নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আসেনি। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের কারও দেহে এখন পর্যন্ত করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে করোনা নিয়ে ব্যবসা। করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে নামী-দামী সব প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে গতকাল শুক্রবার ছাপানো হয়েছে স্যানিটাইজারের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনগুলোতে প্রথমত, করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, করোনার বিষয়ে ভুল তথ্যও দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনগুলোতে বোঝানো হয়েছে যে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই করোনা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
স্কয়ারের সেপনিলের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘কোনো পানির দরকার নেই, সাবানের দরকার নেই। সবসময় থাকুন ক্ষতিকর করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত।’ এই বিজ্ঞাপনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদনের পরোয়া করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দরকারি একটি জিনিস। কিন্তু শুধুমাত্র স্যানিটাইজারই করোনা থেকে বাঁচিয়ে দেবে এটা ভাবা ভুল। করোনা থেকে বাঁচতে সবার আগে যে জিনিস্টা দরকার সেটা হলো হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় সতর্ক থাকা। অন্যকেও সতর্ক করা।
সত্য, আধাসত্য মিলিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে পণ্য কিনতে উৎসাহিত করাও এক ধরণের অপরাধ। দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রে যখন এ ধরণের বিজ্ঞাপন প্রকাশ পায়, তখন মানুষ খুব দ্রুতই বিজ্ঞাপনে দেওয়া তথ্যগুলো বিশ্বাস করে ফেলে। দেখা যাবে যে, স্যানিটাইজারের বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কষ্টের টাকায় স্যানিটাইজার কিনলো। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে সবার আগে যে জিনিস্টা দরকার অর্থাৎ হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় সতর্ক থাকা, সেটা সে ভুলেই গেল। মানুষ ধরেই নিল যে, স্যানিটাইজারই তাকে বাঁচিয়ে দেবে।
করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে ব্যবসার ফাঁদ পেতে বসা একটা ঘৃণ্য অপরাধ। দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলো কোনো যাচাই বাছাই না করেই যেকোনো বিজ্ঞাপন কি করে ছাপিয়ে দিতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সচেতন নাগরিকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট চলছে সেটা সমাধান হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা ভোটের নির্ভুল তথ্য আগামীকাল (বুধবার) পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল।
ভোটের অনিয়মের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। আর বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা বেশ গুরুতর আঘাত। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। তবে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তাদের এই মৃত্যু ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
মন্তব্য করুন
বিশ্বায়নের এ যুগে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। এক দেশ থেকে আরেক দেশে নানা প্রয়োজনে ছুঁটছে মানুষ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক তরুণ তরুণী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ শিক্ষা জীবন শেষে দেশে ফিরলেও খাপ খাওয়াতে না পেরে ভুগছে হতাশায়। অনেকেই আবার উচ্চশিক্ষা থেকে থেকে যাচ্ছে বিদেশে। ফলে একদিকে যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের হারাচ্ছি আমরা, অন্যদিকে তারাও দেশকে দিতে পারছেন না শিক্ষার ফসল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।