নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ৩১ জুলাই, ২০২০
আওয়ামী লীগ সরকারের মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করার দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক এখন শেখ হাসিনার দিকে তার প্রতি হিংসার তীর তাক করেছেন। তার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের জামায়াত পন্থী কিছু বিদেশে পলাতক সাংবাদিক, এক দুই জন ‘হিন্দু রাজাকার’ আর ওয়ান ইলেভেনের কুশলীবরা।
অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেলের সহযোগিতায় পরিকল্পিত অভ্যুত্থান বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, ভারতীয় ভাড়াটে সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে নতুন প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। ভুয়া নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ভৌমিক হালে শেখ হাসিনার প্রতি ক্রমবর্ধমান তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করার এবং তার ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়পত্রকে ম্লান করার জন্য মরিয়া সুবীর ভৌমিক এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে শেখ হাসিনার ছবি ফটোশপ করেছেন।
শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান সফর করেননি, এমনকি ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্বকালেও না। তবুও, সুবীর ভৌমিক ও তার অপকর্মের সাথীরা শেখ হাসিনাকে ইমরান খানের অফিসে সাক্ষাতের ছবি ছেপেছেন মিডিয়ায়, যেখানে দেয়ালে জিন্নাহর প্রতিকৃতি ঝুলাতে দেখা যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান ইনসাইডারের একটি ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ২০১৭ সালে জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে যে ছবি তুলেছিলেন, সেই ছবির শেখ হাসিনাকে আর ইমরান খানের সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক থেকে তোলা ছবি থেকে ইমরান খানকে নিয়ে ছবির এই কারসাজি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনা আর ইমরান খান করমর্দন করছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে মরিয়া সুবীর ভৌমিক হাসিনার বিরুদ্ধে "পাকিস্তানের সাথে মৈত্রী" এবং তার দলকে "পাকিস্তানি কুটির দ্বারা হাইজ্যাক" করার অভিযোগ এনেছিলেন কারণ শেখ হাসিনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সম্প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ফোন কলের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন। এর মাধ্যমে সুবীর ভৌমিক ভারত সরকারকে বুঝাতে চেয়েছেন যে, হাসিনা ভারতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদিও হাসিনার বিরুদ্ধে ভারতকে দাঁড় করানোর সুবীর ভৌমিকের এটি প্রথম চেষ্টা নয়।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তিনি কিছু ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিএনপির প্রচার সহজ করতে সহায়তা করেছিলেন। বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ের পথে কৌশলে সহায়তা করেছিলেন। সুবীর ভৌমিক বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য ইউএসআই-মিত্র ও বিএনপি সমর্থিত ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা)’র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ভারতের অনুরোধে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরপরই বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা উলফার নেতাদের আটক করেছিলেন। এবং ২০০৯ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় আসার পরে, তিনি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমস্ত গোপন আস্তানা নষ্ট করে দিয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত সুবীর ভৌমিক এক পর্যায়ে এসে টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার দিকে নিজের প্রতিহিংসার বন্দুক তাক করেছেন, এবং এখনো করে আছেন যা খুবই স্বাভাবিক।
২০১৭ সালের শেষের দিকে, সুবীর ভৌমিক একটি আজগুবি খবর নিয়ে আসেন যে, শেখ হাসিনার সুরক্ষা এবং ভিভিআইপি প্রোটোকলে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) এর একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। এই লেখায় সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। যাতে করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সামনের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে, মানে বিএনপি ও তার মিত্ররা যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা যেন ভালো ফল করে।
যদিও সুবীর ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে টার্গেট করেছেন, তিনি সতর্কতার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করা এড়িয়ে গেছেন। মাঝে মাঝে তিনি তার লেখায় এমন ভাব দেখিয়েছেন যে, তিনি শেখ হাসিনাপন্থী। "পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক” রয়েছে বলে সুবীর ভৌমিক সম্প্রতি লিখেছিলেন,"শেখ হাসিনার পক্ষে তিনি তার দেশের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। " "যদিও এটি আমাকে আওয়ামী লীগের উদীয়মান দুর্বলতা এবং তার সরকারের ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করতে দেয় না।"
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমনকি শেখ হাসিনার বিরোধীরাও তাকে সম্মান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ ও সুবিধার মাধ্যমে নিয়েই কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় অনেক উন্নত ও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক ভালো করেছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রতিপক্ষরা নির্বিকার, তাদের অনেক দুর্দশা তাদের নিজস্ব কর্মফলে। তবুও, সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার "উদীয়মান দুর্বলতা" এবং "ত্রুটিগুলি" নিজে তার সাগরেদদের সাহায্যে তৈরি করেছেন।
একবার বা দু`বার নয়, সুবীর ভৌমিক বারবার শেখ হাসিনাকে একনায়ক হিসাবে চিত্রিত করেছিলেন, যিনি মনে করেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন যা মিশরের হোসনি মোবারকের অনুরূপ। তিনি হাসিনাকে মৌলবাদীদের প্রতি নরম ও আরও খারাপ এবং তাদেরকে ব্যাল্যান্স করে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
তবে সম্প্রতি তিনি যা করেছেন তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিপজ্জনক। তিনি কেবলমাত্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্থিতিশীলতার বীজ বপন করার চেষ্টা করে শেখ হাসিনাকে অপসারণ চেষ্টার চূড়ান্ত সীমাই অতিক্রম করেননি সেই সঙ্গে তিনি সম্প্রতি অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেল হাসান সরওয়ার্দীকেও সহযোগিতা করে চলেছেন,যিনি ইদানীং পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)এর সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
তবে বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই প্লটটি পুরোপুরি বানচাল করে দিয়েছে। এবং ষড়যন্ত্রকারী সেনা জেনারেলকে নিরপেক্ষ ইমেজ দেওয়ার সুবীর ভৌমিকের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখন স্পষ্টভাবে হতাশ সুবীর ভৌমিক আড়ালে লুকিয়ে থাকা থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনাকে আরও স্পষ্টভাবে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি সম্প্রতি এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকারে এমন সব গল্প ফেঁদেছেন যে তাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশ ভারতে শত্রুদের সাথে আঁতাত করছে তলে তলে।
উলফার টাকায় প্রতিষ্ঠিত একাধিক বাংলা ইংরেজি দৈনিকের কিছু সাংবাদিক, জামায়াতের মিডিয়া সেলের কিছু সাংবাদিক, হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা সাংবাদিকের কাছ থেকে সুবীর ভৌমিক নিয়মিত তথ্য পেয়ে এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তাদের সবার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। কারণ বাংলাদেশে বিরোধীরা বুঝে ফেলেছেন যে, শেখ হাসিনাকে সরানো না গেলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।