নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
চলতি এসএসসি পরীক্ষায় গণিতের (আবশ্যিক) প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবরে এখনই পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, “এ বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে, তদন্ত করা হবে। তারপর সেই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ো হবে।”
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের ফলে পরীক্ষায় কী প্রভাব পড়েছে, কতটুকু পড়েছে, আংশিক না সার্বিক তা বুঝেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
যুগ যুগ ধরে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “এর মূল উৎস ছিল বিজি প্রেস। এক সময় বিজি প্রেসের একটি সিন্ডিকেট প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল।”
“সে সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন সেট সিস্টেম চালু করে নিরাপদে জেলায় জেলায় প্রশ্ন পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।”
বর্তমানে কিছু শিক্ষক এমন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবচেয়ে আস্থার জায়গা হচ্ছে শিক্ষকরা। এদের মধ্যেও কিছু দুর্নীতিবাজ ঢুকে গেছে। এদের হাত ধরেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।”
যারা প্রশ্ন ফাঁস করছে এবং যে অভিভাবক টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কিনছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বারের মতো রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ঢাকাসহ তিনটি বোর্ডের অধীনে এদিন অনুষ্ঠিত গণিত (আবশ্যিক) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন ফাঁসের এ অভিযোগ স্বয়ং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানও স্বীকার করেন।
পরে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।