নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৩ মে, ২০২০
করোনা সংকটের শুরু থেকেই রাজনৈতিক সমাধানের বদলে আমলাতান্ত্রিক সমাধানের পথে হেঁটেছে সরকার। মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধিদেরকে সাইডলাইনে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে আনা হয়েছিল আমলাদের। বিশেষ করে করোনা সংকটের কারণে দরিদ্র মানুষের খাদ্য সংকট, অভাব অনটন ইত্যাদি মিটানোর জন্য সরকার যে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছিল সেই ত্রাণ তৎপরতায় জন প্রতিনিধিদেরকে প্রথমেই গুরুত্বহীন করে দেয়া হয়েছিল। এর অবশ্য যৌক্তিক কারণও ছিল। মুষ্টিমেয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির ত্রাণের সম্পদ লুণ্ঠন ও আত্মসাতের কারণে এ নিয়ে সরকার কোন বিতর্কে যেতে চায়নি। বিতর্ক এড়াতেই আমলাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেকটি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সব সময় রাজনৈতিক সরকারের শিষ্টাচার ছিল যে প্রতিটি জেলায় একজন করে রাজনৈতিক মন্ত্রী সমস্ত বিষয়গুলো দেখভাল করবেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থা পাল্টে জেলায় সচিবদের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। কিন্তু সময় যতই গড়াল দেখা গেলো যে আমলারা পর্যুদস্ত হয়ে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কারণ, আমলাদের ফাইল ভিত্তিক দায়সারা এবং সরকার নির্ভর ত্রাণ তৎপরতা জনপ্রতিনিধিদের বিপুল উদ্যোগের কাছে একেবারেই পাত্তা পাচ্ছে না।
এখন যতই দিন গড়াচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, সরকারি ত্রাণ সাহায্যের উপর মানুষ আর নির্ভর করছে না বরং জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক বৃন্দের ত্রাণ সাহায্য পেয়েই তারা সন্তুষ্ট হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করা যাবে কিনা এই নিয়ে যে সংশয় ছিল সেই সংশয়ের কালো মেঘও ক্রমশ কেটে যাচ্ছে। কেন আমলারা পারছেন না রাজনীতিবিদদের সঙ্গে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে যে-
প্রথমত; আমলারা শুধুমাত্র সরকারি ত্রাণ সাহায্যের উপর নির্ভর, কিন্তু সরকারি যে ত্রাণ সাহায্য তা সব মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
দ্বিতীয়ত; আমলারা স্থানীয় লোকজনকে চেনেন না স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের তেমন সম্পর্ক নেই যার ফলে তারা সত্যিকারে কারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন বা কাদের ত্রাণ দরকার সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই।
তৃতীয়ত; যে সচিবদের কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা একদিন বা দুইদিন এলাকায় যাচ্ছেন। কিন্তু ওই এলাকার মন্ত্রী বা ওই এলাকার হেভি ওয়েট নেতার সঙ্গে ওই এলাকার নাড়ির সম্পর্ক, ওই এলাকার প্রত্যেকটির মানুষের সম্পর্কে তাদের কাছে তথ্য আছে যে কারণেই এই এমপি, জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা অনেক বেশি তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন।
আমলারা শুধুমাত্র ফাইল অনুযায়ী কাজ করছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদরা দেখছেন তারা কখন কোনটা দরকার হবে, কোনটা লাগবে। শুরুতে দেখা গিয়েছিল যে জেলা প্রশাসকরা যে ত্রাণ সাহায্য দিচ্ছেন তার উপরেই মানুষজন পুরোপুরি নির্ভর করে আসছেন এবং সরকারের ত্রাণ সাহায্যের উপর নির্ভর করে আসছেন। কিন্তু আস্তে আস্তে এমপিরা মাঠে নামতে শুরু করেন। বিশেষ করে কিছু কিছু এমপি সরকার কি করলো না করলো তার দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই কাজ করা শুরু করেছেন। নিজেদের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেন এবং যখন যেটা প্রয়োজন সেই ভিত্তিতে তারা ত্রাণ সহায়তা শুরু করেন।
শতাধিক এমপি তাদের নিজ এলাকায় মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মানুষকে সহায়তা করার জন্য। এমপিরা, জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন এটাই সুযোগ, এই সময় যদি তারা জনগনের পাশে থাকতে পারেন তাহলে আগামী নির্বাচন হয়তো তাদের জন্য সহজ হবে। এই সুযোগটিকে তারা কাজে লাগিয়েছেন। আবার রাজনীতিবিদদের বৈশিষ্ট্যই হল তাদের যাই থাকুক না কেন তাদেরকে জনগণের সাথে সম্পর্কিত থাকতে হয়। আর জনগণের সঙ্গে তারা সম্পৃক্তই থাকেন জন্যই তারা রাজনীতিবিদ হতে পেরেছেন।
শেষ বিচারে রাজনীতিবিদরা বা জন প্রতিনিধিরা জানেন, জনগণ যদি তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেন তাদের কিছুই নাই। অন্যদিকে আমলারা জানেন যে জনগণ তাদেরকে গ্রহণ করলো না প্রত্যাখ্যান করলো তাদের কিছু যায় আসে না। তারা সরকারি চাকুরে, আজকে তারা এই এলাকায় আছেন কালকে অন্য এলাকায় চলে যাবেন। কাজেই জনপ্রতিনিধিদের জন্য এই সংকটে জনগনের পাশে দাঁড়ানো তাদের অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ আর আমলাদের জন্য এটা একটা চাকরি। এই বিবেচনায় ক্রমশ আমলারা পরাজিত হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে।
মন্তব্য করুন
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা
মন্তব্য করুন
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ইব্রাহিম রাইসি বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের
তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশের ১১১ টি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আগামী
২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১১১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
এতে বলা হয়, ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন ১১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।
বর্ণিতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন
আজ ২১ শে মে ষষ্ঠ তম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ৬ টি উপজেলায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,যা বিরতহীনভাবে বিকাল ৪ পর্যন্ত চলবে। উপজেলা নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলাসহ মুক্তাগাছার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র ঘুরেফিরে দেখেন ডিসি এবং এসপি। তারা ভোট কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদেরকে দিকনির্দেশনামূলক নানা পরামর্শ দেন ডিসি ও এসপি।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে জেলা আনসার কমান্ডার ড.মোস্তারী জাহান ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট (সার্কেল)সাগর সরকার ও সদর সার্কেল শাহিনুল ইসলাম ফকির,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মাহামুদা হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কোন ধরনের সহিংসতার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ,অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একাধিক টহল টিম ভোটের মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিজিপি,আনসার র্যাব ও ডিবির সদস্যরা সহায়তা করছে।’
উপজেলা নির্বাচন ভোটকেন্দ্র কেন্দ্র পরিদর্শন
মন্তব্য করুন
গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অনির্ধারিত দুটি বিষয় আলোচনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দ্রব্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কেন?
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাবেক সেনাপ্রধান অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হারাবেন। আসুন, দেখে নেয়া যাক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের কারণে তিনি কি কি হারাবেন।
আজ ২১ শে মে ষষ্ঠ তম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ৬ টি উপজেলায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,যা বিরতহীনভাবে বিকাল ৪ পর্যন্ত চলবে। উপজেলা নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।