ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারে ভারতের সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৭ জুন, ২০২০


Thumbnail

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার তথা আদালতের অনুকম্পার পাশাপাশি তারেক-ড.কামাল গং বসে নেই। তাঁরা তাঁদের দেশ ও সরকার বিরোধী নোংরা খেলা অব্যাহত রেখেছেল। একদিকে খালে জিয়াকে সরকারের সুনজরে রাখা আর অন্য দিকে তোলে তোলে সরকার হটানোর জন্য আটঘাট বেঁধে নেমেছেন দুর্নীতি ও খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক জিয়া।  

বিএনপি-জামায়াত চক্র ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনাসহ দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়াটা স্বাভাবিক পর্যায় হিসেবে যখন পরিগণিত হচ্ছে, তখন নতুন ছক নিয়ে মাঠে নেমেছে। নতুন কৌশল হিসেবে ভারতের সাবেক বিবিসি প্রতিনিধি সুবীর ভৌমিককে দিয়ে বাংলাদেশের সরকার বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আর প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার কিছু আজগবি গল্প একে। এ ধরণের গল্প শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে এসএসএফ সদস্য দ্বারা হত্যা পরিকল্পনার বানোয়াট গল্প দিয়ে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরণের সংবাদের বিরুদ্ধে তখন তীব্র প্রতিবাদও করা হয়েছিল।

বিএনপি এইবার প্রোপাগান্ডার অস্ত্র হিসেবে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে? সেই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, বিএনপির রাজনীতি মানেই সেনাবাহিনীর বলয়ে আর্শীবাদপুষ্ট একটি দল। যে দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এখন সুদূরে ঝলক দেওয়া এক মরীচিকা। জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন একটি দল যারা সব সময়ে সেনাবাহিনীর উপর ভর করতে চায়। কোন নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেসি প্রস্তাব করে আবার এই করোনাকালেও এইড টু সিভিল প্রশাসন হিসেবে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হলে তারা তার সমালোচনা করেন। অরাজক একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারা সব সময়ে থাকে বিএনপির। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ ও পেশাদার সুশৃঙ্খল একটি বাহিনী। এ বাহিনীর নামে আজগুবি গল্প তৈরি করে ফায়দা তোলার চেষ্টায় লিপ্ত।  

বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে সরিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিকুর রহমানকে পরবর্তী সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে- এমন আজগবি ও বানোয়াট গল্প নিয়ে আবারও হাজির হচ্ছেন একদা বিবিসির সাবেক ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।

‘A crack in the hornets’ nest strife within Bangladesh Military order’ শিরোনামে সুবীর ভৌমিকের নামে গত ১০ জুন এ সংবাদটি প্রচার করে The Telegraph, Online Addition.

‘Why Bangladesh Army Chief is Dragged Into Controversy ‘ শিরোনামে সুবীর ভৌমিকের করা গত ১৪ জুন এ সংবাদটি প্রচার করে The eastern Link. দুটি লেখাতেই তিনি জেনারেল আজিজ আহমেদ এর বিপক্ষে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার ষড়যন্ত্র তথ্যে কার লাভ? এই মুহূর্তে মোটা দাগে বলতে গেলে বিএনপির চাওয়াটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তুলে ধরছে সুবীর ভৌমিক। আর সুবীর ভৌমিক যে ভাষায় এবং যে সুরে সংবাদ প্রচার করছেন, সেই একই তথ্যগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার করছে বিএনপি’র নেতা- কর্মীরা। বর্তমান সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিকুর রহমান পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন এমন তথ্য প্রচার করছে তারা। কমেন্টে অভিনন্দনও জানাচ্ছেন তারা। সুকৌশলে একটি বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে গুজব ছড়িয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পায়তারা করছে তারা। অর্থাৎ ইকুয়েশনটা খুব সহজে মিলে যাচ্ছে। আর এ কাজে সুবীর ভৌমিককে মনগড়া তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন সাবেক আর্মি অফিসার।

জানা গেছে যে, তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে বসে বাংলাদেশে ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা লেখা অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন তিনি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ www.sheikhnews.com নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালান। তিনি বাংলাদেশে দৈনিক শক্তি পত্রিকায় কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন এবং লিবারেল পার্টি পরিচালনা করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও জামায়াতপন্থী সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ বিএনপি জামায়াতের সাংবাদিকদের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো।

বিএনপি তথা চারদলীয় জোটের পতনের পর ২০০৭ সালে শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ লন্ডনে গিয়ে বাংলাদেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করা শুরু করেন। সভা সেমিনার ফেসবুক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বাংলাদেশ, সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা কথা বলেন এবং লিখেন। এ কারণে তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে নাগরিকত্ব পাননি।লন্ডনে গিয়ে তারেক জিয়ার সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেন। তারেক জিয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলে তিনি তারেক জিয়ার কথামতো বাংলাদেশ ও সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে ষড়যন্ত্রে নামেন। লন্ডনে বসে sheikhnews.com অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে আওয়ামী লীগ, সরকার ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট লেখা লিখেন। লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় না পেয়ে পরে তিনি আয়ারল্যান্ড গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নাগরিকত্ব পান। তারেক জিয়ার কথামতো তিনি আয়ারল্যান্ডে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। সুবীর ভৌমিক যে সুরে যে তথ্য প্রকাশ করছেন সেই একই তথ্য প্রচারে নেমেছেন শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ।

আমরা অনেকেই জানি যে, ২০১৬ সালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। আর সেই বৈঠকটিও করা হয় ভারতে। বিবিসিসহ প্রায় সকল গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার পায়। পরে আসলাম চৌধুরীকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হলে তিনি তা স্বীকার করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম মিজ্জিমা তে সুবীর ভৌমিক প্রকাশ করলেন- বিপথগামী এসএসএফ’র ৬/৭ জন সদস্য দ্বারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র। দেশের সবচেয়ে প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিপক্ষে এমন মনগড়া গল্পকে নাকচ করে কড়া স্টেটমেন্ট দেয় সরকার। অর্থাৎ এ ধরণের বানোয়াট গল্প তৈরি করে সরকার ও প্রশিক্ষিত বাহিনীর মধ্যে দূরত্ব তৈরির পায়তারা করছে সুবীর ভৌমিক। ২০১৮ সালের জুনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তারেক রহমানের উপদেষ্টা ও দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভারতের মন গলাতে গোপনে সেদেশ সফর করেন। সফরে তারা ক্ষমতাশীল বিজেপিসহ কিছু রাজনৈতিক -অর্থনৈতিক বিশ্লেষকের সংগে দেখা করেন বলে তখন বিবিসি সহ ভারতীয় গণমাধ্যম খবর প্রচার করে। বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির দ্য হিন্দুকে দেয়া এক মন্তব্য এ বলেন, বিএনপি আমলগুলোতে ভারত ও বাংলাদেশের খারাপ সম্পর্ককে ভুল নীতি হিসেবে আখ্যা দেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলো চীন -রাশিয়া ভ্রমণ করছেন রাজনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু প্রশ্নটা উঠে যখন সফরটা গোপনে হয়। তাই এটা প্রমাণিত হয় যে, লন্ডনে পলাতক থাকা তারেক রহমানের নির্দেশে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আঁতাত করতেই সেখানে যান তারা। সেই আঁতাতের ফসল সুবীর ভৌমিক।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা বিএনপি-জামায়াতের নতুন কোন কৌশল নয়; ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ আমেরিকান পত্রিকা The Washington Times এ ‘The Thankless Role in Saving Democracy in Bangladesh’ শিরোনামে আর্টিক্যাল লিখে আমেরিকাকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকে দেয়া জিএসপি সুবিধা বাতিলের দাবি জানায় বিএনপি সভানেত্রী স্বয়ং খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়া মুখে যখন দেশপ্রেমের কথা বলেন, তখন জাতির কাছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছু মনে হয়না। ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে দেশের বিরুদ্ধে যেতেও তাদের বেগ পেতে হয়না। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সেনাপ্রধানের দূরত্ব হলে তিনি অবশ্যই টিকতে পারেননা।

তাই এটা বলা বাহুল্য যে, জেনারেল আজিজ সরকারের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করোনা কালে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। যারা ১৯৭১ সালে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে একটি মানচিত্রের জন্ম দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষিত বাহিনী বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা সমুন্নত করছেন। মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম মিজ্জিমা গ্রুপের কনসাল্টিং এডিটর সুবীর ভৌমিককে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, গুজব আবার সাংবাদিকতা এক হলো কবে? তাই বিবিসির সাবেক সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় না দিয়ে সুবীর ভৌমিকের উচিত নিজেকে তারেক বি এন পি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া।

 সূত্র: দৈনিক নতুন সন্ধানে, অন্যান্য



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিনি যদি দেশে না ফিরতেন

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল। 

শেখ হাসিনা যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তখন তিনি ছিলেন রিক্ত নিঃস্ব। তিনি মা-বাবা, ভাই, ভাবি সবাইকে হারিয়েছিলেন। তাঁর পাশে ছিল শুধুমাত্র এদেশের জনগণ এবং সেই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই তিনি দেশে ফিরছিলেন। 

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন তখন এই দেশের অবস্থা কী ছিল? জিয়াউর রহমানের একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচারী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছিল। সেই সময় রাতে কারফিউ জারি করা হত, নির্বিচারে মানুষকে গ্রেপ্তার করা ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারাগারগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। প্রতিরাতে কারাগারে বিচারের নামে প্রহসন হত এবং আইনের শাসনের তোয়াক্কা না করে দণ্ডিত ব্যক্তিদেরকে ফাঁসির কাস্টে ঝোলানো হত। এভাবে মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে ফেরেন তখন গণতন্ত্র ছিল বন্দি, সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছিল, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সব আয়োজনই সম্পন্ন হয়েছিল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের এক দুর্দান্ত দাপট আমরা লক্ষ্য করেছিলাম পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের শিরোমণি গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ছিল এক অন্ধকার আচ্ছন্ন হতাশাগ্রস্থ বিবর্ণ দেশ।

এবার আমরা যদি কল্পনা করি যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলেন না তাহলে বাংলাদেশ কী হতো? বাংলাদেশ কী হত তা ১৯৭৫ থেকে ৮১ সালের সময়কালে যেভাবে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল সেই পথ রেখা বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এতদিন বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রটি থাকত কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ একনায়ক জিয়াউর রহমানের অনেক দোসররাই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার জন্য আলাপ আলোচনা শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টে দেওয়া নিয়েও আলাপ আলোচনা হচ্ছিল।

জিয়াউর রহমান শুধু স্বৈরশাসক ছিলেন না, তিনি নির্মম একজন ঘাতক ছিলেন। প্রতিপক্ষকে হত্যা করাই ছিল তাঁর রাজনীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে পরে এ দেশে বিনা বিচারে কত মানুষ মারা যেত তা হয়ত আমরা অনুমানও করতে পারিনা। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। বিচার পাওয়া, ভোটের অধিকার সবগুলোই কুক্ষিগত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা আসার কারণেই গণতন্ত্র এসেছে। মানুষ কথা বলার অধিকার পেয়েছে। 

জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরাই পরোক্ষভাবে দেশ চালাত। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে এতদিনে হয়ত রাজাকাররাই দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করত। বাংলাদেশে একটি রাজাকারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হত। খুনিদের পক্ষে বাংলাদেশ কনফেডারেশন করত। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কিছুই হত না। বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্রের একটি দুর্ভিক্ষ পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের করুণার পাত্র হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ হয়ত মৌলবাদের একটি চারণভূমি হত। আফগানিস্তান হত। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে না আসতেন তাহলে এই দেশ হয়ত একটি হতাশাগ্রস্ত দরিদ্র পীড়িত রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হত।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব সাঈদ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়   সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজের অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


অস্ট্রেলিয়া   এন্থনি এলবানিজ   বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ডিপ্লোমেসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।

বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।

কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।

প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জো বাইডেন   ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যা্লেঞ্জ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

ছাগলনাইয়া উপজেলা   মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন