ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় মোদিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

ভারত বিভিন্ন রাজ্যের চাহিদা মেটাতে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছে, সেই পেঁয়াজের বেশিরভাগটা এখনো গুদামেই রয়ে গেছে। কারণ, অধিকাংশ রাজ্য জানিয়েছে তাদের আর পেঁয়াজের দরকার নেই। এই উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ কিনতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানাল ভারত।

গুদামে থাকা পেঁয়াজ এখন পচতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ এমন এক পণ্য যা কিনা এক সপ্তাহের মধ্যেই ৩৫ শতাংশ পচে যায়। ইতোমধ্যে নিরুপায় হয়ে ২২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণাও দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার অনুষ্ঠিত এক সভায় কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী বাংলাদেশের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হকের কাছে প্রস্তাবনাও উত্থাপন করেছে। দেশের চাহিদা মেটানোর জন্যে আমদানি করা পেঁয়াজের উদ্বৃত্ত বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভারতীয় কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১২ জানুয়ারি নাগাদ ভারতে আমদানি করা পেঁয়াজের ১৮ হাজার মেট্রিক টন এসে পৌঁছায়। দেশটি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করে। যে পরিমাণ পেঁয়াজ এসেছে তার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৫ হাজার মেট্রিক টন মুম্বাই জেএনপিটি বন্দরে পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্য তাদের আর পেঁয়াজ দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য যে চাহিদা দিয়েছিল কেন্দ্রকে তাও তুলে নিয়েছে। মহারাষ্ট্র ১০ হাজার মেট্রিক টন, আসাম ৩ হাজার, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০, কর্নাটক ২৫০ এবং উড়িষা ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা তুলে নিয়েছে।

গত বছরের শেষ দু মাসে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের বাজারে এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিকেজি ১০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থা সামলাতেই পেঁয়াজ আমদানি করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, তবে ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই সভাতেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইতোমধ্যে চাইনিজ পেঁয়াজ আমদানি করেছে বাংলাদেশ। কাজেই ভারতের এই প্রস্তাবনায় বিনামূল্য পরিবহনের মতো বিশেষ সুবিধা থাকা প্রয়োজন।

ওই প্রতিবেদনে মোদি সরকারের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়ার কথাও তুলে ধরা হয়।

ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের সফরের সময় মোদি সরকার দেশটিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। ভারতের এমন পদক্ষেপে ‘অসন্তুষ্টির’ কথা জনসমক্ষেই প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে কিছু না জানিয়ে ভারতের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা এবং তিনি রান্নায় শেফকে কোনো পেঁয়াজ না ব্যবহারের কথা জানান, বলা হয় প্রতিবেদনে।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৬০ টির অধিক ভূমিকম্পে কাঁপল ইতালির নেপলস

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইতালির নেপলস। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরে শহরের আশপাশে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে এসব ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পর ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার বাড়িঘর থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বহু স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইতালির নেপলসের আশপাশের এলাকায় একের পর এক ভূমিকম্পের পর বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এবং রাতে সেখানে ১৬০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ছিল . মাত্রার। দেশটির পোজুলি শহরের কাছে স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্স অ্যান্ড ভলকানোলজি (আইএনজিভি) বলেছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে এটিই ছিল এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে যে নিম্ন-স্তরের ভূমিকম্প হয়েছে তার কারণে বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। স্থানীয় একটি আউটলেট নেপলসের একজন বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তারা কখনও এত শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করেনি।


ভূমিকম্প   ইতালির নেপলস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্ডিয়া জোটের মানসিকতা বরাবরই নারীবিরোধী: নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ইন্ডিয়া জোটের মানসিকতা বরাবরই নারীবিরোধী। এই জোটের শরিকরা সংসদে নারী আসন সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিল। যখনই এদের সরকার এসেছে, নারীদের জীবন কঠিন হয়েছে। বারাণসীর মানুষ তো জানেনই, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের জঙ্গল-রাজের কথা। আমাদের মা-বোনদের ঘরের বাইরে পা ফেলা মুশকিল ছিল। আমাদের কন্যাদের লেখাপড়া ছেড়ে বাড়িতে আটকে থাকতে হতো নিরাপত্তার অভাবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এসব কথা বলেন মোদি।

নারীদের ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার কী কী করেছে তার খতিয়ানও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন মোদি। কংগ্রেস সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, গত দশ বছরে এই প্রথম সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্তের একেবারে সামনে জায়গা করে নিয়েছেন নারীরা। আপনারাই বলুন, যখন নারী ছাড়া কোনো সংসারই চলে না, তখন আপনাদের ছাড়া একটা সরকারই বা চলবে কী ভাবে? গত ষাট বছরে এই সহজ কথাটাই সরকারগুলো বোঝেনি। কংগ্রেস-এসপি সরকারেরা কী দিয়েছে নারীদের? শুধু অবহেলা আর নিরাপত্তাহীনতা। 

রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের হার কমতে থাকায় দৃশ্যতই চিন্তিত মোদি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আত্মতুষ্টির জেরে বিজেপি কর্মীদের অনেকে নিষ্ক্রিয়। ফলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত যাচ্ছেন না। তাতেই চাপ বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের।


ইন্ডিয়া জোট   নারীবিরোধী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মঙ্গলবার (২১ মে) এ মন্তব্য করেন সের্গেই লাভরভ। খবর রয়টার্সের।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অভ্যন্তরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। 

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তৈরি উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ ইরানে সরবরাহের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

রাইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল ২১২ মডেলের। গত শতকের সত্তরের দশকে ইরান এই মডেলের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার কেনে। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শাহের পতন ঘটার পরও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আসছে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্র ও বড় বড় কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের পক্ষে তাদের এসব উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ পাওয়া বা হালনাগাদ করা কঠিন হয়ে উঠে।

গত রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।

সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরার রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুতে একদিকে যখন শোকের ছায়ায় ভাসছে বিশ্বের একাংশ অন্যদিকে উল্লাসেও ফেটে পড়েছে আরেক অংশ। যেখানে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনগণ, ইসরায়েল-আমেরিকাবিরোধীরা রাইসির মৃত্যুতে অনেকটাই হতভম্ব সেখানে খোদ ইরানে রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানিদের একাংশ।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে একসময় রাইসি নৃশংসতা চালিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে দেশটির হাজার হাজার কারাবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে যারা আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মিনু মাজিদির মেয়েরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যারা হতাহত হন তাদের মধ্যে একজন মিনু মাজিদি (৬২)। রাইসির মৃত্যুতে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

তাদের উদযাপনের পরেই দুই ইরানি নারী মারসেদেহ শাহিনকার ও সিমা মোরাদবেগি, নেচে এবং হাসি দিয়ে রাইসির মৃত্যুর সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাইসির মৃত্যু ঘিরে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ভিডিও- এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনেই অনেকে উদযাপন শুরু করে। এ নিয়ে তেহরানের এক বাসিন্দা তাদের কাছে ভিডিও পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসুন রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সুসংবাদ উদযাপন করি। এ ছাড়া আরও অনেক ভিডিওতে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে অনেককে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এক ব্যবহারী এক্সে লিখেছেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একমাত্র দুর্ঘটনা যেখানে কেউ বেঁচে গেলে মানুষ চিন্তায় পড়বেন। হ্যাপি ওয়ার্ল্ড হেলিকপ্টার ডে। অন্যদিকে রাইসির বিমান দুর্ঘটনার খবরে লন্ডনে ইরানি প্রবাসীরাও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

ইরানি প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবার তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।

এতে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী আসমা বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবেন; যার জন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর ফলে তিনি সরকারি কিংবা জনসংশ্লিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি বলেছিলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন তা শনাক্ত করায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত সাবেক এই ব্যাংকার বিভিন্ন ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দেশটিতে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়ালেও দেশটিতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

সিরিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরিয়া ট্রাস্ট ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করেন আসমা আল-আসাদ। তার এই প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে সিরিয়াজুড়ে অনেক দাতব্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অন্যান্য সংস্থা।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছর প্রথমবারের মতো স্বামী বাশার আল-আসাদের সাথে বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান আসমা আল-আসাদ। ওই সফরে তিনি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


লিউকেমিয়া   সিরিয়া   ফার্স্ট লেডি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন