নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর আবারও তাকে মালয়েশিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ। সোমবার তাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে আচমকা পদত্যাগ করেন মাহাথির মোহাম্মদ। পদত্যাগের পর স্থানীয় সোমবার বিকেল ৫টায় তিনি মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে রাজপ্রাসাদে যান। এসময় পুনরায় তাকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা।
মাহাথির সরকারের মুখ্যসচিব মোহদ জুকি আলি বলেন, মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজা। তবে নতুনভাবে সরকারপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাহাথিরকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের বিষয়ে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দুই বাক্যের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। আনোয়ার ইব্রাহীম যেন ক্ষমতায় আসতে না পারেন; সেজন্য নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন তিনি।
দেশটির রাজনীতিতে সপ্তাহব্যাপী নানা নাটকীয়তার পর আজ পদত্যাগ করেন মাহাথির। ‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামে আনোয়ার ইব্রাহীম যে জোট গঠন করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন; সেই জোটের ভেতরেই আনোয়ার বিরোধীরা এই নাটক মঞ্চস্থ করেছে। বিরোধী নেতারা এখন নতুন একটি জোট গঠন করতে যাচ্ছেন।
বিরোধী এই জোট থেকে বাদ পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহীম-অথচ মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে তারই হওয়ার কথা ছিল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আনোয়ার ইব্রাহিম হলেন দেশটির জনপ্রিয় সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা। তবে সমকামিতার অভিযোগে বেশ কয়েক বছর কারাবন্দী থাকায় তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জটিলতা আছে।
আনোয়ার ইব্রাহীম এবং ৯৪ বছর বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির ছিলেন দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের মধ্যে সম্পর্ক দাঁ-কুড়াল হলেও ২০১৮ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত নাজিব রাজাকের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেন তারা। বিরোধী জোটের জয় হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মাহাথির মোহাম্মদ।
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। তার শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও স্বজনপ্রীতিসহ দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে মাহাথির মোহাম্মদ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। কিছুদিন থাকার পর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিতে তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হলেও, ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণ জানাচ্ছিলেন না।
সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের ভাগ্য ছিল অনিশ্চিত। আচমকা মাহাথিরের কার্যালয় থেকে ঘোষণা আসে, তিনি দুপুর ১টায় রাজা ‘ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগংগ’র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। বিবৃতিটি ছিল মাত্র দুই লাইনের—যেখানে পদত্যাগের কোনো কারণ উল্লেখ করেননি মাহাথির।
এর কিছুক্ষণ আগে মাহাথিরের দল বারসাতু পার্টি ঘোষণা দেয়, ক্ষমতাসীন জোট পাকাতান হারাপান থেকে বের হয়ে যাচ্ছে তারা এবং তাদের ১১ জন আইনপ্রণেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ফলে ‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামের ওই জোটে ভাঙন ধরে এবং নতুন একটি জোট গঠনের খবর শোনা যেতে থাকে।
চারপাশে গুঞ্জন ওঠে নতুন এই জোট গঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ। দেশটির রাজনৈতিক মহলে এমন খবর চাউর হলেও খোদ আনোয়ার ইব্রাহিমের দাবি, বিষয়টি সত্য নয়। তিনি বলেন, মাহাথির তাকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি এর (নতুন জোট গঠন) মধ্যে নেই।
আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, তিনি এটা নিশ্চিত যে, আগের সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি (মাহাথির মোহাম্মদ) আর কাজ করবেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন এই জোটে থাকবে ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)-যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দল। দলটি গত নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হয়।
‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামের ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির (ডিএপি) মহাসচিব লিম গুয়ান ইয়ং বলেছেন, মাহাথির মোহাম্মদ তাকে বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যে কূটচাল শুরু হয়েছিল তা ঠেকাতেই তিনি পদত্যাগ করছেন। তার এই বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তার জল আরও ঘোলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার বামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত ডিএপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে যে দলকে (ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন-উমনো) ক্ষমতা থেকে সরাতে আমরা কাজ করেছি, সেই দলের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ।’
তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি এক বৈঠক শেষে মাহাথির মোহাম্মদকে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দল ডিএপি। মালয়েশিয়ার রাজনীতির ময়দানে এই নাটকের শেষ কোথায় হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে আগাম নির্বাচনও আহ্বান করা হতে পারে।
তবে নির্বাচন ছাড়াই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের স্থলে নতুন আরেকটি সরকার আসার ব্যাপারটি উন্মোচিত হওয়ার পর মালয়েশিয়ার অনেক নাগরিক ক্ষোভ জানিয়েছেন। দেশটির একদল শিক্ষাবিদ ও অ্যাক্টিভিস্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিস্বার্থে পেছন দরজা দিয়ে গঠিত সরকারকে মেনে নেবে না দেশের মানুষ।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।
পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?
স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। এ সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।
ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।
এ ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক এ রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।
ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের এ অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এ সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমা শক্তি
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।
শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো— এই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।
বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ-২ নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ-২ গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।
রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।
দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।
পরীক্ষার পর ফাতাহ-২ রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।
মন্তব্য করুন
উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।
একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
‘এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।’
মন্তব্য করুন