নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
আগামী ৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আপিলের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে চিকিৎসকদের যে প্যানেল গঠিত হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায়, সেই বোর্ড স্বাস্থ্য রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবে। ইতিমধ্যে আদালতের আপিল বিভাগের নির্দেশনা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষর কাছে পৌঁছেছে। আগামীকাল মেডিকেল বোর্ড এই রিপোর্ট চূড়ান্ত করবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এটি আদালতের বিষয় নয়, খালেদা জিয়ার জামিনকে ইস্যু করে সারাদেশে একযোগে আন্দোলন এবং নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির মধ্যে এটি নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি সহিংস পথেই যাচ্ছে। এমনকি হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচী নেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে যে, তারা এক ধরনের আতঙ্ক তৈরীর চেষ্টা করবে। আবার ২০১৪ সালের অবস্থানে তারা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, ২০১৪ সালে আমরা ব্যার্থ হয়েছিলাম ঢাকায় আমরা কিছু করতে পারিনি এজন্য। সেই সময় সরকারের প্রতি জনগনের সমর্থন ছিল এটি বাস্তবতা। কিন্তু এখন সরকারের প্রতি জনগনের সমর্থন নেই। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন যে, প্রয়োজনে তারা ৩৫ লাখ লোক কারাবরণ করবে।
অর্থাৎ বিএনপি যে সহিংস পথে যাবার একটা গোপন প্রস্তুতি নিচ্ছে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন দ্বিধা নেই। বিএনপির একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি পাড়ায়-মহল্লায় গ্রুপ বৈঠক করছে এবং সেই বৈঠকগুলোতে ঝটিকা আন্দোলন বা অকস্মিক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইসাথে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও সহিংস আন্দোলনকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই খবরকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। তিনি বলেন যে, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগে আমাদের বলেছেন যে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই। তিনি বলেন যে, আমি আশা করি যে, বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন, তিনি গুরুত্বর অসুস্থ।
অন্য একটি সূত্র অবশ্য বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ঘিরে বিএনপি বাইরে যতই আন্দোলন-সংগ্রাম বা সহিংস রাজনীতিতে ফিরে যাবার চিন্তাভাবনা করুক না কেন, আসলে বিএনপি গোপনে সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে। বেগম খালেদা জিয়ার ইতিমধ্যে ৩৭ টি মামলার মধ্যে ৩৫ টি মামলায় জামিন হয়ে গেছে। এখন শুধু যে দুটি মামলায় তিনি দণ্ডিত হয়েছিলেন- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাঁর জামিন বাকী আছে। এই দুটি মামলায় জামিন হলে তাঁর আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হতে কোন বাঁধা নেই। ধারণা করা হচ্ছে যে, যদি সরকারের সাথে সমঝোতা চূরান্ত রূপ উপনিত হয় তাহলে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের ভিত্তিতে আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হতেও পারে। আর সে কারণেই বিএনপি এখন আন্দোলনের চেয়ে আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সমঝোতার পথে হবে নাকি সহিংসতার পথে হবে সেই প্রশ্ন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক রয়েছে।
বিএনপির একটি অংশ বিশেষ করে তারেক জিয়া খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেই সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ২০১৪-১৫ প্রেক্ষাপটে ফিরে যেতে চায়। অন্যদিকে খালেদা পন্থীরা চাইছেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিটাই হওয়া উচিত প্রধান বিষয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর ধাপে ধাপে আন্দোলন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
তবে সহিংসতার পথে যাবে নাকি সমঝোতার ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে তা বোঝা যাবে ৫ ডিসেম্বর। এ দিন আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।