ইনসাইড থট

১৫ আগস্ট: কুশীলবদের চিহ্নিত করে স্বাধীন বিচার কমিশনের দাবী!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

আগষ্ট মাস শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি নিকৃষ্টতম দিন, এক কলঙ্কিত অধ্যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের নজির আছে কিন্তু অন্তস্বত্তা নারী ও শিশুসহ স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের নজির কোথাও নেই। এই হত্যাকান্ড বিভিন্নভাবেই আলোচিত। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা, আত্মস্বীকৃত খুনীদের পূনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করা, অধ্যাদেশ বাতিলের পর বিচারকার্যে বিচারকদের বিব্রত হওয়া ইত্যাদি নানাভাবে আলোচিত এই হত্যাকান্ড। আগষ্ট মাস আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠে। এখনও তারা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের তেড়ে বেড়ায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুপরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা সহ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভয়াবহতম গ্রেণেড হামলা করা হয় এবং সেইদিন আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে নিহত হন এবং শত শত নেতাকর্মীকে আহত হন যারা এখনো দুর্বিষহ জীবন যারন করছে। তাদেরই দোসররা ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র আজো থেমে নেই।

আজ ৫ই আগস্ট সকালে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আবাহনী ক্রীড়াচক্র মাঠে তাঁর প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে তারঁ সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার পর আমার মনটা বেশ ভাড়াক্রান্ত ছিল। খবরের কাগজে বিভিন্ন লেখা ও প্রবন্ধে চোখ বুলাচ্ছিলাম, ১৫ আগষ্টে প্রথম শহীদ হন শেখ কামাল। মাত্র ২৬ বছর বয়সে একজন তরুন কিভাবে এমন প্রতিভাবান ও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি একজন ক্রীড়াবিধ, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন আবাহনী ক্রীড়া চক্র, স্পন্দন সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা থিয়েটার! সব মিলিয়েই তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা হয়তো আজ অন্য এক বাংলাদেশ দেখতে পেতাম।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের যে ছবিটি আমরা সবসময় দেখে আসছি তা দেখলেই মনের ভিতরে এক অন্যরকম অনুভুতির জন্ম নেয় এবং এই ছবিটি যেন প্রতিটি বাঙ্গালীর আত্মার-আত্মীয় ও আপন পরিবার। প্রতি বছর আগষ্ট মাস আসলেই আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ১৫ আগষ্টের প্রেক্ষাপটে শোক-কে শক্তিতে রূপান্তরিত করা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারের দাবীতে প্রবন্ধ লেখাসহ অনেক আন্দোলন সংগ্রামও দেখেছি গত কয়েক দিন আগে অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী স্যারের একটি লেখা পড়েছি। হত্যাকান্ডের পিছনে যারা জড়িত তাদেরকে জানতে কমিশন গঠনের উপর তিনি জোর দিয়েছেন। আমি আমার লেখায় শুধু হত্যাকান্ডের এই দিক নিয়েই আলোকপাত করতে চাই।

হত্যাকান্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচারের রায় আমরা দেখেছি, কিন্তু তাদের পিছনে মদতদাতা কারা ছিল, তাদের ব্যাপারে জনগণ জানতে চায়, এটি এখন সময়ের দাবী। একটি বিচার বিভাগীয়

কমিশনের মাধ্যমে এই ব্যাপারে বর্তমান সরকারের একটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাহলেই পিছনের কুশলীবদের চিহ্নিত করা যাবে। আমরা জানি একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিবিদরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনা করে।জনগণই তাদের মূল শক্তির উৎস এবং জনগণের চাহিদা, আশা-আকাঙ্খা পূরনই হল তাদের মূল লক্ষ্য। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে সিভিল-আমলা, মিলিটারী-আমলা ও অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও গুরুত্ব অনেক বেশী।

রাজনৈতিক দলের আদর্শের দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা কর্ম পরিকল্পনা যদি সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে সরকার ব্যর্থ হয়। মুক্তি যুদ্ধের সময় অনেক সিভিল কর্মকর্তা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন আবার অনেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল পাকিস্তানী আমলা দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন চলবে কিনা? এই সংশয়ই পরবর্তিতে সত্য হয়। বঙ্গবন্ধু মানুষকে সহজেই অনেক পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন এবং ছিলেন উদার প্রকৃতির। জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সময় ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন “আপনার দেশ কেমন চলছে”?  বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “দেশ ভালো আছে। অনেক ভালো সিএসপি অফিসার আছে”। ফিদেল কাস্ত্রো তখন বলেছিলেন “এত ভালো অফিসার থাকতে পাকিস্তান রক্ষা করতে পারলো না কেন। আমাকে ৩১ বার মারার চেষ্টা করেছে, আমার খাবার খেয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে। ভালো অফিসার হলেই হবে না আনুগত্য আছে কিনা তা দেখতে হবে”। মাহবুব আলম চাষী, এম কেরামত আলী, হোসেন আলী সহ তাদের মতো আরো অনেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এবং ষড়যন্ত্রের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক লরেঞ্জ রিফসো বঙ্গবন্ধুহত্যার ৪ বছর পর ১৯৭৯ সালে গার্ডিয়ানে প্রবন্ধ লিখেছিলেন ঢাকায় তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত David Eugene Boster  এর উদ্ধৃতি দিয়ে। রিফসো লিখেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কথা মার্কিন দূতাবাস জানতো। সিআইএ’র ষ্টেশন চীফ ফিলিপ চেরীর সঙ্গে খুনী ফারুক-রশিদের কথোপকথনের ব্যাপারে লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনী ফারককে জিজ্ঞাসা করেছিলো তারা অভ্যূত্থানের আগে কি ভাবেছে, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? উত্তরে ফারুক বলেছিলো এই বিষয়ে তারা অনেক ভেবেছে তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল। হত্যাকারীরা রাত সাড়ে তিনটায় যখন ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় বের হয় তখন মিলিটারী ইন্টিলিজেন্সের কর্মকর্তা কর্ণেল সালাউদ্দিন সেনাপ্রধান সফিউল্লাহকে অবহিত করেন। ঘাতকদল বঙ্গবন্ধুকে ভোর ৬ টায় হত্যা করেন, এই আড়াই ঘন্টার মধ্যে সফিউল্লাহ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বিগ্রেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন তার বাংলাদেশ রক্তাক্ত অধ্যায় বইয়েতে লিখেছেন ১৫ আগষ্ট সকালে ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার কর্ণেল সাফায়াত জামিল এর কক্ষে সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ ডেপুটি জিয়াউর রহমান, সিজিএস খালেদ মোশারফ, ডিজিএফআই এর প্রধান আব্দুর রউফ প্রবেশ করেন। সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ এগিয়ে প্রচলিত রীতিনীতি ভেঙ্গে ব্রিগেড কমান্ডার সাফায়াত জামিলের চেয়ারে বসে পরেন। এই সময় ডিজিএফআই এর প্রধান বিগ্রেডিয়ার রউফ বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল খালিদের সাথে যোগাযোগ করেন, ফোনটি সেনাপ্রধানের হাতে দিলে তিনি খলিলকে জিজ্ঞেস করেন রেডিওতে তার আনুগত্য প্রকাশের বক্তব্য শুনেছে কিনা? খলিলকে বলেন তুমি এখনই রেডিওতে গিয়ে সরকারের আনুগত্য স্বীকার কর। আমরা সবাই এর সাথে আছি। রক্ষী বাহিনী তখনো সাড়েন্ডার করেনি, কোন ঘোষনাও দেয়নি। রক্ষী বাহিনীর প্রধান কর্ণেল নূরুজ্জামান দেশের বাহিরে ছিলেন। খালেদ মোশারফ রক্ষী বাহিনীর মেজর শরীফকে রেডিওতে গিয়ে আনুগত্য স্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশারফ রাজেন্দ্রপুর থেকে ট্যাংকগুলোতে গোলাবারুদ আনার ব্যবস্থা করে। বিগ্রেডিয়ার সাখাওয়াত তার বইয়ে লিখেছেন,  “আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমায় কমান্ডার কর্ণেল সাফায়াত জামিল ১৫ আগষ্ট ভোরে সর্ব প্রথম যখন খবরটি পায় তখন উপ-প্রধানের বাড়ীতে গিয়ে জানান, তখন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিরুত্তাপ অভিব্যক্তিতে রাষ্ট্রপতি নিহত হওয়ার খবর শুনে বলেছিলেন " "So What! If president is killed vice president is there”। সাংবাদিক এ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার বই  “Bangladesh A legacy of Blood` ‘Page-54’” এ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর খুনী মেজর ফারুক তাকে জানায় ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ সন্ধা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে মেজর ফারুক জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে জিয়ার সাথে দেখা করে এবং তাকে বলে ‘The Country Required a Change’  জিয়া বলেন  ‘yes yes lets go outside and talk’। তখন জিয়া ফারুককে নিয়ে বাইরে যায়।

সেখানে ফারুক পুনরায় বলে, ‘We have to have change, We want your support and leadership’ জিয়া বলেন “if  you want to do something you Junior Officers should do it yourself”। বিগ্রেডিয়ার সাখাওয়াত সাহেব এর বইয়ে আরো উল্লেখ করেছিলেন ১৮ আগষ্ট তিনি মেজর ডালিমকে জিজ্ঞেস করেছিলেন জুনিয়র অফিসারদের মাত্র দুইটি ইউনিট নিয়ে এতবড় একটা ঝুকি নেওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত ছিল। তার জবাবে ডালিম হাসতে হাসতে বলল সিনিয়র অফিসাররা সবাই আমাদের সাথে আছে। সুতরাং এর মাধ্যমেই বুঝা যায় সামরিক বাহিনী, সিভিল আমলা এবং কুখ্যাত খুনী মোস্তাক-এর রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারা সেই দিন ১৫ আগষ্টের এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

১৫ আগষ্ট সকালে যখন বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহ সিঁড়িতে পড়েছিল এরা কেউ তাকে দেখতে ৩২ নম্বরে যায়নি। বরং তারা ব্যস্ত ছিল রাষ্ট্রপতির আনুগত্য নিয়ে এবং সবাই গিয়েছিল রেডিও ষ্টেশনে। দূঃখ হয় পরবর্তী সময়ে এই সফিউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, এ কে খন্দকার, খুনী ফারুক, রশিদ, হুদা, ডালিম, আজিজ পাশা, মহিউদ্দিন, নূর, খাইরুজ্জামান ও মোছলেমদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে প্রশাসনে ব্যাপক রদ-বদল করেন এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক ১লা সেপ্টেম্বর যদি দায়িতপ্রাপ্ত গভর্ণররা দায়িত্ব গ্রহন করতে পারত তাহলে আমালাদের গুরুত্ব অনেক কমে আসতো। বঙ্গবন্ধুর সেনা বাহিনীকেও দেশের জেলা পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন। যা ছিল একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ এবং তা বাস্তবায়িত হলে এদেশ হতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ কিন্তু বিশ্বাস ঘাতকেরা জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেয়নি। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হবার আগেই ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে যান তিনি। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই নেতৃত্বে ‘৭১ এর যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে, ১৫ আগষ্টের খুনীদের বিচার হয়েছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে আজকে মধ্যম আয়ের দেশ এই বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ এবং ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অদম্য লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে একের পর এক স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেমন ৭৫ এর খুনীদের বিচার হয়েছে এবং তারই নেতৃত্বে স্বাধীন বিচার কমিশনের মাধ্যমে এই হত্যাকারীদের পিছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে সেই প্রত্যাশায় জাতি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

লেখক: মহাসচিব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন