নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
মালয়েশিয়া থেকে শুকনো মাশরুম আমদানির ঘোষণা দিয়ে আনা চালানে এক কনটেইনার সিগারেট পেয়েছে কাস্টমসের কর্মকর্তারা। কম শুল্কের পণ্যে ঘোষণার আড়ালে প্রায় ৪০০ গুণ বেশি শুল্কের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। সন্দেহ থাকায় পণ্যটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় এমন প্রতারণার সন্ধান পায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। ওই চালানে প্রায় ২১ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল।
জানা গেছে, র্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে ৭ হাজার ৩৩৫ ডলার দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে ১৬ হাজার ৩০০ কেজি ড্রাই মাশরুম আমদানি করার কথা ছিল। কিন্তু আমদানিকারক সেটি না করে এনেছেন সিগারেটের এক বড় চালান-যা আমদানি নিষিদ্ধ।
ওই এক কনটেইনার সিগারেটের মধ্যে ৭৮১টি বড় কার্টন রয়েছে। এতে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার শলাকা রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। কিন্তু এখানে প্রায় ২১ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিতে চেয়েছিল ওই চালানে।
একটি সূত্র জানায়, কনটেইনারটি লক থাকা সত্ত্বেও ডেলিভারি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। প্রতারকরা জাল কাগজপত্র বের করে এসব করেছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে কাস্টমস।
বিল অব এন্ট্রি থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। এ চালানের মাত্র ৭ হাজার ৩৩৫ ডলার ব্যয়ে ১৬ টন মাশরুম আমদানীর ঘোষণা দেয় আমদানিকারক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ‘বাংলা বিনা এন্টারপ্রাইজ’। এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ডবলমুরিং থানার সিডিএ আর /এ রোড ১৫, হাউস ৩১৮। ওই চালান ছাড়ের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডের সিএন্ডএফ খায়ের ব্রাদার্স (সি নং ২৬৬০৮)।
সিগারেটগুলো মালয়েশিয়ার নিউ সিং করপোরেশন থেকে আমদানি করা হয়। এগুলো ‘এমভি নর্ড টাইগার’ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানিকারক কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ২০৯৮ শাখা থেকে ১৯০১০১৫২ নং এলসি করেন।
বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর সন্দেহ থাকায় ওই চালান কাস্টমসের বিশেষায়িত সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে ‘লক’ করে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় কাস্টমস অঢিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্জ (এআইআর) শাখাকে।
চালানের বিষয়ে জানতে চাইলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া বলেন, গোয়েন্দা তথ্য থাকায় চালানটি লক করা হয়েছিল। শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় তা স্পষ্ট হলো। অনেক বড় জালিয়াতি করেছে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ। মিথ্যা ঘোষণা দিলে আনা ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী মামলা দায়ের হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।