নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ৩০ মে, ২০২০
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের আরও এক সদস্য প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি করোনায় প্রাণ হারানো মোরশেদুল আলমের পুত্রবধূ ইশফাক আরা জাহান রাফিকা।
রাফিকা মৃত মোরশেদুল আলমের ছেলে মাহমুদুল আলম আকিবের স্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে রাফিকার করোনা শনাক্ত হয়।
এর আগে গত ২২ মে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বড় ভাই মোরশেদুল আলম। এছাড়া ভাইরাসটিতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা-ছেলে, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের আট সদস্য আক্রান্ত হন।
চট্টগ্রামের এলিট সোসাইটির এ পরিবারে কিভাবে করোনায় সংক্রমিত হলো এ নিয়ে শুরু থেকেই নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, তখন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মেয়ে জেবা জামান চৌধুরীর সঙ্গে এস আলম পরিবারের আরেক সন্তান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবুর ছেলে আতিকুল আলমের বাগদান সম্পন্ন হয়।
সরকারি নির্দেশনার কারণে আলোচিত এ বাগদান অনুষ্ঠানের কথা সাধারণ মানুষ না জানলেও আনু্ষ্ঠানিকতার কমতি ছিল না। নগরের সার্সন রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে ঘরোয়া এ বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের অর্ধশতাধিক লোকের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও ছিল।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামের ধনিয়ালাপাড়াস্থ বায়তুশ শরফ দরবারের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের ভক্ত ও অনুসারী। এস আলম পরিবারের সদস্যরা যে কোনো শুভ কাজে পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের দোয়া নিতেন। তাদের পারিবারিক সব অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতেন। বাগদানের অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিন। তিনি মোনাজাতের মাধ্যমে বর-কনের দাম্পত্য জীবনে শান্তি কামনা করেন। বর-কনে পীরের পা ছুঁয়ে সালাম করেন, দোয়া নেন।
এ অনুষ্ঠানের পরপরই এস আলম পরিবারে ৯ সদস্য এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হন। পরে ২০ মে রাজধানীর ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাওলানা শাহ কুতুব উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
একদিন পর ২২ মে রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান এস আলমের বড় ভাই ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম। ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এমপি দিদারের মেয়ে ও করোনায় মারা যাওয়া মোরশেদুল আলমের পুত্রবধূ ইশফাক আরা জাহান রাফিকাও ছিলেন।
তবে লকডাউনে সিঙ্গাপুরে আটকে থাকায় বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেননি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার স্ত্রী।
ওই বাগদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, এস আলম গ্রুপের পরিচালক রাশেদুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, পরিচালক মো. শহীদুল আলম, পরিচালক ওসমান গণি ও ৩৬ বছর বয়সী এক নারীসহ মোট ৯ সদস্য। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ভাইয়ের মৃত্যুর পর আক্রান্ত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই করোনা মুক্ত হয়েছেন।
ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছোট ভাই গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু এবং পরিচালক শহীদুল আলমের ফলোআপ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
দ্বিতীয় দফার নমুনা পরীক্ষায় এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং অপর পরিচালকের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। তারা করোনা মুক্ত হিসেবে আজ বা আগামীকালের মধ্যে ছাড়পত্র পেতে পারেন। তবে চেয়ারম্যানের মাসহ আরও দুই ভাই এখনও চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন