নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের প্রচারণা যতই জমে উঠছে ততই বিএনপির দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাবা প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দুর্নীতির বিষয়গুলো সামনে চলে আসছে। সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন অখণ্ড ঢাকার শেষ মেয়র। সাড়ে নয় বছর তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এই সময় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ছিল দুর্নীতির আখড়া। সাদেক হোসেন খোকা যখন মেয়রের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তখন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কোষাগার শুন্য ছিল। ওয়ান ইলেভেনে সাদেক হোসেন খোকা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সাদেক হোসেন খোকা সিটি কর্পোরেশনে ‘মিস্টার টেন পার্সেন্ট’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইসমত আরা, মেয়ে সারিকা সাদেক, ছেলে ইশরাক হোসেন (যিনি বর্তমানে মেয়র প্রার্থী) এবং আরেক ছেলে ইশফাক হোসেনরা এই দুর্নীতির উচ্ছিষ্টভোগী ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনে এটাও বলা হয়েছিল, সাদেক হোসেন খোকার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জল পেশায় ব্যবসায়ী। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাদেক হোসেন খোকা অসাধু উপায়ে আয় করা সম্পদ তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জল এবং বন্ধু জামাল উদ্দীন বাবলুর নামে রেখেছিলেন। নারায়নগঞ্জের গাউছিয়া বাজারের কাছে ডায়নামিক মিলস নামে আনোয়ার হোসেনের নামে একটি কারখানা আছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় চারশত বিঘা জমি ক্রয় করা হয়েছে।
একইভাবে বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে চারশো বিঘা জমি ক্রয় করা হয়েছে। ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রয়েছে যার মূল্য কোটি কোটি টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বাদী হয়ে রমনা থানায় ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলায় সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়।
এছাড়াও সাদেক হোসের খোকার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হয়। তিনি মেয়র থাকা অবস্থায় ৬০ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে ১৩ আগস্ট তৎকালীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার পরপরই সাদেক হোসেন খোকা ১ কোটি ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৭ টাকা ৮৫ পয়সা পরিশোধ করেন। যেই আয়করের তথ্য আগে তিনি গোপন করেছিলেন।
এছাড়া বনানী সুপার মার্কেটে কার পার্ক ইজারা দেওয়ার অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল আর এই মামলায় সাদেক হোসেন খোকা দণ্ডিত হয়েছিলেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যতই ধেয়ে আসছে তখন সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তারা কি সেই আবার দুর্নীতিবাজের স্বর্গরাজ্যে ফিরে যাবে। সাদেক হোসেন খোকা যেভাবে সিটি কর্পোরেশনে সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেভাবে সিটি কর্পোরেশনের সম্পদ উজাড় করে নিজের এবং তার পরিবারের পকেট ভারী করেছিলেন ইশরাককে নির্বাচিত করে সিটি কর্পোরেশনের অবস্থা কি সেভাবে ফিরিয়ে আনবেন? ভোটারদের মধ্যে দুর্নীতির ইস্যুটি এভাবেই ক্রমশ ডালপালা মেলছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।