুও বেশি হচ্ছে প্রসবকালীন জটিলতায়, অথ্যাৎ অসংক্রামক ব্যাধিতে।

গড় আয়ু বৃদ্ধির পর্যালোচনা করে গত ৩৫ বছরের পরিসংখ্যান থেকে ব্যুরো বলেছে, বছরে পুরুষের গড় আয়ু দশমিক ৪৩ ও নারীর দশমিক ৫৩ বছর করে বেড়েছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৬ বছর।

বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দুই লাখ ২০ হাজার ৮৭২টি পরিবারের (২০১৬ সালের) জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ ও স্থানান্তর-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যুরো। দুই হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়। যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৩ এবং ১ বছরে মৃত্যু হয় ৪ হাজার ৮৩৯ জনের। এসব মানুষের মৃত্যুর পর্যালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরো এটি প্রকাশ করে।

সর্বাধিক মৃত্যুর ১৫টি কারণের তালিকাও প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে। এর শীর্ষে আছে বার্ধক্যজনিত কারণ। প্রায় ১৯ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে এই বার্ধক্যজনিত কারণে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্ট্রোক, যার ফলে ১৬ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে। তাছাড়া ৯ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে ক্যানসারে।

অন্যান্য, কারণের মধ্যে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ, নানা ধরনের জ্বর, কিডনির সমস্যা, নানা ধরনের দুর্ঘটনা, স্নায়বিক স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, পানিতে ডোবাসহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয়।

অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, স্নায়বিক স্ট্রোক, ডায়াবেটিস। প্রায় অর্ধেক অর্থ্যাৎ ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মৃত্যুর কারণ এসব ব্যাধি।

দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণও অসংক্রামন ব্যাধি। ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। অসংক্রামক ব্যাধি নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার শহরের চেয়ে গ্রামে অনেক বেশি।

শিশুমৃত্যুর অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, নানা ধরনের জ্বর, পানিতে ডোবা, অপুষ্টি, ডায়ারিয়া, জন্মগত হৃদরোগ। শ্বাসতন্ত্রের রোগ, জ্বর ও অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যুর হার গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি।

মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি হচ্ছে প্রসবকালীন জটিলতায়। শতকরা হিসাবে যা ২৮ দশমিক ১ ভাগ। আর দ্বিতীয় প্রধান কারণ গর্ভধারণকালীন জটিলতা। ২৫ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হয় অসংক্রামক এই কারণে। আর প্রসবপরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাচ্ছেন ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ মা। এটিও অসংক্রামক ব্যাধি।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন