নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ মে, ২০২০
বিএনপিকে বলা হতো তারুণ্যের প্রতীক। দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তরুণদের উপর নজর দিয়েছিল এবং তরুণদেরকে দলে ভেড়ানোর জন্য নানারকম কৌশল এবং উপায় উদ্ভাবন করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান হিজবুল বাহারে নিয়ে তরুণদের রাজনীতির দীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ‘মানি ই নো প্রবলেম’ বলে তাদেরকে টেন্ডারসহ নানারকম অবৈধ কাজকর্মের জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপিতে তারুণ্যের জয়জয়কার কমেনি বরং গোলাম ফারুক অভি, সানাউল হক নিরুর মতো সন্ত্রাসনির্ভর ছাত্র রাজনীতিবিদরাই তারুণ্যের কাছে চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক রাজনীতিতে বিএনপির সমর্থক ছিল বিপুল।
শুধু ছাত্রদল নয়, ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসলেও বিএনপিতে তারুণ্যের জয়জয়কার ছিল। সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাসের মতো নেতারা তখন ছিলেন অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং উদীয়মান। সেই তারুণ্যনির্ভর বিএনপি এখন আর নেই। এখন বিএনপি যেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছে। বিএনপিকে এখন বলা হয় বয়স্ক নাগরিক পার্টি। যে দলটিতে তরুণদের কোন সম্ভাবনা নেই, তরুণদের কোন ভবিষ্যৎ নেই এবং আলোচিত কোন তরুণ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বিএনপিতে তরুণ বলতে বোঝানো নয় পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের হাবিবুন নবী খান সোহেলকে, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী আলালকে। এরা সবাই তারুণ্য পার করে এসেছেন বহু আগেই। কিন্তু ছাত্রদল বা যুবদলের একটা সময় যে চিত্তাকর্ষক নেতৃত্ব ছিল, যেটা তরুণদেরকে উদ্বেলিত করতো সেরকম নেতৃত্ব এখন নেই। ছাত্রদল গত ডাকসু নির্বাচনে যে ভোট পেয়েছে তাতে বিএনপি নেতাদের লজ্জা পাবারই কথা।
বিএনপির যে স্থায়ী কমিটি, সেই কমিটিতে এখন তারুণ্যের কোন ছোঁয়া নেই। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নানা রোগশোকে জর্জরিত। অর্ধেকের বেশি স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না, কথাবার্তা বলতে পারেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটি বাদ দিয়ে অন্য পর্যায়ের নেতৃত্বেও তারুণ্যের সেরকম অবস্থান দেখা যায় না। কেন এমন পরিণতি হলো?
২০০১ এর নির্বাচনে তারেক জিয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে এবং সে সময় তারেক জিয়ার উত্থান ঘটে। তারেক জিয়া বিএনপিতে দুটি ধারা তুলে ধরে। একটি খালেদা জিয়ার অনুগতদের ধারা, যেটা বয়স্ক এবং প্রবীণ। অন্যটি তরুণদের ধারা, সেই ধারায় তিনি আমানুল্লাহ আমান, এহসানুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস দুলুর মতো তরুণ নেতাদেরকে মন্ত্রিত্ব দেন এবং একটি প্যারালাল ধারা গঠন করেন। কিন্তু ২০০৬ এ যখন বিএনপি ক্ষমতাচ্যূত হয়, তারপর থেকে বিএনপিতে তরুণদের প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়েছে।
অনেক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, বিএনপির ভুল রাজনীতি এবং ব্যর্থতার জন্য আজ তরুণরা বিএনপিতে আকৃষ্ট হচ্ছে না। বিএনপিতে তরুণদের বদলে কেন বয়স্করা প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন সেটা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিএনপির অনেক নেতাই পাঁচটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন-
১. বয়স্ক নেতারা কেউ জায়গা ছাড়তে চান না
অতীতে যেমন তরুণদেরকে তুলে আনা হতো, খালেদা জিয়া পর্যন্ত তরুণদেরকে উৎসাহিত করতেন এবং তরুণদের জন্য জায়গা করে দিতেন। কিন্তু গত এক যুগে দলে তরুণদেরকে জায়গা করে দেয়া হয়নি বরং ধুঁকতে থাকা, মৃতপ্রায় নেতারা জায়গা দখল করে রেখেছেন, কেউ জায়গা ছাড়তে রাজি নন। ফলে নতুন রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়েছে।
২. বিএনপির ভ্রান্ত আদর্শ এবং রাজনীতি
এখনকার তরুণরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার। তারা রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করবে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাপারে আপোসহীন। এই তরুণরা বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা বিএনপির মধ্যে কোনো আদর্শ খুঁজে পায় না।
৩. স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে যোগসাজশ
স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে যোগসাজশের কারণে অধিকাংশ তরুণ বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন।
৪. তারেক জিয়ার দুর্নীতি এবং লুটপাট
তারেক জিয়া হলো তরুণ সমাজের ভ্রষ্ট রাজনীতির প্রতীক। তারেক জিয়া হলো নষ্ট তারুণ্যের এক প্রতীক। এ কারণে তারেককে দেখে তরুণরা বিএনপিতে আগ্রহী হতে চায় না।
৫. সামগ্রিকভাবে তরুণদের রাজনীতির ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা
শুধু বিএনপি নয়, এমনিতেও তরুণরা রাজনীতির প্রতি এখন একটি নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে এবং সেজন্য কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্কে থাকতে চান না।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন যে, যারা অযোগ্য, যারা দলে এক ধরণের বোঝা হয়ে গেছেন, যারা কোন কাজই করতে পারছেন না, নানা রোগশোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে অবিলম্বে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে এবং তরুণদের জন্য জায়গা করে দিতে হবে। তবে যদি তারা জায়গা ছেড়ে না দেন, তাহলে তরুণরা মনে করবে যে, এই দলে যোগ দিয়ে তাদের কোন লাভ নেই এবং বিএনপি ক্রমশ বয়সের ভারে ন্যুব্জ একটি বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।