নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২০
ঈদের আগের রাতে গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনা নিয়ে এখন সারাদেশে তোলপাড় চলছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে ঘটনাটি দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দূর্ভাগ্যজনক। এরকম ঘটনা ঘটা উচিত নয়। একজন সাধারণ মানুষকে কোন কারণেই গুলি করে হত্যা করা উচিত নয় এবং পুলিশ কি পরিস্থিতিতে এবং কেন গুলি করেছে সেটা তদন্তের বিষয় এবং তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তবে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, কোন পরিস্থিতিতেই এই ঘটনা কাম্য নয়। আজ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ দুই জনই কক্সবাজারে গিয়েছিলেন এবং কক্সবাজারে গিয়ে পুলিশ এবং সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সেখানে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তারপরে দুইজনই যে বক্তব্য রেখেছেন সেই বক্তব্যের নির্যাস হচ্ছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গড়া। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত পুলিশ-সেনাবাহিনী কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক অটুট বন্ধনে তৈরি। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখে এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে কেউ যেন পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা না করে- সেই সম্পর্কে মূলত দুই বাহিনীর প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। এই দুই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং যুগান্তকারী। এই প্রথম বাংলাদেশে দুটি বাহিনীর প্রধান যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন। সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনেক ইতিবাচক এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি জিনিস স্পষ্ট হলো যে, এই ঘটনাকে অন্য খাতে প্রবাহ করা, এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, এই ঘটনাকে অজুহাত দেখিয়ে দেশে সরকারবিরোধী একটা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নীলনকশা দৃশ্যমান। ৩১ জুলাই রাশেদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে যে কোন কোন মহল এই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, নানারকম উষ্কানি দিচ্ছে। বাংলাদেশে এই ধরণের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এটাই প্রথম নয় এবং এই ধরণের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়। এই ঘটনাটি সেনাবাহিনী এবং পুলিশের মধ্যে কোন বিরোধেরও ঘটনা নয়, বরং একটি বিচ্ছিন্ন-অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যারা এই ঘটনাকে অন্য খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এবং এটাকে সেনা-পুলিশের বিরোধ হিসেবে প্রমাণের জন্যে গুজব ছড়াচ্ছে, তাঁদের লক্ষ্য একটাই তা হলো সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
দেখা যায় যে, বাংলাদেশে যখনই কোন ঘটনা ঘটে, তখন সেই ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয় যেন তা সরকারের বিরুদ্ধে যায়, যেন তাঁতে সরকার চাপে পড়ে। হোক তা করোনা, হোক তা গণমাধ্যম কর্মী গ্রেপ্তারের ঘটনা কিংবা এরকম একটি হত্যাকাণ্ড। একটি মহল যেন সবসময় ওঁত পেতে থাকে যে, কখন একটি ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যাবে এবং এইরকম প্রবণতা সব ঘটনাগুলোতে যেভাবে দেখা যায়, এবারও সেভাবে দেখা গেছে।
তবে অন্যসময়ে ঘটনাটি যেমন ঘটে অন্যরকম ভাবে, এইবার একটি মহল দূর্ভাগ্যজনকভাবে দুই বাহিনীকে মুখোমুখি করার জন্যে এক অকল্পনীয়-দূর্ভাগ্যজনক গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবং এই ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় এই ধরণের অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে ‘একটা কিছু করার’ অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
কাজেই সিনহা হত্যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা কাম্য নয় এবং এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষে সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার। এর বাইরে যারাই এটাকে নিয়ে অন্য কিছু করতে চাইছে তাঁদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে এবং এই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তা না হলে যে সমস্যাটি হবে, তা হলো সিনহা হত্যার বিচারও একটা জটিলতার মধ্যে পড়বে। এটারও একটি নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। তাই নিরপেক্ষ বিচার এবং তদন্তের স্বার্থে আমাদেরকে এই ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।