নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ০৫ জুন, ২০২০
বাংলাদেশে বছরে এক হাজার কোটি টাকার বেশি পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে। প্রতিদিন অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া হয় ২০ হাজারের বেশি অর্ডার। আর বর্তমানে দেশে ওয়েব ভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এক হাজারের বেশি। আর শুধু ফেসবুকভিত্তিক আছে ১০ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা।
এখানে যেমন অসংখ্য অনলাইন শপ রয়েছে। তেমনি অনলাইনে অর্ডার করা পণ্য জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়ার জন্যও রয়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী। প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণের কারণে এ সমস্ত অনলাইন শপগুলো আরও জমে উঠেছে। কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চিন্তা ও করোনা আতঙ্কে এখন অনেকেই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিষয়টি। তারা জানান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই এখন অনলাইনে কিনছেন তারা।
বাংলাদেশে কর্মপদ্ধতির দিক থেকে অনলাইন শপিং এর দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে৷ এক ধরনের প্রতিষ্ঠান হলো, যারা পুরোটাই অনলাইন শপ। অনলাইনে তাদের পণ্যের নমুনা এবং দাম দেয়া থাকে। ক্রেতারা অনলাইনেই পণ্য পছন্দ এবং অর্ডার করেন। ক্রেতাকে তাঁর বাসা বা ডেলিভারি পয়েন্টে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়। আরেক ধরনের হলো অনলাইন মার্কেট প্লেস। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় সক্রিয় থাকেন। কেউ পণ্য বিক্রির অফার করেন। আবার কেউ বা কিনতে চান যোগাযোগটা অনলাইনের হলে বেচা-কেনা হয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে। তাই চলুন করোনার এই সময়ে কিছু অনলাইন মার্কেট সম্পর্কে জেনে নেই।
Kaymu.com.bd প্রথমেই আছে রকেট ইন্টারনেট এর প্রোজেক্ট সাইটটি। এটি জার্মান কোম্পানির। এটি ভেন্ডর বেইজড একটি সাইট যেখানে প্রায় সব ধরনের প্রোডাক্ট কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন। Ajkerdeal.com বাংলাদেশ ভিত্তিক প্রথম বাংলা ই-কমার্স। বাংলাদেশি মালিকানায় বাংলাদেশি প্রথম ই-কমার্স সাইট আজকেরডিল ডট কম। এটি বিডি জবস এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এই সাইট থেকে আপনি প্রায় সকল ধরনের শপিং করতে পারবেন। অনলাইন এ বই কিনার কথা ভাবছেন? তাহলে Rokomari.com একবার আপনাকে প্রবেশ করতেই হবে। শুধুমাত্র অনলাইন বই কিনার জন্যে বাংলাদেশি সাইট রকমারি ডট কম এখন অনলাইন শপিং রাঙ্ক এর তৃতীয় তে আছে। Akhoni.com- বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন শপিং সাইট তবে এখন চতুর্থতে আছে। Daraz.com.bd জার্মান বেইজড কোম্পানি রকেট ইন্টারনেট এর আরেকটি শপিং সাইট বাংলাদেশে আছে পঞ্চম রেঙ্কিং এ।
eGhor.com ই-ঘর লিমিটেডের ই-কমার্স সাইটটি বাংলাদেশি অনলাইন শপিং ক্যাটাগরি তে বর্তমানে আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। এই সাইট থেকেও প্রায় সকল ক্যাটাগরির শপিং আপনি করতে পারবেন। branoo.com- ইঘর এর ঠিক পরপরই থাকছে ব্রাননো এর অবস্থান। ব্রান্ডেড পারফিউম প্রসাধনী এবং অন্যান্য ব্রান্ড প্রোডাক্ট কিনার জন্যে এই সাইট আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। Esho.com- সপ্তম অবস্থানে আছে। অনলাইন থেকে ক্লথিংস কিনাকাটার জন্যে এসো কে আপনি বেছে নিতে পারেন। jemontemon.com- ইঘর লিমিটেড এর আরেকটি প্রোজেক্ট। বিউটি এবং ফ্যাশান এক্সেসরিজ এর জন্যে এই সাইট এ আপনি কেনাকাটা করতে পারেন। priyoshop.com - বাংলাদেশি অনলাইন শপিং এর জন্যে পপুলার আরেকটি সাইট। আপনি প্রায় সকল ক্যাটাগরির শপিং করতে পারবেন এই সাইট থেকে। bdhaat.com দশম অবস্থানে আছে। অনলাইন শপিং এর জন্যে ভালো আরেটি সাইট। এর বাইরে আরও অসংখ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। করোনাকালীন কেনাকাটার জন্য বেছে নিতে পারেন এসব অনলাইন শপ।
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।