নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
করোনা আতঙ্কে বেসামাল হয়ে পড়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজার। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দার পর গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে ভয়াবহ দরপতন ঘটেছে। আর্থিক মন্দার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ কাটছে এ খাতে। গত ছয় দিনে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য হারিয়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজার।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আর সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট দেখা দেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো জোন। এ আতঙ্ক ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের ওপর। যার প্রভাব গত এক সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব পুঁজিবাজারে।
এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে শুক্রবার বড় দরপতন হয়। যুক্তরাজ্যের প্রধান পুঁজিবাজার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জভিত্তিক এফটিএসই ১০০ সূচকটি ৩ শতাংশ কমে যায়। জাপানের নিক্কেইতে সূচকের পতন ঘটেছে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। সিডনির এএসএক্স২০০-তে পতন হয়েছে ৩ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ আর হংকংয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে সাংহাই কম্পোজিট- ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ভারতে শুক্রবার সকালে এক হাজার ১৪০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স, অর্থাৎ ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ পড়ে ৩৮ দশমিক ৬০৫-এ নেমে যায় সূচকটি। অক্টোবরের মাঝামাঝির পর থেকে এটাই সেনসেক্সের সবচেয়ে বড় পতন। অপরদিকে, নিফিটিতে ৩৪৮ পয়েন্ট অর্থাৎ ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ পড়ে সূচক গিয়ে পৌঁছায় ১১ হাজার ২৮৫-এ।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার ওয়ালস্ট্রিটে প্রধান সূচক ডাও জোন্স কমে ১২০০ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। যা ২০১১ সালের আগস্টের পর সূচকটির সবচেয়ে বড় পতন। অপর সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পয়েন্ট কমে বা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। নাসডাক সূচক হারিয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার পর থেকে ইকুইটি সেক্টর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এই সপ্তাহে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। উপরন্তু বিনিয়োগ করা টাকাও তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। যার ফলে বিশ্ব শেয়ারবাজারে মন্দা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ দরপতন কতদিন অব্যাহত থাকবে এবং কতটা খারাপ পর্যায়ে যাবে, তা কেউ বলতে পারছে না।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুক্রবার ২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ব্যারলপ্রতি দাম হয়েছে ৫১ দশমিক ১ ডলার। মার্কিন ডলারের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার ডলার, ইন্দোনেশিয়ার রুপিয়া আর ভারতের রুপির কিছুটা দরপতন ঘটেছে।
করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ায় এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি রীতিমতো ঝুঁকির মুখে। পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি এই ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চীন থেকে আমদানি-রফতানি। ফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে চীনের উহান শহরে এই মহামারী দ্রুত নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলেই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছর
প্রায় শেষের দিকে। এর আগেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা
হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃত্তি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক
৮২ শতাংশ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন
ডলার।
সোমবার (২০ মে)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
বিবিএস আরও জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার। যা
এ বছর ৩৫ মার্কিন ডলার বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। বর্তমান টাকার হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা।
মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এবার আসছে বাজেটে মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায়। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে প্রায় এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় অতিরিক্ত গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাপ্তরিক কাজ- সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৩৩ টাকার বেশি কর দেন। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেট কিনতেও।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়ানো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটা প্রক্রিয়া। ভ্যাট বাড়ালে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, ভ্যাট যেন বাড়ানো না হয়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়েও এ রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
মোবাইল ফোনেও স্বস্তির খবর নেই। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এ খাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’
যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক।
মোবাইল বিল ইন্টারনেট ভ্যাট অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম।
কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, এ জেড এম সালেহ্, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, ড. নাজমুল ইসলাম, ড. শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী।
মন্তব্য করুন