নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯
রিজভীকে তারেক জিয়া ‘বলদ’ বললেন আর জবাবে রিজভী বললেন ‘আহাম্বক’। বিএনপির মধ্যে এ খবর এখন চাওর।
বিএনপির আবাসিক নেতা রুহুল কবির রিজভী দুদিন ধরে নিরব। এ সময় তিনি সংবাদ সম্মেলনেও কোনো বক্তব্য রাখছেন না। মাঝে মধ্যে ঝটিকা মিছিল করলেও সেটিও এখন বন্ধ। বাংল ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনকে টেলিফোন করে বলেছেন, এই বলদটাকে চুপ থাকতে বলেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তারেক জিয়া ডিসেম্বর মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের টার্গেট করেছে। এজন্য তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং আন্দোলনের জন্য করণীয় নির্ধারণ করছেন। তারেক জিয়া চাইছেন এই সময়ের মধ্যে যেন উস্কানিমূলক অর্বাচিন কথাবার্তা না বলা হয়। সরকারের ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয়।
এই সময় রিজভীর বিভিন্ন বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং এটার সুযোগ নিয়ে সরকার ধরপাকর করতে পারে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নজরদারিতে আনতে পারে এমন ধারণা করে জিয়া রিজভীকে চুপ থাকতে বলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তিনি টেলিফোনে বলেন তার দায়িত্ব জ্ঞানহীন কথাবার্তা, দলের কার্যালয়ে বসে থাকা এবং সংগঠনের জন্য কোনো কাজ করতে পারে না এ রকম বলদকে এখন থামাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। যারা মাঠে কাজ করতে পারে, যারা আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারবে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। ওকে (রিজভী) দলীয় কার্যালয়ে চুপচাপ বসে থাকতে বলেন। জানা গেছে যে, এই কথাটি বিএনপির মধ্যে চাউর হয়ে গেছে। রিজভী এই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেকে খালেদা পন্থী হিসেবে মনে করেন। তিনি মনে করেন, তারেক জিয়ার ‘আহাম্বকি’র কারণেই বিএনপি ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে গেছে এবং বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়েছেন। সে কারণেই বিএনপির এই অবস্থা। এখন বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন, রিজভী কি আসলেই ‘বলদ’ নাকি তারেক জিয়া ‘আহাম্বক’?
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।