ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অনুচ্চারিত বন্ধুত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

ভারতের সর্বদক্ষিণের ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। মসলা, রাবার ও চার জন্য উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে শ্রীলঙ্কা বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে পর্যটন শিল্প, চা রপ্তানি, পোশাক শিল্প, চাল ও অন্যন্য কৃষিপণ্য দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক খাত।

ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে জিডিপিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দারিদ্র্যের হার ৭.৬ শতাংশ, বেকারত্বের হার মাত্র ৪.৯ শতাংশ এবং সাক্ষরতার হার ৯২.৫ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার ৯০ শতাংশ বাড়িতে বিদুৎসেবা পৌছে গেছে। ৮৭.৩ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেশটিতে দিন দিন কমে যাচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশন সেবায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাত থেকে প্রচুর পরিমাণ আয় হয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মোবাইলে ৪র্থ প্রজন্মের সেবা পাচ্ছে দেশটির জনগণ। মানব উন্নয়নের সূচকেও মালদ্বীপের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনারা বিচ্ছিন্নতাবাদী দল এলটিটিইকে পরাজিত করলে ৩০ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এই গৃহযুদ্ধের ক্ষত নিয়েও শ্রীলঙ্কা খুব দ্রুত দাঁড়িয়ে যায়।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় তামিলদের বিদ্রোহের সময় ভারত বিদ্রোহীদের উসকানি দিত বলে মনে করে দেশটি। তাই যে কোনো আন্তন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের থেকে বাংলাদেশকে বেশি সমর্থন দেয় শ্রীলঙ্কা। ভারতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকায় হাম্বানটোটায় বন্দর নির্মাণে চীনের সহযোগিতা নেয় দেশটি।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯৭২ সালে। ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে বাংলাদেশের হাইকমিশন স্থাপন করা হয়। ১৯৭৯ সালের জুন মাসে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন স্থাপিত হয়। চট্টগ্রামেও দেশটির কনস্যুলেট রয়েছে। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে যান।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপাল সিরিসেনা বাংলাদেশ সফরে আসেন। দুই দেশের মধ্যে দু’টি দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি ও ১২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। চুক্তিগুলোর মধ্যে উপকূলীয় জাহাজ চলাচল এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড় অন্যতম। অন্য চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি খাতে সহযোগিতা, উচ্চ শিক্ষা, বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে, পররাষ্ট্র সেবা বিষয়ক ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিস’ ও শ্রীলঙ্কার এলকেআইআইআরএসএস’র মধ্যে এবং রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিষয়ে সহযোগিতা বিনিময়।

অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা ছাড়াও দুদেশের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান, সংবাদ সংস্থা এবং চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ফ্যাশন ইন্সটিটিউট ও শ্রীলঙ্কা টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ইন্সটিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র আসে। ক্রিকেটের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। বর্তমানে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পোশাক ও ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ করছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৮ কোটি মার্কিন ডলার। এই বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কিন্তু মাত্র দুই কোটি সংখ্যার জনগণের দেশে বাণিজ্য বিস্তার করা কঠিন বলে সাংবাদিকদের জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের তিনি বাংলাদেশে আসার পরামর্শ দেন।
তিনি আহ্বান করেন, শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীরা ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের ৩ থেকে ৪ কোটি মধ্যবিত্ত ও ধনীদের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। শ্রীলঙ্কা থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি।

জাতিসংঘ, সার্ক, কমনওয়েলথ, বিমসটেকে, ইন্ডিয়ান ওশান রিম এবং এশিয়া কোঅপারেশন ডায়লগে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা সমর্থন করে আসছে। সম্পর্ক ভালো থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকে যায়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উভয়পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ছোট দেশ হওয়ায় দুই দেশের একত্রে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশকেও কূটনৈতিকভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করে যেতে হবে।


বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি




মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।


গাজা   শান্তিরক্ষী   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন