ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার ব্যতিক্রমী ১০ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে গত ৮ মার্চ থেকে। এর আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, করোনা মোকাবেলায় নানারকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। একদিকে তিনি যেমন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্যদিকে মানুষ যেন জীবিকা নির্বাহ করে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোট ৭৪ টি নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ৭৪ টি নির্দেশনাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে দশটি নির্দেশনা অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এবং যে নির্দেশনাগুলো প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা কিভাবে বহুমাত্রিক নেতা এবং একটি দেশের জনকল্যাণের চুলচেড়া বিষয়গুলোর দিকেও তিনি নজর রাখেন। জনকল্যাণের জন্য তিনি সর্বদা সজাগ এবং কোনকিছুই তাঁর নজর এড়ায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ টি নির্দেশনার ভেতরে বাছাইকৃত ১০ টি নির্দেশনা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

১. নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ-এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

পহেলা এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সেদিন ৩১ দফা যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাঁর মধ্যে সপ্তম নির্দেশনা ছিল এটা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে নদীবিধৌত দেশের সব স্থানে যে এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া যাবেনা, নৌ-এ্যাম্বুলেন্সও দিতে হবে এই বোধটি প্রধানমন্ত্রীকে ব্যতিক্রমধর্মী এবং সংবেদনশীল এক নেতা হিসেবে পুনরায় প্রমাণ করে।

২. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

পহেলা এপ্রিল শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৪তম নির্দেশনা ছিল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। যেসময় করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে সাধারণ ছুটির কারণে, তখনো প্রধানমন্ত্রী বুঝেছিলেন যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং করোনা সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট-ও প্রকট হবে এবং এখন থেকেই সেজন্য কাজ করতে হবে।

৩. খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, জমি পতিত না রেখে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার আরেক নিদর্শন হচ্ছে এটা। এটাও পহেলা এপ্রিল দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৫ তম নির্দেশনা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই বুঝেছিলেন যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে এবং এখন থেকেই বাংলাদেশ যেন এই খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়। এবং সম্প্রতি এফএও বলেছে যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে যে দেশগুলোতে খাদ্য সঙ্কট হবেনা সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

৪. যে সকল চিকিৎসক এবং নার্স কোভিড-১৯ এর শুরু থেকে কাজ করেছেন তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করে পুরস্কৃত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনাটি দিয়েছিলেন ৭ এপ্রিল এবং সেদিন যে ১০ দফা নির্দেশনা তিনি দেন তাঁর মধ্যে ষষ্ঠ নির্দেশনা ছিল এটা। এর মাধ্যমে তিনি বুঝেছিলেন যে, করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং নার্সরা হচ্ছেন সম্মুখ সমরের যোদ্ধা এবং তাঁদেরকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা না করলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।

৫. জীবনে চলার জন্য কাজ করতে হবে, তবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করতে হবে।

১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দশ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাঁর মধ্যে তৃতীয় দফা ছিল এই নির্দেশনাটি এবং এর মাধ্যমে তিনি করোনা মোকাবেলার কৌশল সুস্পষ্ট করেন। অর্থাৎ একদিকে মানুষকে কাজ করতে হবে, অন্যদিকে নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে, সুরক্ষিত থাকতে হবে। মূলত শেখ হাসিনাই প্রথম একসঙ্গে অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল দিয়েছিলেন, যে কৌশলটি এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনুসরণ করছে।

৬. খাদ্য উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারো এক খণ্ড জমিও যেন অনুতপাদিত না থাকে।

২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই ১৩ দফার ভেতরে এটা ছিল চতুর্থ দফা নির্দেশনা। এর মাধ্যমে তিনি আরো বেশি করে খাদ্য উৎপাদন এবং জমি যেন খালি পড়ে না থাকে সে ব্যাপারে নজর দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিতা এবং বিচক্ষণতার প্রমাণ হলো এটা যে, তিনি বুঝেছিলেন যে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারবো।

৭. গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।  

উল্লেখ্য যে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত এবং এই ট্রাস্টটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। কাজেই শেখ হাসিনা যে নিজে কাজ করে নেতৃত্ব দেন সেটি আরেকবার প্রমাণ করেছিলেন। তাদের যে হাসপাতাল, সেই হাসপাতালটি তিনি কোভিড ১৯ হাসপাতালে পরিণত করে প্রমাণ করেছেন, তিনি যেটি বলেন সেটি করেন। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু ভবনটি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছিল। নিজেদের যে সম্পদের লোভ নেই, জনগনের জন্য যে তারা উৎসর্গকৃত সেটা এই নির্দেশনা দিয়ে আরেকবার প্রমাণ করলেন। 

৮. সুরক্ষা সামগ্রী যারা সরবারহ করে তারা সঠিকভাবে তা দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। 

বাক্সের মধ্যে কি আছে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন।
 
৯. দুধ ফেলে না দিয়ে কাউকে দিন, আপনার প্রতিবেশী বা দরিদ্র মানুষদের দিন। 

করোনা সংক্রমণের পরই বাংলাদেশে ডেইরী শিল্পে একটা সঙ্কট শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ উদ্যোগের কারণে এই সঙ্কট থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ করতে পেরেছে। এই সময় মানুষ দুধ বিক্রী না করতে পেরে ফেলে দিচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাটি ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। এরপর ডেইরী এবং পশু সম্পদে যারা কাজ করেন তাদের বিভিন্ন রকম উৎসাহ এবং প্রণোদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই খাতটিকে সুরক্ষিত করেছিলেন। 

১০. প্রতি জেলায় আইসিইউ ব্যবস্থা নিতে হবে। 

২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী যে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে অষ্টম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং সারাদেশে মানুষ যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাই বলে দেয় যে তার সবদিকে খেয়াল। তার রাজনৈতিক দুরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা এবং মানুষের জন্য ভালোবাসা অনন্য অসাধারণ। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন