নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
গতকাল জাতীয় সংসদে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সে ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলন অথবা জামিনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ দুটি উপায়ে মুক্ত করার কোন লক্ষন নেই।
বিএনপির অধিকাংশ নেতারা প্রকাশ্যে যেমনটি বলছেন যে, তারা বেগম খলেদা জিয়ার প্যারোল চান না। তারা জামিন চান। কিন্তু পর্দার অন্তরালে সরকারের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে দর কষাকষি চলছে। একাধিক রাজনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে বেগম খালেদা জিয়ার যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল মুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতি এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হয়ে রয়েছে। তবে এখন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকসহ অন্যান্যদের চাপ রয়েছে যেন তার প্যারোল হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৫টি শর্তে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে;
১. তিনি রাজনীতি করবেন না। প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগে তাকে মুচলেকা দিতে হবে। যেখানে আপাতত সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেবেন।
২. প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যাবেন।
৩. দেশের বাইরে গিয়ে তিনি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন রাজনীতি বা সভা সমাবেশ বা অন্য কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন না। রাজনৈতিক কোন বক্তব্য বিবৃতি তিনি দেবেন না।
৪. নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা শেষ করে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার ব্যাপারে আইনগত যে প্রক্রিয়া তা অব্যাহত থাকবে।
৫. চিকিৎসা বিষয়ে নিয়মিত আপডেট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জামা দেওয়া হবে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগ আগে থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে আসছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া যদি প্যারোলের আবেদন করেন তাহলে তা বিবেচনা করা হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির মধ্যে একটি বড় অংশ প্যারোল বিরোধী ছিল। তাদের পক্ষে বক্তব্য ছিল যে, প্যারোলে মুক্তি পেলে বেগম খালেদা জিয়ার যে অপোষহীন ইমেজ তা নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি প্যারোলের মাধ্যমে মুক্তি পেলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বিএনপির মধ্যে অনেকে বলছে, তারেক জিয়াও প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে স্বাভাবিক জীবন যাাপন করছেন। কাজেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পাওয়াটাই হলো কথা। হঠাৎ করেই গত দুই সপ্তাহ ধরে তারেক জিয়া খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে। এজন্য তিনি প্যারোলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। যদিও প্রথম দিকে প্যারোলের ব্যাপারে বিএনপির অনেক নেতাই নেতিবাচক ছিলেন। কিন্তু তারা কেউ তারেক জিয়ার সামনে কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। কাজেই তারেক জিয়ার প্রভাব বলয়ে থাকা বিএনপি হয়তো শেষ পর্যন্ত শর্তগুলো মেনে নিয়েই প্যারোলে রাজি হবেন।
এখানে একটি বিষয় প্রনিধানযোগ্য তা হলো খালেদা জিয়া প্যারোলের ব্যাপারে এখনো নেতিবাচক রয়েছেন। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তার সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন দেখা করলেও তিনি প্যারোলের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়েছেন। কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত দলের মধ্যে এই চিন্তাটা প্রবল হয় যে, বেগম জিয়ার মুক্তিই বড় কথা তাহলে শেষ পর্যন্ত হয়তো তারা প্যারোলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করলে সরকার সেটা বিবেচনা করবেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমাদের অভিনিবেশ ও কর্মস্পৃহা-শীর্ষক সভা করবে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি।
আজ বুধবার (২২ মে) বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।