নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০
আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচারী একনায়ক জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী। এই জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি সাদামাটা কর্মসূচি গ্রহণ করে। দিনটিতে সকাল বেলা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ছাড়া আর তেমন কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি।
জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং আদর্শিক নেতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা এবং কুষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে রাজনীতির ধারা সূচনা করা হয়েছিল সেই রাজনীতির ধারার নেতা হলেন জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাকে। তার হাত ধরেই জামাত ইসলাম বাংলাদেশে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের নরখাদক গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্টে বাংলাদেশে এসেছিল। আর বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে একাট্টা করেছিলেন জিয়া। সেই জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার পরিবারের দুইজন সদস্যের কেউই তাকে স্বরণ করেননি।
বর্তমানে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। হাসাপাতালের কেবিনে আজ তিনি সারাদিন জিয়ার নামটি উচ্চারণও করেননি। এমনটি আজ যে তার স্বামীর জন্মদিন এটা তিনি ভুলে গেছেন। আজ নার্সরা অন্তত তিনবার তার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করেছে, তার ডায়বেটিস পরীক্ষা করেছে। এছাড়া চিকিৎসক দল একবার তার সঙ্গে দেখা করেছে। তাদেরকে তিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানা কথাবার্তা বলেছেন, কিন্তু একবারও তিনি তার স্বামী জিয়াউর রহমানের নাম নেননি এবং আজকে যে তার জন্মদিন সেটিও তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে শনিবার তারেক জিয়ার জুয়া খেলার দিন। তিনি প্রতি শনিবার লন্ডনের স্টার্টফোর্ডের ওয়েস্ট ফিল্ডে ক্যাসিনোতে যান এবং সেখানকার তিনি প্লাটিনাম মেম্বার। শনিবার সারারাত জুয়ায় মাতেন। রোববার সেখানকার একটি হোটেলে তিনি রাত্রীযাপন করেন। পিতার জন্মদিনে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। দুপুরে তার সঙ্গে বিএনপির নেতৃবৃন্দ দেখা করতে যান, তারা আশা করেছিলেন তার পিতার জন্মদিন উপলক্ষে হয়তো কোন অনুষ্ঠান বা কিছু করবেন কিন্তু তারা দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন এবং জানানো হয় তিনি তখনো ঘুমিয়ে আছেন, আজকে সন্ধ্যা নাগাদ তিনি বাসায় ফিরবেন।
যাকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে, বিএনপির অন্তসারশূণ্য রাজনীতি যাকে ঘিরেই বেঁচে আছে সেই জিয়াউর রহমানের পরিবারের দুই সদস্যই তাকে ভুলে গেছে, দল তাহলে কিভাবে জন্মদিন পালন করবে! আর এ কারণেই জিয়ার জন্মদিনে নেতাকর্মীরা ছিল আগ্রহ ও উৎসাহহীন।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।