নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২০
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট বহুমুখী। একটা সংকটের চেয়ে আরেকটা বড়। করোনা যেন সব সঙ্কট শেষ করে দিলো। সব শেষ করা মানে, এই ইন্ডাস্ট্রির আঁকড়ে ধরার আর তেমন কিছুই রইলো না। সিনেমাগল ঠিক কবে খুলবে তার নিশ্চয়তা নেই। এমনিতেই হলগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন খুলে ভুর্তুকি আর কত দেওয়া যায়! যদিও অনেকে বলছেন, রেস্টুরেন্টসহ শপিংমল, দোকানপাট খুললেও সিনেমাহল কেন খোলা যাবে না? সিনেমা হল খুলতে যে সিনেমা দরকার সেটাও কি বাংলাদেশে আছে? বাংলাদেশের সিনেমা বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক পরামর্শই অনেকে দেয়। তবে বাস্তবিক যে সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার।
১. বেসরকারী বড় বড় কোম্পানীগুলো চলচ্চিত্র শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, গ্রামীনফোন এসব বড় বড়ঙ্কোম্পানীগুলো চলচ্চিত্র বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে হয়তো সুদিন ফিরতো, তবে তাদের কোনো আগ্রহ নেই চলচ্চিত্র শিল্পে বিনিয়োগের কারন ওই একটা। মেধাবী নির্মাতার অভাব, শিল্পী সংকট ও ছোট বাজার।
২. সব কিছুর জন্য সরকারের দিকে চেয়ে থাকার প্রবনতা দূর করতে হবে। ছবির উন্নয়ন হচ্ছে না। সরকারের দিকে চেয়ে থাকে বাংলাদেশি ফিল্ম মেকাররা। নিজেরা সমন্বিতভাবে কোনো উদ্যোগ নিবে বেসরকারীভাবে সেই প্রচেষ্টা নেই। সরকারমুখীতা চলচ্চিত্র শিল্পের বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। সরকার তো ছবি বানিয়ে দিবে না। ছবি তাদেরই বানাতে হবে। নিজেদের নেই মেধা। তাই সরকারের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করতে চায় বাংলাদেশি ফিল্ম মেকাররা। কাউকে প্রতিহত করার জন্য ঠিকই রাস্তায় নামে শিল্পীরা। কিন্তু কখনো কোন মিটিং করতে শোনা যায় না, যেখানে সব শিল্প পরিচালকরা বসে সিনেমা নিয়ে কথা বলবেন। প্রযোজকদের নিয়ে বসে এমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় না যেন নতুন সিনেমা নির্মাণ হয়। এখন সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. তথ্যমন্ত্রী অভিবাবক হয়েও সবাইকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নিতে পারেন। তিনি প্রযোজকদের নিয়ে বসতে পারেন। তাদের সবাইকে ডেকে বলতে পারেন কে কত এখন ইনভেস্ট করতে পারেন। সেই অর্থ দরকার হয় একসঙ্গে করে সিনেমা নির্মাণের প্লান করা যায়। সেই অর্থ দিয়ে ভাগ ভাগ করে কয়েকজন পরিচালককে দিয়ে একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এই সিনেমাগুলোর ক্রমান্বয়ে মুক্তি পাবে। এর মার্কেটিং সরকার উদ্যোগ নিয়ে করবে। সরকারী- বেসরকারী চ্যানেলে এর মার্কেটিং করতে হবে।
৪. বাংলাদেশি ফিল্ম মেকারদের মধ্যে সবকিছু ভারতীয় ছবির নকল করে বানানোর প্রবনতা ব্যাপক। নিজের থেকে যে কিছু ইনপুট দিবে সেই মেধা নেই। তিনটা ভারতীয় ছবি ইউটিউবে বা পাইরেট বে থেকে ডাউনলোড করে দেখে সেটার কপি ছবি বানায়। এখান থেকে কিছু সিন, ওখান থেকে কিছু সিন নিয়ে একটা বাংলাদেশি ছবি দাড় করায়। এমন পরিচালকদের হাতে কাজ দিতে হবে যারা এ পথে হাটেন না।
৫. শিল্পী সংকট চরমে। শুধু এক নায়ক শাকিব খান। বাংলাদেশের শিক্ষিত ও রুচিশীল দর্শকদের জন্য শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। সিনেমায় যারা আছেন, তারাও সংখ্যায় কম নয়। সেইসব নায়ক কিংবা নায়িকাদের ঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। ফুল ফ্রেমের সিনেমা নির্মাণ করতে পার্শ্ব চরিত্রের প্রতি মনোযোগি হতে হবে। সিনেমার মূল নায়ক কিছুটা দুর্বল হলেও আশেপাশের চরিত্রগুলো একটি সিনেমাকে প্রাণবন্ত করতে পারে। সেই কৌশলে সিনেমা নির্মাণ করা যায়।
৬. ইন্টারনেটের এই যুগে কপি পেস্ট করে পার পেয়ে যাওয়া কঠিন। বাংলাদেশিরা ভারতীয় ছবি মুক্তির সাথে সাথে সেটা টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করে নেয়। ১০ বছর আগের তামিল ছবির সিনও মনে থাকে বাংলাদেশি দর্শকদের। তাই আগের মতো কপি পেস্ট করতে পারে না বাংলাদেশি ফিল্ম মেকাররা। করলেই ধরা খাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবুও নকল ছবি হচ্ছে। সেগুলো মারও খাচ্ছে। তাই এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে নতুন কিছু ভাবতে হবে।
৭. একটি ভালো ছবি করতে হলে বিগ বাজেট লাগবে এমন কোন কথা নেই। মেধা থাকলে কম বাজেটের ছবি করে অস্কার পাওয়াও সম্ভব কিন্তু ছবির গল্প যদি ১০ কোটি টাকার বাজেট দাবি করে আর সেটা ২ কোটি দিয়ে নির্মান করা হয় তখন ছবির মান নষ্ট হতে বাধ্য। বাংলাদেশের ছবির দর্শক তৈরি না হওয়ায় এবং বাজার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অন্তত সম্প্রসারন না হওয়াতে বাজেট বাড়াতে পারে না প্রযোজক। ফলে গোজামিল দিয়ে ছবি নির্মান করা হয়। তাই বড় বাজেট না নিয়ে এই সময়ে ভালো গল্পকেই উপজীব্য করা উচিত।
৮. চলচ্চিত্র নির্মানের ভালো কোনো প্রশিক্ষন কেন্দ্র নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা হিন্দী, ইংরেজি ছবি দেখে ও পরিচালকের পিছনে সহকারী হিসেবে থেকে যা শিখে সেই জ্ঞান দিয়ে ছবি নির্মান করে। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ খুবই সীমিত। এক্ষেত্রে বিদেশি দক্ষ টেকনেশিয়ানদের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আনা যায়। এডিটিং থেকে শুরু করে ক্যামেরাশৈলী কিংবা মেকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান দান করা যেতে পারে।
৯. বাংলাদেশি ছবির মহিলা দর্শক ফেরানো একটা চ্যালেঞ্জ। মহিলা দর্শকেরা অনেক আগেই হলে গিয়ে ছবি দেখা ছেড়ে দিয়েছে। মহিলা দর্শকেরা এখন ভারতীয় সিরিয়ালমুখী। মহিলাদের আবার হলমুখী করতে হলে তাদের গল্পও আনতে হবে পর্দায়। তার আগে মহিলাদের হলে যাওয়ার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে হবে হলে পরিবেশ ঠিক করতে। তাছাড়া সরকারী উদ্যোগে যদি আরো কিছু সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা যায়। কমপক্ষে বিভাগীয় শহর সিনেপ্লেক্সের দাবি রাখে।
১০. ভারতের সাথে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মান না হওয়াও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পের সংকটের অন্যতম কারন। দু- দেশের কলাকুশলীরা বসে প্যাকেজ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দুই দেশ মিলিয়ে বড় বাজেট ও মার্কেট ধরে হলগুলো চালু করা যায়।
মন্তব্য করুন
‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম
আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন
শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।
চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায়
অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের
দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি
এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ
করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের
জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।
নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর
বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম
বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি
(শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ
ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’
এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও
প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে
খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা
করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’
ঢাকা সিনেমা অভিনয় নাসিরুদ্দিন শাহ
মন্তব্য করুন
বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ
খান। সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক পয়সাও নেন না বলিউডের এই বাদশাহ। ভারতের সাংবাদিক
রজত শর্মার ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যেই ভিডিও ইতোমধ্যেই
ভাইরাল।
ভিডিওটিতে শাহরুখের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আপনার পারিশ্রমিক কেমন?’। উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমি বিভিন্ন শো’র জন্য পারিশ্রমিক নেই, এন্ডোর্সমেন্টের জন্য নেই, লাইভ শো’র জন্য নেই। কিন্তু কখনোই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না। গেল ২০ বছরে কোনো নির্মাতা এই কথা বলতে পারবে না যে, আমি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাদের কাছে অর্থ চেয়েছি। আমি নির্মাতাদের বলি- আপনারা সিনেমায় আমাকে নিন। যদি লাভ হয় আমাকে দিয়েন। না হলে আমাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
এমন উত্তরের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাহলে তার আয়ের উৎস কী?’। এ সময় অভিনেতা আরও বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমি পারিশ্রমিক না নিলেও আমি সিনেমার বাইরে এত কাজ করি যে, তা দিয়েই আমার সংসার চলে যায়। কারণ সিনেমায় অভিনয় আমার কাছে পূজা করার মতো। এই কাজ করে আমি কখনোই পারিশ্রমিক নেই না।’
সিনেমা অভিনয় পারিশ্রমিক শাহরুখ খান
মন্তব্য করুন
বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২
মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের
জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে
তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত
ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান
মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।
সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি এ সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।
রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গান ‘তুমি রবে নীরবে’
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।’
বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।
এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।
মন্তব্য করুন