ইনসাইড থট

মিনা ফারাহ: এক দেহজীবি নষ্ট আত্মার মনুষ্য রূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

টাকা আর খ্যাতির জন্য কিছু মানুষ কত নীচে নামতে পারেন তা জানলে অনেক মানুষ বাকরুদ্ধ হবেন। টাকা আর আত্মপ্রচারের উচ্চাভিলাষ মানুষকে কোথায় নামায় তা সহজেই জানা যায় এই আইটি’র যুগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা অনেকেই চুলে মেহেদি মাখা এক বিগত যৌবনা নারীকে দেখি কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে খুব নোংরা কথার ইঙ্গিতের ফুলঝুরিতে ব্যস্ত। বিদেশে বসে ইউটিউব বা ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক বিষোদ্গার করে থাকেন এই মিনা রানী সাহা ওরফে মিনা ফারাহ।     

স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশের শেরপুর নয়ানীবাজার বাসভবনে পরিবারের সাথে থাকতেন মিনা রানি সাহা। শেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে সুন্দরী কিশোরী মিনা রানি সাহা এসএসসি পাশ করেন ১৯৭০ সালে। এর পরেই শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কামারুজ্জামান দলবল নিয়ে ব্যবসায়ী সুরেন্দ্র মোহন সাহার কন্যা মিনা রানী সাহাসহ পরিবারের নারী শিশুদের ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে নগদ টাকাসহ বহু স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে তাদেরকে ভারত যাওয়ার সুযোগ দেয় কামারুজ্জামান। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সুরেন্দ্র মোহন সাহা পরিবার নিয়ে ভারতে চলে যান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে ১৯৭২ সালে ২য় ব্যাচে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী নেন মিনা রানি সাহা। এর মাঝেই ডেন্টাল কলেজের এক মুসলিম ছেলের সাথে প্রেম করে প্রেমিকের হাত ধরে প্রায় শূন্য হাতে ১৯৮০ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমান মিনা রানি সাহা।                 

আমেরিকায় জীবন চালাতে মিনা রানি সাহা নতুন ‘বিনোদনের বিনিময়ে টাকা’ খেলায় মেতে উঠেন। অভিযোগ আছে যে, আমেরিকায় ম্যাগডোনাল্ডে চাকরীদাতার সাথে নিমরাজি হয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পরে ২০ হাজার ডলারে আপোষ করেন। একই ধারায় পরবর্তীতে ১৩টি কর্মক্ষেত্রের ৭টিতেই এ কৌশলে টাকা উপার্জন করেন। কিন্তু ধরা খান এক পাকি ডেন্টিস্টের কাছে, ডেন্টিস্টের সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসাতে গিয়ে। এর পর মিনা তার দেহ ব্যবসায় ভিন্ন কৌশল নেয়। তার সাথে এক আফ্রিকানের নিবিড় সম্পর্ক হলে সে মিনাকে রিয়েল এস্টেটের দালালির সুযোগ করে দিলে এতে সাফল্য আসে। ফরহাদ রেজা নামের একজন মুসলিমকে বিয়ে করে সে ধর্মান্তরিত মুসলমান হন মিনা। মিনা রানী সাহা থেকে তার নাম হয় মিনা সাহা ফারাহ। কিন্তু পরে টাকার জন্য জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার পর সাহা শব্দটি বাদ দিয়ে মিনা ফারাহ নাম ধারণ করেন তিনি।        

বাঙালী অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বেশি ভাড়ায় থাকা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ব্রোকারিসহ জালিয়াতি করে, আর দালালীর পাশাপাশি ডেন্টিস্ট হিসেবেও কাজ শুরু করে বলে জানা যায়। টাকার নেশায় দিশাহারা হয়ে তিনি নিউইয়র্কে ইনস্যুরেন্স জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত। ফলস ইনস্যুরেন্স ক্লেইমের সাথে জড়িত থাকায় তাকে ২০০১ সালে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।   

মিনা রানি সাহা দাবি করতেন যে, ১৯৭১-এর দুঃসহ স্মৃতি তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াতো, তাই বিবেকের তাগিদে কামারুজ্জামানসহ রাজাকারদের শাস্তির দাবিতে ‘বাংলা হলোকাস্ট অ্যান্ড নাৎসি রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ নিয়ে ভিডিও-চিত্র তৈরি করেন। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে সেনা সদর দফতরে সাক্ষাত করে জেনারেল মইনকে ভিডিওটি প্রদান করেন মিনা ফারাহ। এ সময় মিনা ফারাহ সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ওই ভিডিওটি আমি নিজে করেছি শেরপুরে গিয়ে। কেননা একাত্তর সালে শেরপুর শহরস্থ আমাদের বাড়িকেই আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প করা হয়। সে ক্যাম্পের অধিনায়ক ছিলেন বদর বাহিনীর কমান্ডার বর্তমানে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান। কামারুজ্জামনের সহযোগী রাজাকার মোহন এখনও বেঁচে রয়েছেন। মোহনের জবানবন্দিতে স্পষ্ট হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফাকে হত্যার ঘটনাবলী। মোহন বলেছেন কামারুজ্জামানের পৈশাচিকতার অনেক অজানা তথ্য। এই ভিডিওটি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধের প্রধান সাক্ষী হতে পারে বলেই তা আমি সেনাপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করেছি।”

চারুলিপি প্রকাশন থেকে ২০০৯ সালে প্রকাশিত “হিটলার থেকে জিয়া” বইতে মিনা ফারাহ জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয়, জিয়া পাকিস্তানের দালাল ও আইএসআইয়ের গোলাম, জিয়া এতটা নৃশংস ও অমানুষ যে হিটলারই তার সাথে তুলনীয় - অর্থাৎ জিয়াকে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি প্রমাণে অনেক ঐতিহাসিক দলিল, তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি দিয়ে ৭৮টি বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরেন। বই লিখে, বিভিন্ন সভা-সেমিনারে জিয়াউর রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসে বিতর্কিত হয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করতে চান মিনা ফারাহ। “হিটলার থেকে জিয়া” প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় কিংস কাউন্টি ব্রুকলিনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় ফেলে তাকে প্রহার করে। আবুল বাসার নামের একজন চুলের ঝুটি ধরে তাকে চড়, থাপ্পড় ও লাথি মারে। তখন ড. নুরন্নবীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। 2008 British television play God on Trial এর নাম নকল করে "গড অন ট্রায়াল" বইটির লেখিকা মিনা ফারাহ। বইয়ের বিষয়বস্তু মূলত ইসলাম ধর্মের কড়া সমালোচনা, পাশাপাশি অন্য ধর্মও সমালোচনায় এসেছে। এ বই নিয়ে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ হয়। এতে তিনি তসলিমা নাসরিন হবার চেষ্টা করেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু বই লিখেছেন।       

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে তার পিতার শেরপুরের নয়ানীবাজারস্থ বাসভবনকে টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহার করে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে হত্যা-ধর্ষণ ও লুটপাট করা হত এই মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষী হন। কিন্তু পরে পুরো পরিবার মিলে ২০১৩ সালের পর ডিগবাজী দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। কারণ হিসেবে জানা যায় যে, তাঁদের এলাকার প্রাক্তন জমিদার মিনার বাবাকে মন্দিরসহ বেশকিছু সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব দিলে তিনি তার আয়ত্বে নিয়ে নেন। এটা বিক্রি করার চেষ্টা করলে জটিলতা দেখা দিলে ২০১৩ সাল থেকে মিনা তার জামাত-বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসেন। শেরপুরের এসপি আনিসুর রহমান জানান যে, জামাতের সাথে মিনার পরিবারের ডিল ছিল ৭ কোটি টাকার; ২ কোটি টাকা দেয়া হয় শেরপুর জামাতের মধ্যস্থতায়। এর পরে মিনা ইনকিলাব-নয়া দিগন্তে রাজাকারদের পক্ষে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করেন। 

"হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু। হিন্দুরা আওয়ামী লীগের নির্দেশে নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা করে।... মুসলমানরা কখনোই একটি অধার্মিক কাজ কোটি টাকা দিলেও করতো না। আমি তাদের ধর্মপ্রাণতা জানি। হিন্দুদের সমস্যা এরা মেরুদণ্ডহীন, ধর্মহীন এবং ধর্ম বেচে ব্যবসা করে”। মিনা ফারাহ’র এমন লেখার প্রতিবাদে শেরপুরের মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে জিডি করা হয় (জিডি নং-১৪৩৫, শেরপুর সদর থানা)।  

মিনার ছেলে শাফায়েত রেজা জয় মায়ের বেপরোয়া, উচ্ছৃঙ্খল আচরণে হতাশ হয়ে এবং নিজের পছন্দের মেয়ের সাথে প্রেমে বাধা পেয়ে এলএসডি নামের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিন পর একটি ইসলামিস্ট গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে নামাজ-রোজা পালনসহ ইসলামের দাওয়াতি কাজে অংশগ্রহণ শুরু করে। রোজা থাকা অবস্থায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় জয়ের মৃত্যু হলে তাকে কবর দেয়ার পরিবর্তে চিতায় পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মিনা। সংবাদ শিরোনাম হয় এই ঘটনা।

মিনা ফারাহ এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে চলেছেন এবং জামায়াতের পক্ষে ফোঁপর দালালী করছেন। তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে ইউ টিউবে আপলোড করছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে যদি জামায়াত প্রভাব বিস্তার করতে পারতো তা হলে আমাদের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরে আসতো। বর্তমান সরকার জামায়াতকে ছেড়াবেড়া করে ফেলেছে। শেখ হাসিনা জামায়াতের পেছনে লেগে আছে। ভবিষ্যতে জামায়াতের সন্তানরা এদেশ শাসন করবে।’ মিনা ফারাহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও বাজে কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ফলে তার বাংলাদেশে আসার উপর হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 

বিগত যৌবনা দেহজীবি  যেমন অচল শরীরের মনোবাসনা মুখের নোংরা কথা দিয়ে মেটায়, মিনা ফারাহ’রও এখন সেই দশা। মিনা ফারাহ এখন এক বিগত যৌবনা দেহজীবির নষ্ট আত্মার মনুষ্য রূপ

কৃতজ্ঞতা: সঞ্জীব চন্দ্র, রিচার্ড লী, শওকত আলী, আবদুল কুদ্দুস, বিশ্বজিত সাহা, আলী আকবর টাবী, অন্যান্য

 

লেখক: উন্নয়নকর্মী ও কলামিস্ট



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন