নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৬ মে, ২০২০
করোনা সঙ্কট মোকাবেলার জন্য ছুটি বাড়ানো হবে কিনা এই নিয়ে সরকারের মধ্যে দুই ধরণের মতামত পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে বাংলাদেশের যে করোনা পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতির কারণে আরো কিছুদিনের জন্য কঠিনভাবে ছুটি আরোপ করা দরকার। অন্যদিকে সরকারের নীতিনির্ধারক এবং আমলারা মনে করছেন যে ছুটি না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। কারণ এই সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সবকিছু বন্ধ রাখলে যে ক্ষতি হবে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।
সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এই দুই ধরণের মতামত পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরে সরকার পর্যায়ক্রমে কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার সব ধরণের সভা-সমাবেশ এবং গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে দেয়। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ২৬শে মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে এবং ৭ দফায় এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে যা আগামী ৩০শে মে শেষ হচ্ছে। ছুটি যে সময় শেষ হচ্ছে সেই সময়ে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে শুরু করেছে এবং প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যারা চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ তাঁরা মনে করছেন যে ছুটি বাড়ানো দরকার। ইতিমধ্যে করোনা মোকাবেলায় যে টেকনিক্যাল কমিটি গঠিত হয়েছে সেই কমিটি আরো ছুটি বাড়ানো এবং বিশেষ করে কঠোরভাবে ছুটি পালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করার অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে।
এই কমিটির অন্যতম সদস্য ইকবাল আরসেনালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, অনেক মানুষ ঈদের কারণে ঢাকা ছেড়েছে এবং এদেরকে অন্তত কিছুদিন নিভৃত করা দরকার। একই ধরণের মন্তব্য করেছেন টেকনিক্যাল কমিটির আরেক সদস্য শাহ মুনীর। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহও ছুটি নয়, কঠোরভাবে লকডাউন বা কারফিউ দেওয়ার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তবে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক আমলারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন যে, এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ছুটি বাড়ালে অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সেই প্রভাব করোনার থেকেও ভয়াবহ হবে এবং তাঁরা আস্তে আস্তে ছুটি শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ৩০শে মে যে ছুটি শেষ হচ্ছে তা বাড়ানো হবে কি হবে না তা নিয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে জানা গেছে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। আমলারা যারা এখন সরকারের নীতিনির্ধারনী কর্তৃত্বের অবস্থানে আছেন তাঁরা ছুটির মেয়াদ না বাড়ানোর পক্ষে। বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে সবকিছু চালু করে অর্থনীতিকে সচল রাখার দিকে মনোযোগ দেয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন এবং ঈদের আগে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভাষণেও ছুটি না বাড়ানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য আয়রোজগারের পথ বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। তাই এই ছুটি ৩০শে মে এর পর কি হবে এই নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আমলারা মনে করছে যে, বাংলাদেশের যে করোনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আরো দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে। ইতিমধ্যেই যে ছুটি দেয়া হয়েছে তাঁর কারণে অর্থনীতির উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, দারিদ্রের হার বেড়েছে, প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং এই অর্থনৈতিক সঙ্কট সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কাজেই করোনার থেকে তাঁরা অর্থনৈতিক সঙ্কটকে সামাল দেয়া কঠিন বলে তাঁরা মনে করছেন এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেন ধীরে ধীরে চালু হয় এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার উপর যেন আমরা কাজ করি সেটার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমলা এবং বিশেষজ্ঞদের এই দ্বৈরথে সরকার শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড লু
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি।
তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, 'এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।'
বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে এম মেজবাহ উদ্দিনকে মেয়র হিসেবে জয়ী করতে এক হাজার মানুষকে তাঁবু টানিয়ে দুদিন ভাত খাইয়েছি। প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করেছি। এরপর সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাকে চাপ দেওয়া হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, ডিসি, ইউএনও, ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লাখ লাখ টাকা সহায়তা করেন এবং উপঢৌকন দেন। করোনাকালীন প্রশাসনকে উপকরণ সহায়তাসহ নগদ টাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনে টাকা ব্যয় করার কথা উল্লেখ করে সারু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। আমি নির্বাচনের সময় তার জন্য ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন তিনি বিএনপি-জামায়াতকে রামগতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাচনে এমপি মামুন বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের পক্ষাবলম্বন করার তীব্র সমালোচনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এমপি সাহেব আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তিনি এখন বিএনপি নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত রামগতি- কমলনগরকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছেন।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমপির পক্ষে নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করে ড. সারু বলেন, এমপি আব্দুল্লাহ অতীতের মতো আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় দেবেন না এবং জামায়াত বিএনপিকে লালন-পালন করবে না বলে ওয়াদা করায় আমি তার নির্বাচন করেছি। কিন্তু এখন তিনি তার কথা রাখেননি। তিনি আবারও সেই আগের মতোই কাজ করছেন। এমপি এলাকায় সন্ত্রাস নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন। স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে নির্বাচন করায় রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদকে অথর্ব উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে ড. সারু ভোট করেছেন রোকেয়া আজাদের আনারস প্রতীকের। সেখানেও তিনি ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের কঠোর সমালোচনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম নিজাম, সহসভাপতি একরামুল কবির টিটু, সদস্য ও পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সাহেদ আলী মনুসহ অনেকে।
বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. সারু বলেন, আমি যা বলেছি সবই সত্য। আমার বক্তব্যেই আমার উত্তর রয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আশ্রাফ আলী সারু সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে ২২ দিন প্রচার করেছেন। বিনিময়ে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাও নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ফজলু নামে এক রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে সাভারের এক ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রেখেছে রিকশাচালকরা।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রিকশাচালক দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বাসনাপুর মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের রেকার ড্রাইভার সোহেল রানা ও মোস্তফা।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফজলু বলেন, আমি পাকিজার সামনে থেকে রিকশাচালিয়ে গেন্ডার দিকে আসছিলাম। এসময় একটি মোটরসাইকেলে করে দুই ট্রাফিক পুলিশ আমাকে ধাওয়া দেয়। পরে আমি গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসে রিকশা ব্রেক করি। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ট্রাফিক পুলিশ নেমে আমার বাম পায়ে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। কিন্তু আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করি, কিন্তু পারিনি। পরে আমি সড়কে পড়ে যাই সেখান থেকে আর দাঁড়াতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আমাকে মারধর করা থামায় ট্রাফিক পুলিশ। এরপরে আমাকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান তিনি।
রুবেল নামে অপর এক রিকশাচালক অভিযোগ করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশরা সকাল থেকেই টাকার জন্য রিকশা ধরে। রিকশা ধরলেই দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। আর যদি কেউ টাকা না দেয় বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য আমরা আজকে সড়কে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের বাঁধা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
রেকার চালক মোস্তফা বলেন, আজ আমার ডিউটি ছিল না। আমি এ মারামারির বিষয়ে কিছুর জানি না। বর্তমানে আমি স্যারের সঙ্গে রয়েছি। পরে কথা বলবো বলে জানান তিনি।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিকশা চালকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিস্তারিত ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন জানেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীধ চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ট্রাফিক পুলিশ রিকশাচালক আহত রিকশাচালক দিনাজপুর জেলা
মন্তব্য করুন
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার জন্যও বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর যেন পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে গেল। সব ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড লু মার্কিন নীতির পরিবর্তিত অবস্থার একটি জানান দিলেন। ডোনাল্ড লু’র এই সফরের শেষ প্রান্তে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বাংলাদেশ নীতি সম্পূর্ণ যে বদলে ফেলেছে সেই বার্তাটি দেওয়ার জন্যই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, 'এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।'