ইনসাইড বাংলাদেশ

বেতনের দাবিতে তারকা হোটেলে তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের তারকা হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্নে মাসের পর মাস ধরে বেতন নেই। এমনকি খুব অল্প বেতনে চাকরি করেন- মাসের পর ঘোরানো হচ্ছে এসব কর্মীদেরও। অভাবে-অনটনে এক বেলা খাবার জোগাড় করতেই এদের অবস্থা করুণ থেকে করুণতর হয়ে উঠেছে। গড়ে সবারই সর্বনিম্ন চার মাস ধরে বেতন নেই। অথচ দিনে নয় ঘন্টারও বেশি সময় এদের চাকরি করতে হয়েছে।

শেষপর্যন্ত দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গেল, বকেয়া বেতনের দাবিতে বেশভূষায় তারকা এই হোটেলে তালা মেরে দিয়েছে কর্মচারীরা। করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার (৫ জুলাই) সকাল থেকে কর্মচারীরা হোটেলের সামনে ‘আমাদের বেতন দিন, আমাদের বাঁচান, বেতন চাই দিবে হবে’- এ ধরনের নানা শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ২০ তলা একটি ভবন ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হোটেল ‘বেস্ট ওয়েস্টার্ন’। চার তারকা মানের এই হোটেলের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন উর রহমান। শাহ আলম লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্টিক্ট ৩১৫-বি৪ এর সাবেক গভর্নর। অন্যদিকে এমডি মামুন আগ্রাবাদের অ্যামব্রোশিয়া নামের আরেকটি রেস্টুরেন্ট ও ওআর নিজাম রোডের অ্যামবেসেডর হোটেলেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠান দুটিতেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।

আগ্রাবাদের বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেলে মাত্র ৮ হাজার টাকায় বেল বয়ের চাকরি করেন আকাশ মিত্র। আকাশের মত আরো অনেকে দৈনিক ৯ ঘন্টা চাকরি করেও বেতন চার মাস ধরে বেতন পাননি। চাকরি বাঁচাতে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে সংসার চালিয়েও কষ্ট করে চাকরি চালিয়ে যান তারা। হেটেল কর্তৃপক্ষকে বেতনের কথা বললেই ‘করোনায় ব্যবসা মন্দা’, ‘দিচ্ছি-দেব’ জাতীয় আশ্বাসই শুধু মিলে আসছে সেই শুরু থেকে।

হোটেলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অন্তত ১০ কর্মচারী বেতনের জন্য দিনের পর দিন ধরনা দিলেও প্রতিবারই নানা বাহানা দিয়ে তাদের ঘোরাতে থাকেন হোটেলটির এমডি মামুন উর রহমান। অল্প বেতনের এসব কর্মচারী মাসের পর মাস হোটেলে গিয়েও দেখা পান না এমডির। ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও মেলে কেবল মিথ্যা আশ্বাস।

জানা গেছে, গত মে মাসে লকডাউনের মধ্যে ঈদ চলে আসলে কর্মচারীরা এমডি মামুন উর রহমানকে অন্তত বেতনের কিছু টাকা দিতে বললেও তাদের কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে মে মাসে এসে তাদের বলা হল বাধ্যতামূলক ছাঁটাইয়ের কথা। অবশেষে চার মাস বেতন না পেয়ে রোববার (৫ জুলাই) সকাল থেকে নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে হোটেলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন শুরু করে কর্মচারীরা। তাদের দাবি, তারা বেতন না নিয়ে হোটেলের সামনে থেকে সরবে না।

জানা গেছে, কথা বলার জন্য ‘বেস্ট ওয়েস্টার্ন’ হোটেলের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে ভেতরে যেতে চাইলেও হোটেল ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তাদের। পরে আন্দোলনকারীরা হোটেল ভবনের মূল ফটকে তালা মেরে দেয়। এতে ভবনের অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তারা বিপাকে পড়ে যান। বিকেল তিনটার দিকে ডবলমুরিং থানার একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী ও হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে করেন। বৈঠকে তাদের আগামীকাল বেতন দেবে বললেও তারা রোববারের মধ্যেই বেতনের দাবিতে অনড়।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই: আইজিপি

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সকলের সহযোগিতায় এদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই টেরাকোটা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এই সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে।

পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট রেঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


মানুষ   আইজিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ান: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এবং এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান  চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেয়ার জন্য খামারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহবান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে. মেগ্রেট এসময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রাকৃতিক   খাদ্য   মৎস্য   প্রাণিসম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জালভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ হবে হুঁশিয়ারি ইসি হাবিবের

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, পেশিশক্তি ও কালো টাকা দিয়ে কেউ প্রভাব বিস্তার কিংবা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশকে ডাকবেন, তারা ব্যর্থ হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে সেই সব কেন্দ্রগুলোতে পরে আলাদা করে ভোট নেওয়া হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়তে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে; যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, সব প্রার্থীই আমার কাছে সমান। যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনী অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলসহ সবার চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ প্রমুখ।


ইসি হাবিব   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার আর ঢালাওভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এই তথ্যের বাস্তবতা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দু’জন সচিবের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা চেষ্টা তদবির করেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে পারেননি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ শেষ পর্যন্ত অবসরে গেছেন। তার জায়গায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য অনেকে তদবিরও করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেখানে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার আপাতত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর এই বাস্তবতার কারণে সামনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানেরও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নবায়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তার স্থলে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়াও আগামী মাসে বেশ কয়েকটি সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। ১২ জুন অবসরে যাচ্ছেন সত্যজিত কর্মকার। যিনি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৫ জুন। তাকেও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনার বিষয় হলো, প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। তিনি ইতোমধ্যে চুক্তিতে আছেন। নতুন করে তার চুক্তি যদি নবায়ন না হয় তাহলে এখানে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যদি জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ হিসেবে রয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তারও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর যদি সরকার জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ না করেন তাহলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালাহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে।

চলতি বছর ১০ অক্টোবর শেষ হয়ে হচ্ছে চুক্তিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন বিভিন্ন হল। এরকম বাস্তবতায় তার স্থলে কে মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব হবেন তা নিয়েও আলাপ আলোচনা চলছে।

আর বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। মেজবাহ উদ্দিন চৌধুররির চাকরির মেয়াদ আছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক তাহলে তারই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।


প্রশাসন   সচিব   মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিপরিষদ   বাংলাদেশ কর্ম কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে-এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ডুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এদেশের এত উন্নয়ন সমৃদ্ধির একটাই কারণ, তা হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে যে, বিএনপি ভারতবিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিএনপি এখন ভারত প্রশ্নে মধ্যপন্থা নিতে চায়। দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদের মতো সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন করছে না সরকার। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

তিনি আরও বলেন, বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন