ইনসাইড পলিটিক্স

যুবলীগের বয়সসীমা থাকছে না?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সম্মেলন প্রায় শেষ পর্যায়। বাকি আছে শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কংগ্রেস। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কংগ্রেসের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময় আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সবচেয়ে বেশি সমলোচনায় বিদ্ধ আছে তার মধ্যে যুবলীগ অন্যতম। এই শুদ্ধি অভিযানের আগে যুবলীগই ছিল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনের একটি।

কিন্তু এই সংগঠনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি টেন্ডারবাজি, ক্যাসিনো বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উত্থাপন হয়েছে। এই অভিযোগের কারণে এই ভ্রাতৃপ্রতীম সহযোগি সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এখন জেলে। সংগঠনের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। যুবলীগের এই টালমাটাল ঘটনা প্রবাহে একটি বিষয় সামনে এসেছিল তা হলো যুবলীগের বয়স সীমা কত হতে পারে?

যুবলীগের সদ্য অব্যহতি প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বয়স ৭০। দলের যারা প্রেসিডিয়ামে আছেন তাদের অধিকাংশের বয়সই ষাটোর্ধ। গণমাধ্যমে এই প্রশ্ন উঠেছিল যে, ষাটোর্ধ কেউ যুবলীগের নেতৃত্ব পেতে পারে না। এই প্রেক্ষিতে যুবলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই বৈঠকে যুবলীগের জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সেটা করা হয়েছিল পঞ্চান্ন বছর। যদিও দেখা যাচ্ছে যদি পঞ্চান্ন বছর বয়স যদি বহাল থাকে তাহলে দলের প্রেসিডিয়ামের ৮০ ভাগ সদস্যই বাদ পড়ে যাবেন। সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে।

আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রায় পুরোটাকে বাদ দিয়ে আনকোরাদের নিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করলে যুবলীগ কি সংগঠন হিসেবে টিকে থাকতে পারবে? যুবলীগ কি আগের মতো যুবসমাজকে সংগঠিত করতে পারবে? আর এই প্রশ্নের পেছনেই বয়সসীমা আরও এক মেয়াদে শিথিল করার বিষয়টি সামনে এসেছে।

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, ৫৫ বছরের যে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তা চূড়ান্ত হবে কংগ্রেসে। সেটি এ বছরের জন্য প্রয়োগ নাও হতে পারে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন যে, এখন যুবলীগকে পরিশুদ্ধ করা দরকার। যুবলীগের মধ্যে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, যারা যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে বিচিন্ন অপকর্ম করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পুরো যুবলীগের কাঠামোকে পরিশুদ্ধ করা প্রয়োজন। এটা করার জন্য এমন ব্যাক্তি দরকার যারা যুবলীগের খোলনলচে চেনেন। যে যুবলীগের সবার অন্দরবাহিরের খবর রাখেন। কিন্তু বাইরে থেকে কাউকে যদি নেতৃত্ব দেওয়া হয় তাহলে তিনি এই বিষয়টি সম্বন্ধে পুরোপুরি ওয়াকিবহল হবেন না, যুবলীগের ভেতরে যে সমস্ত অপকর্মকারীরা রয়েছেন তারা বহাল তবিয়তেই থাকবেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এবার বয়সসীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে স্রোতও রয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্য একটি মহল মনে করছে যে, বয়স সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কাজেই এখন যদি বয়সসীমা শিথিল করা হয় তাহলে সেটা হবে কথার বরখেলাপ। সেটা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি সুবিচার করা হবে না।

তারা মনে করছে যে আওয়ামী যুবলীগ একটি বড় সংগঠন। যদি দলের থেকে যে সমস্ত মুষ্টিমেয় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্বৃত্তদেরকে বের করে দেওয়া হলেও আওয়ামী যুবলীগের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে। তখন সাধারণ মেধাবী তরণরা যুবলীগে যোগ দিতে উৎসাহিত হবে। আর এই বিবেচনা থেকেই তারা বয়সসীমা অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়োজন অনুভব করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বসয়সীমার ঘোষণাটি যেহতু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তাই  এ ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ তিন দিনের সফরে দুবাই গিয়েছেন এবং ফিরে এসেই তিনি কর্মব্যস্ত সময় কাটাবেন। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস দিবসে দিনভর  ব্যস্ততা রয়েছে। ২২ তারিখে এক দিনের সফরে তিনি কলকাতার ইডেন গার্ডেনে যাবেন । সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের দিবা-রাত্রীর টেস্ট তিনি উদ্বোধন করবেন। এর পরের দিনই যুবলীগের সম্মেলন। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রী বয়সের ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।

শেষ পর্যন্ত বয়স থাকবে কি থাকবে না তার উপর নির্ভর করছে যুবলীগের অনেক কিছু। কারণ বসয়সীমা যদি শিথিল করা হয় হয়. তাহলে যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব থেকে কাকে বাছাই করা হবে? যারা নতুন নেতৃত্বের জন্য যারা যুবলীগের বদনাম গুলোকে কাটিয়ে নতুন আঙ্গিকে যুবলীগকে জনগণের সামনে আনবে।

আর বেধে দেওয়া বসয়সীমা অর্থাৎ ৫৫ বছরের মধ্যে যুবলীগের নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে হয় তাহলে এই যুবলীগ পুরোটাই একটি নতুন যুবলীগ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোন পথে যাবে যুবলীগ সে সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জাপুরে বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আরিফ এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হয়রত আলী মিঞা সম্পাদক এসএম মহসীন স্বাক্ষরিত পৃথক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়।

সতর্ক বার্তাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, সদস্য আলী হোসেন রনি, প্রচার সম্পাদক সাঈদ আনোয়ার, গোড়াই ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অকরাম মল্লিক ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক তপন হাসান খানসহ ২০ নেতা।


টাঙ্গাইল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবার তাপস-খোকন বিরোধ, আওয়ামী লীগে অস্বস্তি

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগে কোন্দল বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যেই ঢাকার আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাঈদ খোকনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য আকার রূপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুটির মেয়রদের মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটির দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এখন তাপসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র তাপস দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদ খোকনকে কোণঠাসা করার জন্য প্রকাশ্য তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই দুই নেতার বিরোধ এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে এক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যে সময় সারা দেশে আওয়ামী লীগ কোন্দল নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে?

সাইদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র ছিলেন। তার মেয়র থাকা অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নানা রকম অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তার সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে আর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে ধানমন্ডি এলাকার এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চার বছর অতিক্রম করেছেন। তাপস যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছেন এমনটি নয়৷ তবে দুর্নীতি বা অন্যান্য অভিযোগে তিনি সাঈদ খোকনের মত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হননি।

অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্ব গ্রহণ করে তাপস সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সেটি করতে যেয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অনুগত বেশ কয়েক জনকে চাকরিচ্যুত করেন। তিনি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বেশ প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তার কিছু নীতি এবং কর্মসূচির বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এরকম বিরোধের জেরে এক সময় সাঈদ খোকনের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে। এবং দুজনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ সাময়িকভাবে থেমে যায়।

আরও পড়ুন: অর্থকষ্টে বিএনপি

সাইদ খোকন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে তিনি মেয়র হিসেবে তার কার্যক্রম এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ এই সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বর্তমান মেয়রের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মেয়রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

ধারণা করা হচ্ছে যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেই সাঈদ খোকন সমালোচনার তীর ছুড়েছেন তাপসের দিকে। এখন তাপস যে তাকে পাল্টা আঘাত হানবেন এটা বলাই বহুল্য। স্থানীয় ঢাকাবাসীরা মনে করছেন, ফজলে নুর তাপস মেয়র হওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতি কমিয়েছেন। তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ এবং কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। দুজনেরেই ভালো মন্দ আছে। তবে সাঈদ খোকন মেয়র থাকা অবস্থায় দুর্নীতির একটি বড় ধরনের পার্সেপশন সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল যেটি তাপসের সময় তৈরি হয়নি। এখন মেয়র হিসেবে আবার দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে ফিরে আসতে চাইছেন সাঈদ খোকন। সে জন্যই তিনি বর্তমান মেয়রকে সমালোচনা করছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

তবে তাপস এবং সাঈদ খোকনের এই বিরোধ আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এই সময় আওয়ামী লীগের দই গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরোধ সরকার সম্পর্কে এবং দলের ভিতর ভুল বার্তা দিবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 


আওয়ামী লীগ   সাঈদ খোকন   শেখ ফজলে নুর তাপস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন