ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন ট্রাম্পকে জিতাতে চায় রাশিয়া?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

চলতি বৎসরের নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনঅনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালের মতো, এবারও নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কথা বলছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। এই ঘটনায় ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে বদলিও করেন ট্রাম্প।

গোয়েন্দাদের ধারণা, রাশিয়া ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে। কেন রাশিয়া ট্রাম্পকে নির্বাচনে জিতাতে চায়, তার একটি বিশ্লেষণ করেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্ক (সিএনএন) এর মস্কো প্রতিনিধি নাথান হজ। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল;

সম্প্রতি আইনপ্রণেতাদেরকে গোয়েন্দা সংস্থার সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সতর্ক করে দেন। তারা জানান, এই নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করছে রাশিয়া। ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি করতে চাচ্ছে তারা।

আমেরিকার, রাশিয়া আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে। কেন রাশিয়া আমেরিকার গণতন্ত্রে আবারও হস্তক্ষেপ করবে? ট্রাম্পের শাসনামলে রাশিয়া কূটনীতিতে ধারাবাহিক জয় লাভ করতে পেরেছে, এ রকমটা স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে মারণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে প্রক্সি যুদ্ধ লাগিয়ে রেখেছে। ফলে, ইউক্রেনে কার্যত অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কূটনীতিক দিক থেকে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে এখন শীতল হাওয়া বইছে। সিরিয়ার সংঘাত থেকে শুরু করে, ভেনিজুয়েলাতে রাজনৈতিক অশান্তি ইত্যাদি সবই এক একটা কারণ। তাছাড়া, ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিয়েটি (এনপিটি) থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়। আর এর নিন্দা জানাতেও ভুল করে নি ক্রেমলিন।    

ওয়াশিংটনকে মোকাবিলা করার জন্য রাশিয়া তার অর্থ ব্যয় অব্যাহত রাখছে। ট্রাম্পের ট্রেজারি বিভাগ, রাশিয়াকে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করার জন্য মুক্ত হস্তে অর্থ দিয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এক প্রাক্তন রাশিয়ান গুপ্তচরকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। এবং এর মাধ্যমে মাধ্যমে আমেরিকা তার মিত্রদের সাথে নিয়ে কয়েক ডজন রাশিয়ান কূটনীতিককে দেশটি থেকে বিতাড়িত করে।

তবে দুটি বিষয় মনে রাখার মতো। ২০১৬ সালে, হোয়াইট হাউসে জিতবেন হিলারি ক্লিনটন, ট্রাম্প নয়। এমন একটি সম্ভাবনা ছিল। এটি ক্রেমলিনের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল। রাশিয়ার এই সম্ভাবনার সাথে লড়াই করতে হয়েছিল। ফলে, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনকার সম্পর্ক যতই হিমশীতল হোক না কেন; ট্রাম্পের মনে এখনও, পুতিনের জন্য এখনো উষ্ণ জায়গা রয়েছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে রাশিয়া ট্রাম্পকে সাহায্য করতে যাচ্ছে, বলে আইনপ্রনেতাদের জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ক্লিনটন-পুতিনের শত্রুতা সর্বজন বিদিত বিষয়। ২০১১ সালের সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুতিন এর জন্য আমেরিকা এবং তৎকালীন সেক্রেটারি অব স্টেট ক্লিনটনকে দোষ দিয়েছিলেন।

ক্লিনটনের জেনারেল হকিশনেসও ক্রেমলিনকে উস্কানি দিত। এর বিপরীতে, ট্রাম্প পুতিনের একটি মুক্ত প্রশংসক ছিলেন। এমনকি, ক্রেমলিন নেতা তাঁর “নতুন সেরা বন্ধু” হয়ে উঠবেন বলে, প্রকাশ্যে টুইটারে আশা প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সেই সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হয়নি। ট্রাম্প ২০১৮ সালে হেলসিংকি শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ সম্পর্কে পুতিনের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, তিনি তার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পরামর্শও এতোটা গুরুত্ব দেন নি। 

ট্রাম্প পুতিনের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের প্রতি আমার অনেক আস্থা রয়েছে। তবে আমি আপনাকে(পুতিনকে) বলব যে, আপনি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং শক্তিশালী ছিলেন”।

রাশিয়ান সরকার রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে, ২০১৬ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল এমন একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ ছেড়ে দিন দেখি!

বর্তমান রাষ্ট্রপতি এখন তার মেয়াদের চতুর্থ বছরে। ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী মনোনীত হতে আরও কয়েক মাস লাগবে। এদিকে, পুতিন তার বিপরীত মেরুর লোকজনদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। যেমনটা তার সম্পর্ক রয়েছে শি জিনপিং, রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং বিশ্বের অনেক নেতৃবৃন্দের সাথে।

ভুয়া সংবাদ, গুজব এবং উত্তর আধুনিক প্রচারণা কৌশলের মাধ্যমে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের এই সতর্কতা, সত্যিকারের কোন কাজের সংবাদ নয়।

গত বছর এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়াই বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ তৈরি, প্রচার ও ভুয়া ব্যক্তির নামে একাউন্ট খোলা ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করে। এ সকল কর্মকাণ্ড আমাদেরকে একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়, নিজেদের মধ্যে বিভক্তি বাড়ায় এবং গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকানদের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করে”। তিনি এটিকে কেবল নির্বাচন-কালীন হুমকি না ভেবে, বছরের ৩৬৫ দিনের হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।

রাশিয়ার তদন্ত সম্পর্কে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া- গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা - রাশিয়ার কৌশলে ভূমিকা পালন করা, আইনের শাসনে আমেরিকানদের বিশ্বাসকে ক্ষুন্ন করে এবং সরকারের উপর অবিশ্বাস ডেকে আনে।

বাংলা ইনসাইডার/এমবি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বজুড়ে ছোট হচ্ছে মাছের আকার

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।

মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।

বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে থেকে ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।

তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটিমৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তননামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।

বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।


বিশ্ব   মাছ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন