ইনসাইড বাংলাদেশ

সাগরপথে দুইদিনে ইতালি উপকূলে ৩৬২ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

অবৈধপথে সাগর পাড়ি দিয়ে গত দুইদিনে ইতালির মাটিতে পা রেখেছেন পাঁচ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী, এদের মধ্যে ৩৬২ জন বাংলাদেশের নাগরিক। শুক্রবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ইতালীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে সমুদ্র শান্ত থাকার সুযোগে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত বছরের তুলনায় সেখানে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের হার বেড়েছে কয়েকগুণ।

আইওএম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তিউনিশিয়া থেকে ১১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছেছে নয়টি নৌকা। শুক্রবার তিউনিশিয়া থেকে সাতটি ছোট নৌকা ও লিবিয়া থেকে দু’টি বড় নৌকায় ইতালি পৌঁছেছেন আরও ৪৩৪ জন।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থাটির তথ্যমতে, লিবিয়া থেকে যাওয়া একটি নৌকায় ৯৫ জন এবং অপর নৌকার ২৬৭ জন, মোট ৩৬২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশের নাগরিক।

ইতালির মাটিতে পা রাখা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কীভাবে দেশটিতে পৌঁছেছেন সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ইতালীয় কোস্ট গার্ড।

জানা গেছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত আট হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধপথে ইতালি পৌঁছেছেন। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজারের মতো। তবে ২০১৮ সালে একই সময়ে ইতালি গিয়েছিলেন প্রায় ১৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

এদিকে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দিয়েছিল ইতালি। এদের মধ্যেও অনেক বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সিসিলি উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে সবাইকে।

সূত্র: দ্য লোকাল



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস’।  

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নির্দেশে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।


প্রান্তিক জনগোষ্ঠী   স্বাস্থ্যসেবা   কমিউনিটি ক্লিনিক   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কে হচ্ছেন পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব?

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর মাসুদ বিন মোমেনের উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এ মুহূর্তে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ভারতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার দৌড়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের মধ্যে রয়েছেন, ১০তম ব্যাচের কূটনীতিক এম আল্লামা সিদ্দিকী। ১৯৯১ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন তিনি। অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী, সিদ্দিকীর চাকরির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর। বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষের চার দিন আগে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। জ্যেষ্ঠ এ কূটনীতিককে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব করতে হলে তার অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার কয়েক মাস আগেই নিয়োগ দিতে হবে। এরপর পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে তার চাকরির চুক্তি বাড়াতে হবে।

পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার দৌড়ে আছেন ১১তম ব্যাচের দুই পেশাদার কূটনীতিক সাঈদা মুনা ও মোস্তাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে ব্যাচের প্রথম সাঈদা মুনা তাসনিম ১৯৯৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। মুনার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর। বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ২১ দিনের মাথায় তার অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে মুনাকে পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব করতে গেলে তার অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার কয়েক মাস আগেই তাকে নিয়োগ দিতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে তার চাকরি চুক্তিতে বাড়াতে হবে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো নারী পররাষ্ট্র সচিব পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে সরকার প্রথম কোনো নারীকে পররাষ্ট্র সচিবের পদ দিতে চাইলে হয়তো দায়িত্ব পেতে পারেন হাইকমিশনার সাঈদা মুনা। সাঈদা মুনা থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্ব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ ও বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মুনা।

একই ব্যাচের আরেক পেশাদার কূটনীতিক মোস্তাফিজুর রহমানের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সাঈদা মুনার পাঁচদিন পর তার অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার কথা। মোস্তাফিজকে মাসুদ বিন মোমেনের উত্তরসূরি করতে হলে একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এরপরে তালিকায় রয়েছে ১৩ ব্যাচের কূটনীতিক জসিম উদ্দিনের নাম। বেইজিংয়ে বর্তমানে ঢাকার হয়ে দূতিয়ালি করা জসিমের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর।

এছাড়া, আলোচনায় রয়েছেন পেশাদার কূটনীতিক রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ১৫তম ব্যাচের মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া হামিদুল্লাহর চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর। রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহকে এরইমধ্যে নেদারল্যান্ডস থেকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঝামেলা না নিতে চাইলে সরকার হয়তো জ্যেষ্ঠদের বাদ দিয়ে নতুন কোনো মুখকে নিয়ে আসতে পারেন পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বে। এক্ষেত্রে হয়তো বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন রিয়াজ হামিদুল্লাহ। তাছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্তে হামিদুল্লার পররাষ্ট্রসচিব হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন কোনো কোনো কূটনীতিক। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর হামিদুল্লাহ দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বিদেশের মাটিতে কূটনীতিক হিসেবে দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্টে ছিলেন দিল্লির বাংলাদেশ মিশনে।

এ পাঁচ কূটনীতিকের মধ্যে দিল্লিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রাখছেন অনেক কূটনীতিক। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দিল্লিতে হাইকমিশনারের দায়িত্বে থাকায় বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন মোস্তাফিজুর। কূটনীতিক মোস্তাফিজ দিল্লিতে হাইকমিশনার হওয়ার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি প্যারিস, নিউ ইয়র্ক ও জেনেভাতেও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া, তিনি সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রদূত এবং কোলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন।

ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হতে এখনও সাত মাসের বেশি সময় বাকি। তবে, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মাসুদ বিন মোমেনের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা সরকারের।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যে দুই-তিনটি সচিবের সিদ্ধান্ত সরকারের শীর্ষ পযায় থেকে হয়ে থাকে, তার মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব একটি। সরকার যদি মনে করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা অব্যাহত থাকবে, তাহলে মোস্তাফিজুর রহমান বা সাঈদা মুনা এই পদ পেতে পারেন। এই দুজনের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের সম্ভবনা বেশি থাকবে। আর সরকার যদি মনে করে, নিয়মিতকরণের মধ্য দিয়ে যাবে,তাহলে জসিম উদ্দিন ও রিয়াজ হামিদুল্লাহ আছেন।

জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, নিয়মিত চাকরিতে যারা আছেন, এমন কূটনীতিককে বাদ দিয়ে সাবেক কূটনীতিককে চুক্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক। যাদের চাকরির মেয়াদ বেশিদিন নেই, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে না— এমনটা ভাবা ঠিক হবে না। আবার সরকার যে কোনো জুনিয়রকে নিয়ে আসতে পারবে না, এমনটাও নয়। সরকার চাইলে যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


পররাষ্ট্র   সচিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে এমপি হাফিজকে তলব করল ইসি

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ৮ মে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনী অপরাধ করেছেন বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিক। যে কারণে তাকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ বিষয়ে এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে অনুষ্ঠেয় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন আপনি ৪৭ নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করেছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। 

প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৭৮ এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ। এ অপরাধের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন পত্র প্রেরণ করা হবে না, সে বিষয়ে বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এই অবস্থায়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


বরিশাল-৬ আসন. এমপি হাফিজ মল্লিক   নির্বাচন কমিশন   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহ আমানতে কমে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহ আমানতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে মেগা সব প্রকল্প। বৃদ্ধি করা হয়েছে রানওয়ের সক্ষমতা। মেগা প্রকল্পের ফলে দিন দিন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও বিপরীত দিকে হাঁটছে বিমান সংস্থাগুলো। একের পর এক আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনা সংস্থা শাহ আমানত থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৩টি বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এখান থেকে বিমান পরিচালনা বন্ধ করেছে।

বিমানবন্দরসূত্রে জানা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ১৯টি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ৬টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক রুটও। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা (আরএকে) এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, সিল্ক এয়ার, ভারতভিত্তিক স্পাইসজেট বিমান, ওমান এয়ার, আলজাজিরা এয়ারওয়েজ, কুয়েতভিত্তিক এয়ারলাইনস জাজিরা এয়ারওয়েজ ইত্যাদি। বর্তমানে এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যারাবিয়া, সালাম এয়ার ও ফ্লাই দুবাই।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো এখানে এসেছে ব্যবসা করতে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছে না বলেই তারা ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ আটাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক এম এ মান্নান বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একের পর এক বিমান সংস্থার সেবা বন্ধের বিষয়টি দুঃখজনক। সংস্থাগুলোর চলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নানান গাফিলতি এবং প্রয়োজনীয় যাত্রী না পাওয়া। বিমান সংস্থাগুলো চলে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা কমে গেছে। ফলে যাত্রীরা ন্যায্যমূল্যে টিকেট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

এদিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বন্ধের নেপথ্যে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দরের নানান অব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা না থাকা, অবকাঠামো, প্যাসেঞ্জারি বিল্ডিং সক্ষমতা না থাকা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক লাগেজ বেল্ট না থাকা অন্যতম। তবে রানওয়ের উন্নতিসহ নানান পদক্ষেপের কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে দিয়ে এখন বাংলাদেশে আসা সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৭৭’ কিংবা ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ এবং ‘এয়ারবাস এ ৩২০’ নামতে পারছে অনায়াসে। তবে একসঙ্গে তিন-চার শ যাত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত কাউন্টার নেই। নেই পর্যাপ্ত ব্যাগেজ বেল্ট। বেল্ট কক্ষেই যাত্রীদের জটলা লেগে যায়। আর যাত্রী বেশি হওয়ায় একেকটি লাগেজ পেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদেশি এয়ার?লাইনসের ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা বন্ধ হলেও বর্তমানে চালু থাকা এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তবে সংস্থাগুলো কবে থেকে ফ্লাইট বাড়াবে সে বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।


শাহ আমানত বিমানবন্দর   বিদেশি এয়ারলাইনস   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নিজ অর্থ নিতে পারবে, জানতে চেয়েছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের লভ্যাংশ নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অর্থ কত দিনে পরিশোধ করবে, তা জানতে চেয়েছেন সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি। নৈশভোজ শেষে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, মার্কিন যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, অর্থছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা এও বলেছেন, আমরা বুঝি বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ কত দিনে এ অর্থ দিতে পারবে, তা জানতে চান ডোনাল্ড লু’।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি, সঙ্গে রেমিট্যান্সও বাড়বে। তাদের জানিয়েছি, আমাদের অর্থ পরিশোধে একটু সমস্যা হচ্ছে, দেরি হচ্ছে। তবে ক্রমাগত অর্থছাড় হচ্ছে, একেবারে বন্ধ হয়নি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘বৈঠকে ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। আমরা চাই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে। তখন আমরা বলেছি—হ্যাঁ, আমরাও চাই’।

নির্বাচনের আগে ও পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কিছু ইস্যু ছিল জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। সেটা খুবই ইতিবাচক একটা চিঠি ছিল। তার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে অ্যাংগেজমেন্ট শুরু করে দিলাম। সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ খাত নিয়েও কাজ করতে চায়। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যুতের একটা আন্তঃযোগাযোগ চায়। আমরা ভারতসহ এ দেশগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি, এটা জেনে তারা খুশি হয়েছে’।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যথারীতি তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়া যায় সেটি দেবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরত নেয় সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করছি। আবার এটাও বলেছে, মিয়ানমারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে।

ভিসানীতি এবং র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। তারাও কথা তোলেনি, আমরাও না। এখন তো মনে হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির ওপর দেওয়া উচিত। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা তুলেছি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছি। তখন তারা বলেছে, এ দুটো বিষয় তাদের বিচার বিভাগের বিষয়। তারা বিচার বিভাগকে জানিয়েছে, আমাদের র‍্যাবের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, তোমরা যদি আইএলওর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমনীতি তৈরি কর, আইএলও থেকে যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও দুপক্ষেরই নিয়মনীতি এখন এক। একটা সময় কিছুটা আলাদা ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই। আমরা খুব আশাবাদী যে আইএলওর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা কোনো আপত্তি থাকবে না বলে তারা জানিয়েছে।

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   মার্কিন প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন