ইনসাইড হেলথ

করোনাকালে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২২ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

কোভিড-১৯ প্রথম সনাক্তকরণের পর ইতোমধ্যে ছয় মাস পেরিয়েছে। বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ছয় লাখের অধিক। করোনা সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটি অনুধাবন করা যায় যে করোনার তাণ্ডব সহসাই থামছে না। করোনার প্রভাবে প্রকৃতি থেকে শুরু করে মানুষের জীবন-যাপন, সামাজিক ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণ সহ বিশ্বের সর্বক্ষেত্রেই আজ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা মেনে চলার ব্যাপারে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের ন্যায় কিছু শব্দের প্রচলন হয়েছে যা অনেকের কাছেই নতুন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক দুর্বোধ্য শব্দ সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা ছাড়াই সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। দুর্বোধ্য ও অপরিচিত এই শব্দগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সহজতর ও বোধগম্য করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দশ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

কোভিড-১৯ : কোভিড-১৯ হলো সংক্রামক ব্যাধি অর্থাৎ ছোঁয়াচে রোগ যার জন্য দায়ী হলো একটি আবরণীবদ্ধ আরএনএ ভাইরাস। ২০১৯ সালের। ডিসেম্বরে শেষ দিকে চাযনার উহানে ‘নিউমোনিয়া (স্বাসতন্ত্রের রোগ) রোগ ধরা পড়ে যার কারণ ছিল অজানা, পরে এর কারণ হিসেবে দেখা যায় যে করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতি (SARS-CoV2) এর জন্য দায়ী এবং এর পর থেকে ২০১৯-নোভেল করোনা ভাইরাস’ নামে অভিহিত করা হয়। পরবর্তিতে ২০২০ সালে ১১ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কর্তৃক “কোভিড-১৯”নামে নামকরণ করা

ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা): ইমিউনিটি হল মানবদেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার গুণমান বা অবস্থাকে ইমিউনিটি বলা হয়। বিশেষত: কোন প্যাথোজেনিক অনুজীবের বিকাশ রোধ করার মাধ্যমে বা এর উৎপাদিত বস্তুসমূহের প্রভাবগুলো প্রতিরোধের মাধ্যমে একটি বিশেষ রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হওয়ার অবস্থাই শরীরের ইমিউনিটি হিসেবে বিবেচিত হয়।

হার্ড ইম্যুনিটি: একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার ৬০ হতে ৮০ শতাংশ জনগণের মাঝে যদি কোন সংক্রামক রোগ এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তখন সেই জনসংখ্যার যেসকল লোকের মাঝে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি তাদের মাঝে রোগ সংক্রামণ বাধাগ্রস্থ হয়; একে “হার্ড ইম্যুনিটি’’ বলে। দেহে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ‘ভ্যাকসিন’ এর। মাধ্যমে বা সেই রোগদ্বারা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তৈরি হতে পারে।

সামাজিক দূরত্ব: কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যান্য সুরক্ষা ব্যাবস্থার সাথে। নিজের বাড়ির বাইরের মানুষের সাথে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ একেই সামাজিক দূরত্বও বলে।

হ্যান্ড সেনিটাইজার : একধরনের তরল জীবাণু নাশক যা হাত বা শরীর এর সংস্পর্শে আসা জীবানুকে মেরে ফেলতে পারে৷

এনডেমিক: একটি রোগ বা ব্যাধি যা একটি নির্দিষ্ট লােকালয় বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিনিয়ত কমবেশি বর্তমান থাকে তাকে এনডেমিক বলে। যেমন: পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছডি ম্যালেরিয়ার জন্য এনডেমিক জোন।

পেনডেমিক (মহামারি): সমগ্র দেশ বা মহাদেশ বা বিশ্বব্যাপী কোন রোগ বা ব্যাধীর প্রাদুর্ভাব।

সার্ভিলেন্স (সন্দেহভাজন মানুষ এর উপর কড়া নজর রাখা): যে সমস্ত কারন কোনো ব্যাক্তির অসুস্থতার জন্য দায়ী সে সমস্ত কারন, উপাদান বা ঘটনাকে সার্বক্ষনিক নিরীক্ষণ করাকে সার্ভিলেন্স বলে।

সেরোলজীসার্ভিলেন্স: রক্তের সিরামে কোন এ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষা করাকে সেরোলজী বলা হয়। একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার মাঝে কোন রোগের প্রাদুর্ভাব বা সংক্রমণের ব্যাপ্তি দেখার জন্য সেরোলজী সার্ভিলেন্স করা হয়।

কন্টাক্ট ট্রেসিং (যোগাযোগ অনুসন্ধান করা): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রোগাক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিকে সনাক্তকরন, যাচাইকরন এবং নিয়ন্ত্রন করা হয় যাতে পরবর্তী সংক্রমন প্রতিরোধ করা যায়।

আইসোলেশন (পৃথকীকরন); এটি সংক্রামক রোগের বিস্তার বন্ধ করার জন্য সর্ব প্রাচীন পদ্ধতি। সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অন্যদের থেকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আলাদা রাখা হয় যেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যদের মধ্যে রোগ বিস্তার করতে না পারে।

কোয়ারেন্টাইনঃ সংক্রামক রোগের বিস্তার বন্ধ করার জন্য কোনো সংক্রামক রোগীর সংস্পর্শে আসা সুস্থ মানুষকে একটি নির্দিষ্ট সমযের জন্য অন্য সুস্থ মানুষ (যারা সংক্রামক রোগীর সংস্পর্শে আসে নাই) থেকে আলাদা রাখাকে কোয়ারেন্টাইন বলে। কোয়ারেন্টাইন এর সময়কাল জীবানুর উন্মেষকাল এর সমান হয়।

হোম কোয়ারেন্টাইনঃ সংক্রামক রোগীর সংস্পর্শে আসা সুস্থ মানুষকে নিজের বাড়ীতে একটি রুমে অন্যদের থেকে আলাদা রাখাকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলে ।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনঃ সংক্রামক রোগীর সংস্পর্শে আসা সুস্থ মানুষকে কোনো প্রতিষ্ঠান এর স্বাবধানে অন্যদের থেকে আলাদা রাখাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বলে।

লকডাউনঃ সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধের জন্য জনসাধারণকে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অত্যাবশকীয় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওযাকে লকডাউন বলে।

জোনিং: নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের হার ভিন্নতায় এলাকাসমূহ সবুজ, হলুদ এবং লাল –এভাবে চিহ্নিত করাকে জোনিং বলা হয়। সবুজ এলাকা (গ্রীণ জোন) হলো কোন নির্দিষ্ট এলাকাতে প্রতি লাখ জনসংখ্যার মাঝে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন জনের নীচে থাকে।

হলুদ এলাকা (ইয়োলো জোন) হলো কোন নির্দিষ্ট এলাকাতে প্রতি লাখ। জনসংখ্যার মাঝে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩-৫৯ জন হয়ে থাকে।

লাল এলাকা (রেড জোন): কোন নির্দিষ্ট এলাকাতে প্রতি লাখ জনসংখ্যার মাঝে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ জন বা তা চেয়ে বেশী থাকে।

ট্রায়াজ (পৃথকীকরন): হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ ও নন কোভিড-১৯ রোগীদের পৃথকিকরণ করে চিকিৎসা প্রদান করা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ট্রায়াজ বলতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যাবস্থাকে বুঝায়।

আরটি-পিসিআর (রিভার্স টান্সক্রিপশন রিয়েল টাইম পলিমারের চেইন রিঅ্যাকশন): আরটি-পিসিআর হচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক অদ্যবদি একমাত্র স্বীকৃত, নির্ভরশীল এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযােগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নমুনা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় কেবল আরএনএ বের করা হয়। তারপর এক্সট্রাক্ট আরএনএকে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার। করে কম্পলিমেন্টারী ডিএনএতে রূপান্তর করা হয় এবং পলিমারেজ চেইন রিএকশন (পিসিআর) ব্যবহার করে প্রাপ্ত ডিএনএর একটি অংশকে পরীক্ষা করে এটি SARS-Cov-2 এর জেনেটিক কোড এর সাথে মিলয়ে দেখা হ্য।

পিপিই (ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী); পিপিই এর মধ্যে রয়েছে চশমা/ফেসশিল্ড, মাস্ক (মুখ বেষ্টনী), ক্যাপ, গাউন (কভার অল, সার্জিকেল গাউন, গ্রভস, সু-কাভার যা চিকিৎসকগণ রোগীর চিকিৎসা প্রদানের সময় ব্যবহার করে থাকেন। তবে সাধারণ জনগণের জন্য করোনা প্রতিরােধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।

অক্সিজেন থেরাপি: রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে বা শরীরে অক্সিজেনের পরিমান কমে গেলে হাসপাতাল সমূহে চিকিৎসকের পরামর্শে নিম্নের যেকোন পদ্ধতি অবলম্বনে অক্সিজেন থেরাপী দেয়া হয়

* অক্সিজেন সিলিন্ডার: অক্সিজেনকে অত্যাধিক প্রেশার এ তরল করে সরবরাহ করা হয় যা দিয়ে প্রতি মিনিটে ২-১৫ লিটার অক্সিজেন দেয়া যায়।

* হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা: এই যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ চাপে নেজাল কেনুলার সাহায্যে রোগীকে প্রতিমিনিটে ৭০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। বর্তমান বিশ্বে কোভিড ১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে।

* অক্সিজেন কনসেনট্রেটর: এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যার সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে ঘন করে রোগীকে সরবরাহ করা হয়, ফলে রোগীকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দীর্ঘসময় ১-১০লি, পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর: • বাইপেপ (Bi-PEP); বাই পেপ মেশিনের সাহায্যে যাদের ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)আছে যা ফুসফুসের একধরনের জটিল রোগ তাদের প্রতি মিনিটে ১৫০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়া যেতে পারে। • সি-পেপ: সি-পেপ মেশিনের সাহায্যেও প্রতি মিনিটে ১০০-১৫০ লিটার অক্সিজেন দেয়া যায়।

* লাইফ সাপোর্ট / মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর: এই যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর সম্পূর্ণ স্বাস-নিঃশ্বাস মেশিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করে বাঁচিয়ে রাখা হয়।

আইইডিসআির (রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষনা ইনষ্টিটিউট): আইইডিসিআর হল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকারের একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যা বাংলাদেশে মহামারী ও সংক্রামক ব্যাধি  গবেষণা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয় নিয়ে কাজ করে।

মহামারী প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১২ দফা স্বাস্থ্যবিধির প্রস্তাবনা’র সুফল আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের ন্যায় ডিজিটাল বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন এর জনপ্রিয়তা সাধারণ মানুষের মাঝে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সুফল পাচ্ছেন। সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিই হবে সংকট উত্তোরণের পথ। সঠিক তথ্য সহজ করে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষের। সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং জনসাধারনকে দৈনন্দিন। কর্মকান্ডে, অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি সমূহ (যেমন ২০ সেকেন্ড ধরে বার বার হাত ধৌত করা, মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ইত্যাদি) মেনে চলতে হবে ,তবেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে, আমরাও ফিরে আসবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে।

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মহাসচিব। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

হাসপাতালের অনুমোদনহীন ক্যান্টিন-ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি হাসপাতালের ভেতরে অবৈধভাবে তৈরি করা অনুমোদনহীন ক্যান্টিন, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের (ফার্মেসি) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

শুক্রবার (১০ মে) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারা দেয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি বকেয়া বা পাওনা থাকলে তা আদায়ের ব্যবস্থা করে নির্দেশনা মানতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সরকারি হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা যাবে না। এ ছাড়া ইতোমধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখার নির্দেশ

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। 


স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন   অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জেনে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিয়ের আগে এই রোগের জিন বাহক কি না তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা দেওয়ার মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রামপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলো (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী   থ্যালাসেমিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাজের সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তার রোধে বাহকদের এবং আত্মীয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ব-এটাই হোক এবারের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিনবাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। এজন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেই পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ বা নারী কেউ এ রোগের বাহক কিনা তা নির্ণয় করা জরুরি। এছাড়া রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়াবহ এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলাও প্রয়োজন।  

রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   থ্যালাসেমিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা খাতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৬৫ শতাংশ অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ৩৫ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে ৬৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

অভিযোগ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুন: অসুস্থতা নিয়েও পুরুষের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে নারী: গবেষণা

বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবাসংক্রান্ত ৬৬টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সময় নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩টি অভিযোগ। সে হিসাবে ৩৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৪৩টি অভিযোগ, যা মোট অভিযোগের ৬৫ শতাংশ।

এর মধ্যে ২০২৩ সালে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত ২৫টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে মানবাধিকার কমিশন, যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের ৩১ মার্চ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ২০২৩ সালের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে ২০২৩ সালের ২৫টি অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগী কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগ দুটি।

অন্যদিকে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) হয়ে গ্রহণ করা অভিযোগের সংখ্যা ২৩, যা এ সময় কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুয়োমটো অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ভুক্তভোগীদের দায়ের করা দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হলেও কমিশন কর্তৃক গৃহীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র তিনটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি অভিযোগ। সে হিসাবে গত বছর চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত অভিযোগের ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

এদিকে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সর্বনিম্ন দুটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে কমিশন।

এর মধ্যে একটি অভিযোগ জমা পড়ে আর কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করে অন্যটি। ওই বছর কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ১২ অনুযায়ী, দেশের নাগরিকরা কমিশনে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অব্যবস্থাপনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কমিশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোন কোন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তার গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ আদালতে রিট করে কমিশন।

আরও পড়ুন: করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিকিৎসাসেবা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিয়মিত তাগিদ দিয়ে থাকি। চিকিৎসাসেবা খাতের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো বেশি আগ্রহী হতে হবে।’

এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কমিশন অনেক ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা নিতে এসে অনিয়মের শিকার রোগীদের অভিযোগ জমা পড়তে পড়তে পাহাড় হয়েছে। আবার ভুল চিকিৎসা, সেবা নিতে গিয়ে অনিয়মের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগও অনেক। স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত চিত্র শিগগিরই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরবে কমিশন। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনসাধারণকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করে কমিশন। গত বছর আমরা জরায়ু ক্যান্সারের ভুয়া ভ্যাকসিন, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে বাণিজ্য, ওষুধের মোড়ক পরিবর্তন করে বিদেশি ওষুধ বলে বিক্রি, অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না কমিশন। এ জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্যারিস নীতিমালার আলোকে আইনের সংশোধন জরুরি।’


চিকিৎসাসেবা   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন