নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশিলব সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এখন নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মঈন ইউ আহমেদ আগের চেয়ে বেশি অসুস্থবোধ করছেন। তার ক্যান্সারের চিকিৎসা হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মঈন ইউ আহমেদ এখন দেশে ফিরতে চান। দেশে ফেরার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রভাবশালী নানা জনের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। তবে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন যে, মঈন ইউ আহমেদের দেশের ফেরার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি চাইলেই দেশে ফিরতে পারেন। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা দ্বন্দ্ব নেই। তিনি দেশে ফিরছেন না কেন এটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে মঈন ইউ আহমেদের ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, তিনি যেহেতু শারীরিকভাবে অসুস্থ সেজন্য তিনি নিশ্চিত হতে চান যে তিনি কোন ঝঞ্জাট বা হয়রানির মুখোমুখি হবেন না এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা চান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে জবানবন্দী দেওয়ার জন্য মঈন ইউ আহমেদকে তলব করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংসদীয় কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছিল, সেখানে মঈন ইউ আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
তাছাড়া মঈন ইউ আহমেদের ঘনিষ্ঠরা এটাও মনে করেন যে, ওয়ান ইলেভেনের সময় সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি। সে সময় অনেকেই তার ওপর রুষ্ট হয়েছে। এ কারণেই হয়তো কেউ তার প্রতি প্রতিশোধ নিতে পারেন। এ কারণেই মঈন ইউ আহমেদ দেশে আসার ব্যাপার দ্বিধান্বিত। সরকারে একাধিক আওয়ামী লীগ প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, ওয়ান ইলেভেনের সময় ভিন্ন ভূমিকা পালন করা অনেকেই এখন বহাল তবিয়তে দেশে আছেন। এই সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
এক্ষত্রে আওয়ামী লীগের একজন নেতা উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, সে সময়ের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, সে সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুল মতিন চৌধুরীরা এখন দেশে অবস্থান করছেন। এমনকি বিতর্কিত উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনও এখন দেশেই রয়েছেন। কাজেই মঈন ইউ আহমেদ যদি নিজে কোন অন্যায় না করে থাকেন। তিনি যদি নিজের কাছে পরিস্কার থাকেন তাহলে দেশে আসার ক্ষেত্রে তার বাধা কোথায়?
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মঈন ইউ আহমেদ শেষ পর্যন্ত বিদেশেই থাকবেন নাকি দেশে আসবেন সেটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। তবে মঈন ইউ আহমেদের আত্মীয়রা যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন তারা মনে করছেন, তিনি ভীষণ অসুস্থ এবং তার জীবনের শেষ দিনগুলো দেশেই কাটাতে চান। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।