নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৯ জুলাই, ২০২০
বিসিএস। চাকরি নয় যেন সোনার হরিণ। তরুণ প্রজন্মের সবাই ছুটছে এর পেছনে। কেউ কেউ তো আবার একেবারেই মাতোয়ারা। যেভাবেই হোক ক্যাডার এবার হতেই হবে। প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে; মা-বাবা বড় আশা করে আছে। আর সমাজ, সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী তো সেই। আর তাই বিসিএস হাতছাড়া করলে চলবে না। ক্যাডার হলে গাড়ি পাই বা না পাই। অন্তত গাড়িরওয়ালা শ্বশুর তো পাব। আর কি কি পাওয়া যায়, তার হিসেব যেন অনেক বড়। কোথা থেকে আসবে এসব। দিবে গৌরী সেন। তাই একবার ক্যাডার হলেই হল। আর এভাবে কারো স্বপ্ন পূরণ হয়। আর কারো যেন মরীচিকা। কিন্তু এমনটা কি একদিনে তৈরি হয়েছে! নাকি আমরাই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছি তরুণদের। চলুন এর পেছনে থাকা কিছু কারণ জেনে নেই।
সামাজিক মর্যাদা
বেশ কিছু দিন আগে কোথাও একটা সাক্ষাৎকার পরেছিলাম। বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থীর। পড়াশোনা করছে বিশ্ব্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে। ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। বাংলাদেশ থেকে কতজনের সেখানে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তা সত্যিই ভাববার মতো। কিন্তু তাকেও কিনা বিসিএসের কথা বলছেন তার মা। ঠিকই তো এমআইটির ডিগ্রী দিয়ে কি-ইবা হবে! যদি বিসিএস ক্যাডারই না হওয়া যায়। এই গল্পটা বলার কারণ সামাজিক মর্যাদার বিষয়ে বলা। এই সমাজ যেন বিসিএস ছাড়া কিছুই বুঝে না। সামাজিক মর্যাদায় কিংবা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধায় তারাই যেন এগিয়ে।
চাকরির নিশ্চয়তা
চাকরির নিশ্চয়তাকেও অনেক বড় একটি কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে। বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে জানা যায়। তারা জানান, বেসরকারি চাকরির নিশ্চয়তা নেই। আজ আছে তো কাল নেই। বিশেষ করে করোনা যেন তা আবারও আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। তাই বিসিএসের দিকে তাদের এতো আগ্রহ বলে জানান।
ক্ষমতা চর্চা
ক্ষমতা চর্চাকে অনেক বড় কারণ হিসেবেই দেখছেন কেউ কেউ। সাম্প্রতিক কয়েকটি বিসিএসে পুলিশ, এডমিন ও ফরেন ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। চাকরি প্রার্থীদের বেশিরভাগ অংশই প্রথম পছন্দ হিসেবে রাখছে এসকল ক্যাডার। ফলে, ক্ষমতা চর্চার একটা মনস্তত্ত্ব আগে থেকেই কাজ করছে এমনটা মনে করছেন অনেকে।
বেতন স্কেল
এক সময় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেসরকারি চাকরির তুলনায় কম ছিল। কিন্তু আগের দুরবস্থা আর নেই। বাজেটের আকার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বেতন স্কেল। সেইসাথে ইনক্রিমেন্ট আর বোনাস তো রয়েছেই। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের আকার। বেড়েছে কাজের বিস্তৃতি ও কর্মপরিধি। সেইসাথে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন পদ। ফলে প্রমোশনটাও হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত। আর এই সব কিছু মিলিয়েই তরুণদের বিসিএস উন্মাদনা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন