নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০
নির্বাচনে জিততে সরকার তার সকল অর্গান ব্যবহার করছে এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেছেন। মনগড়া কথা না বলে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২৫শে জানুয়ারি) দুপুরে মহাখালি ব্র্যাক ইন সেন্টারে নারী গাড়ি চালকদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র অভিযোগ নির্বাচনে জিতে সরকার তার সবগুলো অর্গান ব্যবহার করছে। এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি প্রমাণ নিয়ে আসুক কোথায় কোথায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুক সেটা দেশবাসী জানুক। তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসুক কোথায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে কোথায় আচরণ বিধি লংঘন হচ্ছে। মনগড়া কথা বললে তো হবে না তারা সবসময় অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে।
অসুস্থতা নিয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এটাতো সরকারের বিষয় নয় আদালতের বিষয়।
এখানে সরকারের কোনো সহমর্মিতার বিষয় থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সহযোগিতা সহমর্মিতার কোনো ঘাটতি তো নেই। তবে আমরা সহানুভূতি দেখিয়ে আইনকে প্রভাবিত করতে পারবো না। কাজেই এটা আইনগত বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
এর আগে ব্র্যাকের প্রশিক্ষিত নারী গাড়ি চালকদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্য তিনি বলেন, রাজনীতি এখন বেপরোয়া হয়ে গেছে। রাস্তায় গাড়ি চালকরা যেমন বেপরোয়া থাকে তেমনি পথচারীরাও বেপরোয়াভাবে রাস্তা পারাপার হন।
ব্র্যাকের গাড়িচালক প্রশিক্ষণের উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ব্রাক সব সময় তৃণমূল নিয়ে কাজ করে। তাদের এই গাড়িচালক প্রশিক্ষণ তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
নারী প্রশিক্ষণার্থীদের এই ৮ম ব্যাচে মোট ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। উত্তরার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে ৩ মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণ শেষে এদের শতভাগই উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং লাইসেন্স পেয়েছেন।
এ পর্যন্ত এই স্কুল থেকে অপেশাদার মৌলিক গাড়িচালনা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৮ জন, যার মধ্যে ১ হাজার ৯৭৩ জন নারী। পেশাদার চালকের প্রশিক্ষণ পেযেছেন ১০ হাজার ৩৭৩ জন, যার মধ্যে ২১৪ জন নারী। ৫৯৯ জন নারীকে মোটর সাইকেল চালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এদের অনেকেই সরকারি, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থা ও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে চাকরি করছেন।
২০১১ সাল থেকে ব্র্যাকের কমিউনিটি রোড সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের আওতায় এ পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ সড়ক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ পেয়েছে। ৫ হাজার ৪৫১ জন স্কুলশিক্ষক এবং ৪ লাখ ৯৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন