কালার ইনসাইড

অভ্যাস-বদঅভ্যাসের প্রশ্নে ফরিদীর উত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

চলচ্চিত্রে কিভাবে এলেন? 

পরিচালক খোকনের সাথে।

প্রশ্নকর্তা শুধরে দিলেন, না মানে এফডিসিতে কিভাবে?

‘বেবীটেক্সিতে করে’- তার সোজা সাপ্টা উত্তর।

এরকম অকপট সোজাসাপ্টা উত্তর সবসময় দিতেন হুমায়ুন ফরিদী।

বেসরকারী এক টেলিভিশনে একবার হুমায়ুন ফরিদীর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। উপস্থাপক ছিলেন লেখক ইমদাদুল হক মিলন। সেই সাক্ষাৎকার থেকেই কিছু কথা তুলে ধরছি। প্রথমেই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি নাকি দিনে ৪-৫ বার ভাত খান। এ প্রশ্নের জবাবে ফরিদী বলেন, তিনি আসলে অল্প আহার করেন। মানুষ তিন বেলায় যা খায়, তিনি অল্প অল্প করে ৪-৫ বারে তা খান। তবে প্রতিবার যে ভাত খান তা ঠিক নয়। আইটেম হিসেবে রুটি, সবজিও খান তিনি।

এরপর প্রশ্ন করা হয় তার নাম নিয়ে। তিনি বলেন ‘ফরিদী’ লেখা সহজ বলেই তিনি শব্দটি এভাবে লেখেন, এছাড়া বিশেষ কোন কারণ নেই। আর তার মার নাম ছিল ফরিদা ইসলাম, সেখান থেকেই তার নামকরণ হয়েছে।

এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তার অভিনয় করাটা তার পরিবার দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত কিনা। তিনি এর উত্তরে ‘না’ বলেন। এবং আরও বলেন, তার বাবা একবার অভিনয় করেছিলেন। তবে তার পরিবার থেকে তিনি প্রভাবিত হননি।

যুদ্ধের পর নৈরাশ্য থেকেই তিনি অভিনয়ে যোগ দেন। অনেকে বলে তিনি যাত্রায় অভিনয় করতেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি শুধু এক মৌসুম যাত্রায় কাজ করেছেন। যাত্রার মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু এটা ভুল কথা।

একজন ভালো অভিনেতা দিনের চব্বিশ ঘণ্টাই অভিনয় করে চলেন,’ বলতেন তিনি। কিন্তু তিনি আমাদের ছেড়ে ওপারে চলে গেলেন চিরতরে, এটা কোন অভিনয় নয়। সত্যিই তিনি চলে গেলেন আমাদের উদাস করে। তাকে আর আমরা কখনও ফিরে পাব না।

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আক্ষেপ করে প্রয়াত নন্দিত অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আচ্ছা, এই মানুষটি কী অভিনয়কলায় একটি একুশে পদক পেতে পারেন না! এই সম্মান কী তার প্রাপ্য নয়?’ বেঁচে থাকতে ফরিদী তা পাননি। তবে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন।

"আপনি সিগারেট খান কেন ?" তিনি প্রতিউত্তর করলেন, "এনজয় করি, তাই" উপস্থাপিকা বললেন, "কিন্তু আপনি তো জানেন, ধূমপান খারাপ। তারপরও কেন করেন ?" একটুক্ষণ চুপ থেকে তিনি বললেন, "মানুষ তো অনেক সময় জেনে শুনেও খারাপ কিছু করে। ক্ষতিকারক জেনেও খায়। আমার ব্যাপারটাও অনেকটা ওরকম।

অভিনয় দিয়ে সমস্ত মানুষের মন জয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু সে কাজটি অবলীলায় করে দেখিয়েছেন ফরিদী। খলচরিত্রে অভিনয় করেও মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন এমন অভিনেতা বাংলাদেশে হাতেগোনা যে কয়েকজন আছেন, তাদের মধ্যে হুমায়ুন ফরিদী অন্যতম। একজন অসাধারণ মানুষের হয়েও খুব সাধারণ জীবনযাপন, জীবন সম্পর্কে পরিষ্কার বোধ তাকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে গিয়েছিল। নির্দ্বিধায় সবার সাথে মিশতে পারার গুণ সবার থাকেনা। হুমায়ুন ফরিদীর সেই গুণ ছিল। এসব কারণে অভিনেতা হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও হুমায়ুন ফরিদী ছিলেন সবার শ্রদ্ধার পাত্র। বলা যায়, একজন আইকন।

নিজেই বলেছেন যে তার জীবন সম্বন্ধে অনেকের ভুল ধারণা আছে। সে ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিতেও চেয়েছিলেন। বলেছিলেন "প্রেমে পড়া" জীবনের সব চেয়ে মধুর উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। নিজেও স্বীকার করেছেন, জীবনে বহুবার প্রেমে পড়েছেন। জীবনের শেষ দিকেও প্রেমে পড়েছিলেন, কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে চাননি। এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলেও বলেছিলেন হয়ত আমরা তাকে চিনি ।

বই পড়ার অনেক নেশা ছিল তার। কিংবদন্তীসম অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও অভিনয়ের বই পড়তেন সময় পেলে। খুব আনন্দের সময় গান গাওয়ার অভ্যাস থাকলেও, কবিতা আবৃত্তিও ভালোবাসতেন। জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথের প্রতি আকর্ষণ ছিল ।

নায়ক হিসেবে কেন অভিনয় করেননি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আমার চেহারা নায়কের মত না। অত সুন্দর না। ওরকম উঁচা লম্বাও না। তাই নায়কের চরিত্রে অভিনয় করিনি ।"

ইচ্ছাকৃত ভাবে খলচরিত্রে অভিনয় কেন করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, "খলচরিত্রে অভিনয় করলে যা খুশি তা করা যায়। কিন্তু নায়ক চরিত্রে অভিনয় করলে করা যায় না ।"

বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সে কারণে দেশের বহু জায়গা ঘুরেছেন। ১৯৬১ সালে দিলিপ কুমারের এক ছবি দেখছিলেন এক হলে। নায়কের আবির্ভাব হলে মানুষ হাততালি দিত, শিস বাজাত। এসব দেখে হুমায়ুন ফরিদীর মাঝেও ইচ্ছে জাগে অভিনেতা হওয়ার ।

টিভিতে অভিনয় করতে করতে খ্যাতির চূড়ায় উঠলেও, স্রেফ টাকার জন্য চলচিত্রে অভিনয়ে নামেন। এ তার নিজের কথা। জীবনধারনের জন্য টাকার দরকার। আর সে জন্যই চলচিত্রে অভিনয়। অভিনয় ছাড়া আর কিছু পারতেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন এই অভিনয় গুরু।

স্বাধীনতার পর রমনায় প্রথম স্ত্রী মিনু ওরফে নাজমুন আরা বেগমের সাথে বেলী ফুলের মালা বদল করে বিয়ে করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। সে মালা ছিড়ে বিয়ে করেছিলেন সুবর্ণা মুস্তফাকে। মিনু ছিলেন সহপাঠীর বোন।হুমায়ুন ফরীদি এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, শুধু সহপাঠীর বোনই নন, তিনি প্রথমত প্রেমিকা, দ্বিতীয়ত ছিলেন স্ত্রী। মিনু আমার জীবনে না এলে হয়তো বোহেমিয়ান জীবন থেকে ফিরে আসা হতো না। হতে পারতাম না আজকের ফরীদি। জীবনের শেষ অংকে এসে ২০০৮ সালে স্ত্রী সূবর্ণা মুস্তফার সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে একটি সন্তান রয়েছে, তার নাম সারারাত ইসলাম দেবযানী।

প্রাক্তন স্ত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা সম্পর্কে কোন মন্তব্য বা প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করতেন শেষের দিকে। কিন্তু বোঝা গিয়েছিল, নিজেকে মৃত্যুর আগে বড় বেশি একা বোধ করেছিলেন এই দিকপাল অভিনেতা ।

মৃত্যুকে ভয় নয়, বরং বরন করে নিতে বলতেন তিনি। তার মতে, জন্মিলে মরিতে হবেই। তাহলে এ অবশ্যম্ভাবীকে ভয় করে কি লাভ। মৃত্যুকে আনন্দের সাথে বরন করে নিতে বলতেন তিনি ।

এক সাক্ষাৎকারে মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ, এতো গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ মৃত্যু অনীবার্য, তুমি যখন জন্মেছো তখন মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনীবার্য তাকে ভালোবাসাটায় শ্রেয়।

তিনি ওই অনুষ্ঠানে আরও বলেন, মৃত্যুকে ভয় পাওয়াটা মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো। গ্রহণ করো, বরণ করে নাও তাহলে দেখবে জীবন কত সুন্দর।

মানুষের অসময়ে চলে যাওয়া নিয়ে কষ্ট প্রকাশ করে বলেন, মানুষের খুব তাড়াতাড়ি চলে যাওয়াটা কষ্টের। সঠিক সময় মানুষের মৃত্যু বরণ করাটায় আন্দোলিত হয়,তবে খুশি হয় না। মানুষ কখনও বৃদ্ধ হয় না। মানুষ মনে মনে ২৮ বছরে থেকে যায়। দূরআশা ভালো জিনিস না। আশা করো ক্ষমতার ভিতরে। যা অর্জন করতে পারবে তাই করো। এই আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে।

২০১২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ৬০ বছরে বসন্তের প্রথম সকালে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। সেই থেকে শোবিজ অঙ্গনে এক আফসোসের নাম হুমায়ুন ফরিদী। এই স্থায়ী আফসোসটা ক্ষনে ক্ষনেই জেগে উঠে। কান পাতলেই শোনা যায়। কি অভিনেতা কি পরিচালক, হোক সেটা সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম অথবা মঞ্চের- সবারই এক আফসোস- এমন শক্তিমান অভিনেতা ছাড়া মনের মতো চরিত্র ফুটিয়ে তোলা মুশকিল। সেই মনের মতো চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার মানুষটি আর নেই! সবার দীর্ঘশ্বাস- ‘এ দেশে এ ক্যারেক্টার কেবল ফরিদী ভাই-ই পারতেন। কিন্তু ফরিদী ভাই তো…

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধোনির বন্ধুর প্রেমে মজলেন কৃতি শ্যানন

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রেমে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। বলিপাড়ার অন্দর মহলে শোনা যাচ্ছে, মহেন্দ্র সিং ধোনির ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রেমেই নাকি মজেছেন তিনি।

জানা গেছে, কৃতির প্রেমিক লন্ডনের সফল শিল্পপতি কবীর বহিয়া। ঘটনাচক্রে হার্দিক পান্ডিয়ারও ভালো বন্ধু কবীর। সম্প্রতি একটি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ছড়িয়ে পড়ে কৃতি-কবীরের কয়েকটি ছবি।

সেখানে দেখা যায়, লন্ডনে জমিয়ে দোল উদযাপন করছেন এই জুটি। কবীরের বাবা লন্ডনের প্রথম সারির শিল্পপতি বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কৃতি বলেন, আমার সঙ্গীকে এই রকম হতে হবে, ওই রকম হতে হবে এগুলো কী? দুজনের সবকিছু একই হতে হবে এমন তো কোনো মানে নেই।

অভিনেত্রী আরও বলেন, সঙ্গীকে কী রকম হতে হবে সেটা বলার অর্থ তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা। যার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মন খুলে কথা বলা যায়, যার জন্য হাসতে পারা যায় সেই আসল সঙ্গী। অবশ্যই আমার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে তাকে। কোনো রকম ভণিতা ছাড়াই ভেতরের যে আসল মানুষটাকে দেখতে পাবে আমার কাছে সেই আদর্শ সঙ্গী।

বর্তমানে কৃতির ঝুলিতে রয়েছে দুটি হিট সিনেমা। শিগগিরই ‘দো পাত্তি’ সিনেমার মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি। তবে কি পেশার সঙ্গে এবার ব্যক্তিগত জীবনও খানিক গুছিয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে তার ভক্তদের মনে। এদিকে সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়েও এখনও কৃতির তরফ থেকে কোনো বিবৃতি মেলেনি।

বলিউড   কৃতি শ্যানন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিশ্ব মা দিবসে সুখবর দিলেন ফারিয়া

প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবসেই ভক্তদের সুখবর দিলেন ফারিয়া শাহরিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন, মা হতে যাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘদিনের প্রেমিক মাহফুজ রায়ানের সঙ্গে বাগদান হয় তার। এরপর গত বছরের জুলাইতে অভিনেত্রীর চার বছরের প্রেমের পরিণয় ঘটে। বিয়ে করেন তারা।

রোববার (১২ মে) বিশ্ব মা দিবসেই নিজের মা হওয়ার খবরটি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করলেন ফারিয়া। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘বিসমিল্লাহ। হ্যাপি মাদারস ডে টু মি।’

ফারিয়ার কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে বিনোদন অঙ্গনে তার বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীরা অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন তাকে।

ফেসবুকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার খবর জানালেও এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি ফারিয়া। তবে বাগদানের পর দেশের একটি গণমাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রায়ানের সঙ্গে পরিচয় তার। চার বছর প্রেমের পর দুই পরিবারের সম্মতিতেই বাগদান সেরেছেন তারা।

২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছিলেন ফারিয়া। এরপর শুরু হয় তার শোবিজ যাত্রা। একটি মুঠোফোন কোম্পানির ‘কথা দিলাম’ প্যাকেজের বিজ্ঞাপনচিত্র বাড়িয়ে দেয় তার পরিচিতি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও।

দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন ফারিয়া। একটি ‘দৈনিক তোলপাড়’ ও দ্বিতীয়টি ‘এয়ারকম’। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে অন্তরা চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন ফারিয়া।

ফারিয়া শাহরিন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা: পূজা চেরি

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক মাস আগেই মা হারিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। মা হারানোর ব্যথা এখনো ভুলতে পারেননি । বিশ্ব মা দিবসে মায়ের শূন্যতা ও একরাশ অভিমান নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছেন তিনি।

পোস্টে মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে পূজা লিখেছেন, ‘ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা। মামুনি দেখেছো? তুমি কি পচা কাজ করেছো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অঝরে চোখ থেকে জল পরতে দিলে !! সারাজীবনই তো এই জল পরবে গো মা। কি করে থামাবো? উফ খুব কষ্ট হচ্ছে মামুনি। আর লিখতে পারছি না, বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভালো থেকো মামুনি আর মনে রেখো তোমার হাতের লাঠিটা অনেক মিস করি অনেক অনেক অনেক।’

পেইজের পাশাপাশি ফেসবুক আইডিতেও একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে লিখেছেন, ‘আমি তো এতো ভেঙ্গে পরার মতো মেয়ে না। তবে আজকে কেন এতো ভেঙ্গে পড়ছি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।’ চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। 


পৃথিবী   মা   পূজা চেরি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নিজেকে সোনাক্ষীর মা দাবি বলিউড অভিনেত্রী রেখার

প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সর্বশেষ সিনেমা ডাবল এক্সএলের পর ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার' এ ফরিদান ও তার মা রেহানার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।

বিখ্যাত অভিনেত্রী রেখা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সোনাক্ষীর অভিনয়ের প্রশংসা করে নিজেকে সোনাক্ষীর দ্বিতীয় মা বলে অভিহিত করেছেন। সোনাক্ষীর মাকে রেখা বলেন, ও আমার মেয়ে, আপনার মেয়ে নয়।

পিঙ্কভিলায় এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানান, 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'- এর প্রিমিয়ারের সময় রেখা তার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি রেখা নিজেকে তার দ্বিতীয় মা হিসেবেও বলেন।’

রেখার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনাক্ষী বলেন, ‘রেখা ব্যক্তি হিসাবে অনেক সুন্দর। তার মতো একজনের কাছ থেকে মেয়ে ডাক শুনতে অবাক লেগেছে।’


সোনাক্ষী   রেখা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আইন ভঙ্গ করেছে তুফান

প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিগ বাজেটের সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল আজহায়। মুক্তির আগেই পুরোদমে চলছে এই ছবির শুটিং। ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে তুফানের পোস্টার ও টিজার। যা বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মাঝে।

তবে এরই মধ্যে আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাচ্ছে ‘তুফান’ এমনটাই দাবি করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।

কয়েকদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে ‘তুফান’ ছবির টিজার। সিনেমাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন টিজার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম। তিনি জানান, সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে ‘গুলশান’ সিনেমা হলে গতকাল ১০ মে দুপুর ১২টার শোতে দেখানো হয় ‘তুফান’ সিনেমার টিজার। বিষয়টি নজরে এসেছে তাদের।

খালেদা বেগম বলেন, ‘সেন্সর বিহীন টিজার প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের ইন্সপেক্টর যাবে সেখানে। সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন সিনেমা প্রদর্শন করা বেআইনি। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও অন্য কোথাও চলে কি না সেটাও আমরা দেখছি। সারা বাংলাদেশে আমাদের ইন্সপেক্টর মাত্র তিনজন। যে কারণে সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখা মুশকিল। তারপরও যেখানে এমন বেআইনি প্রদর্শন হবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

জানা গেছে, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে তুফান সিনেমা। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প।


তুফান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন