নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতি এক নারীকে অস্ত্রোপচার করার ঘটনায় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি রিটে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বেআইনি ও অবহেলার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য সচিবসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এ রিট করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ৪ সেপ্টেম্বর প্রসূতির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নেওয়ার আইনি নেটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার কোনো জবাব না পাওয়ার প্রসূতি আইনজীবি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন।
আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন জানান, প্রসবজনিত বেদনা নিয়ে গত ৮ জুন আমার মক্কেল রিমা সুলতানা নিপা নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ পরদিন ৯ জুন সিজার করা বাদ্ধতামূলক জানায়। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না।
১২ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে প্রসূতিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ১৪ জুন প্রসূতির সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দিলে আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননি, বরং প্রসূতির পিতার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক নিয়ে এসে তার চিকিৎসা করা হয়। তবে ওই চিকিৎসকরা নিপার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক জানিয়ে তাকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে ২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এরপর সুস্থ হন তিনি।
এই হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, ‘তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না।’ সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের এমনডি ফারজানা আক্তার ইতির কাছে দাবি করা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস
মন্তব্য করুন
সরকারি সফর যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র রাজিব হত্যা ও তানভীর হোসেন তান্নার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) সকালে নাগরপুর সদর সড়কে (রিক্সা স্ট্যান্ড) দাঁড়িয়ে প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় নিহত রাজিবের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সন্তানকে হত্যা করে আমার বুক খালি করা হয়েছে। আমি হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।’
নাগরপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন জানায়, ‘একই দিনে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নৃশংস ভাবে হত্যা ও আরেকজন সন্তানের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই তীব্র গরমের মধ্যেও সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জড়িত ও মূল পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস আলী, আলম মিয়া, নজরুল ইসলাম বাদশা খন্দকার আ. করিম, আক্তার হোসেন ভূইয়া, মো: নাজমুল হোসেন খান মো. আব্দুল মতিন ছামি, টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি আজিজুল হক বাবু সাধারণ সম্পাদক শাকিল কবির সোহেল যুগ্ন সম্পাদক মো মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সহ উপজেলার অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সকল ইউনিয়ন পরিবার পরিবারের সদস্য বৃন্দরা।
উল্লেখ্য, গত ২ মে তারিখে ভাদ্রা ইউনিয়নে গাছের বেল পাড়াকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন নিহত হয়। একই দিনে সলিমাবাদ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাআলম মিয়া ছেলে তানভীর হোসেন তান্না উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এবং বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
মুক্তিযুদ্ধা পুত্র হত্যা মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জে
জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ কর্মশালার আয়োজন
করে।
নিরাপদ
খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের আওতায়
অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য
কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।
গোপালগঞ্জের
জেলা প্রশাসক কাজী মহবুবুল আলমের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় গোপালগঞ্জ
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.
খায়রুল আলম ও শুভেচ্ছা
বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য
কর্তৃপক্ষের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ
খাদ্য কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন।
কর্মশালায়
জনপ্রতিনিধি, হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা
অংশগ্রহণ করেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্মশালা জনসচেতনতা
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় বীমার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও বীমা গ্রহিতাদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ‘প্রগেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জমাকৃত টাকা পেতে গ্রাহকরা দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে নওগাঁ শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় প্রগেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস। ভবিষ্যতের জন্য শত শত গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা সঞ্চয় বা জমা করেছিল। অনেকের বাৎসরিক মেয়াদ পূরণ হয়েছে আবার অনেকের এখনও মেয়াদ পূরণ হয়নি।
যাদের বীমার মেয়াদ পূরণ হয়েছে তারা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা নেয়ার জন্য অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। প্রতিদিনই গ্রাহকরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীরা মধ্যে পড়তে হয়েছে।
জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে কৃষক সাজেদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য এ বীমাতে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন। গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তার বীমার মেয়াদ পূর্ণ হয়। বীমাতে জমাকৃত টাকা পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ধর্না দিলেও মিলছে না বীমার
অর্থ।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব গ্রাহকদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের বিষয় অফিসকে অবগত করা হয়েছে। ফান্ড না পাওয়া পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
মন্তব্য করুন