নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন একই পরিণতি বরণ করলেন। দুজনেই এবার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণের নতুন মেয়র পদে শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচিত হয়েছেন। ২৯ মার্চ হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই দুজনের পরিণতির জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের নিজেদের পরিণতির জেন্য নিজেরাই দায়ী। দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে না পারা। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা রকম সমালোচনা বা সিটি কর্পোরেশনের কাজে জনগনকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি এরকম ধারণা দলের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে তৈরী হওয়ার প্রেক্ষিতেই তারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
এই দুজনের এই পরিণতির জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকেই সবার আগে দায়ী করছেন। কিন্তু দুজনের একই পরিণতি হলেও তাদের গন্তব্য এখন তৃণমূলেই বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সাঈদ খোকন রাজনীতিতে যুতসই অবস্থান কখনোই করতে পারেননি। তার নিজস্ব কোন কর্মী বাহিনী নেই। তার নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। সাঈদ খোকন এতদূর এসেছেন শুধুমাত্র তার পিতা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের কল্যানে। মোহাম্মদ হানিফ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলেন। এ কারণেই ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থী হওয়ার পরেও তাকে আবার দলের মধ্যে নিয়ে এসে মেয়র পদে ২০১৫ সালে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। মেয়র পদে তিনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলে যেমন অভিযোগ রয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। যদিও এবার মেয়রপদে বঞ্চিত হওয়ার পর তাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু নিজস্ব সাংগঠনিক দক্ষতা, মেধা এবং ধী শক্তি বলে তিনি কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কতটকু বিকশিত হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বরং সাঈদ খোকনের রাজনৈতিক জীবনের অমানিশা এবং প্রায় ধূসর অবস্থা দেখছেন অনেকে।
অন্যদিকে আ জ ম নাছির চট্টগ্রামের রাজনীতিতে একটি অবিসংবাদিত ফ্যাক্টর। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ব্যাড বয় হিসেবে খ্যাত আ জ ম নাছির। তার বিরুদ্ধে যেমন অনেক অভিযোগ রয়েছে, তেমনি তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতিত। চট্টগ্রামের প্রয়াত ডাকসাইটে নেতা মহিউদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি রাজনীতিতে টিকে আছেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আ জ ম নাছির একটা বড় ফ্যাক্টর। চট্টগ্রামের ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতিতে আ জ ম নাছিরকে কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না। আ জ ম নাছির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব শেষ করার পর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হবে এটা বলাই বাহুল্য। তার যে সাংগঠনিক আয়োজন আছে, নিজস্ব কর্মী এবং ক্যাডার রয়েছে তা দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষকে বিষিয়ে তুলতে পারেন বলে ধারণা করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মেয়র পদে মনোনয়ন না পাওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা এবং কোন্দলময় পরিস্থিতি তৈরী করতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। আ জ ম নাছির মেয়র হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মূলত তার নেতাকর্মীর অবস্থান এবং কোন্দল থেকে মুক্ত হওয়ার কৌশল হিসেবে। সে কারণেই আ জ ম নাছির চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নিজেকে আরো বড় ফ্যাক্টর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন। তাই দুজন মনোনয়ন না পেলেও একজন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে তার অবস্থান পোক্ত করবেন, আরেকজন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক কারাগা
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন ও চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। এ নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবে ‘ওএসডি’ করা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। এ নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।
মন্তব্য করুন