নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২০
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। এই বছরটি আওয়ামী লীগের জন্যে সবথেকে সুখকর সময় হিসেবে অতিবাহিত করার কথা ছিল। মুজিববর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আওয়ামী লীগ একটি উৎসবমুখর বছর উদযাপনের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু সব পরিকল্পনায় বাঁধ সাজে করোনা।
করোনা সংক্রমণের পর থেকেই সরকারে এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম অস্বস্তি এবং উৎকণ্ঠা দানা বাঁধতে থাকে। বিশেষ করে করোনার চাপে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং করোনা পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্যে কি ধরণের হুমকি দিবে ইত্যাদি নানা আশঙ্কা এবং বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎবাণী সরকারকে বিচলিত করে তোলে। এসময় সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্যোগকে পাশ কাটিয়ে আমলাতান্ত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই করোনা সঙ্কটের সময়ে একের পর এক সঙ্কট এসেছে সরকার এবং আওয়ামী লীগের সামনে। আম্ফানের দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই বন্যা এসেছে, আবার সাবেক মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার ভিন্ন ধরণের চাপের ভেতর পড়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত বছরটা সুখকর নয় এবং এটা নিয়েই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানারকম উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ। শুধু নেতাকর্মী নয়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মধ্যেও নানারকম চিন্তাভাবনা কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তিন ধরণের চিন্তাভাবনা কাজ করছে। এই চিন্তাভাবনাগুলো শুধু নেতৃত্বে নয়, বরং তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। এই চিন্তাভাবনাগুলো মধ্যে রয়েছে-
প্রথমত, সরকার সঠিক কাজ করছে, সবকিছু ঠিকঠাক হবে, ধৈর্য্য ধরুন
আওয়ামী লীগের যারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের সময়ে প্রাপ্তির ঝুলিতে অনেক কিছু ভরেছেন, তাঁরা মনে করছেন যে, দেশের অবস্থা ঠিকঠাক আছে এবং সরকার ঠিকপথে পরিচালিত হচ্ছে, দলও ঠিক আছে। করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বের সঙ্কট, বাংলাদেশের একার নয় এবং পরিস্থিতি খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। সরকার সঠিক পথেই আছে। এই মতের অনুসারীরা মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে সরকার করোনা মোকাবেলাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে, তাতে কোন সমস্যা নেই এবং জনগণের মধ্যে আস্থার কোন সঙ্কট নেই। তাঁরা মনে করছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বা অপপ্রচার সফল হবেনা। তবে আওয়ামী লীগে এই ধরণের মতবাদে বিশ্বাসীর সংখ্যা খুবই কম।
দ্বিতীয়ত, জনঅসন্তুষ্টি বাড়ছে, আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে
আওয়ামী লীগের কিছু হেভিওয়েট নেতা এবং আওয়ামী লীগের অনেক তরুণ নেতারাও মনে করছে যে, করোনা পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকে সঙ্কটে ফেলেছে এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই মতের অনুসারীরা অধিকাংশই সরকারের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, বরং তাঁরা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কাজ করছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন। সেই দায়িত্ব তাঁদের খুব একটা নেই বলেই তাঁরা বলছেন। এই মতের অনুসারীরা বলছেন যে, সরকার বেশি মাত্রায় আমলা নির্ভর হয়ে উঠছেন, আমলাতন্ত্র আওয়ামী লীগের আদর্শের অনুসারী নয় এবং প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-বিএনপি সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এরা সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। এদের কারণে সরকার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
তাঁরা মনে করছেন যে, সরকারে আওয়ামী লীগের কোন ভূমিকা নেই, বিরাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে, যার ফলে আওয়ামী লীগ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, সরকার চালাচ্ছে কতিপর আমলারা। আওয়ামী লীগের সামনে যদি কোন বিপদ আসে তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।
তৃতীয়ত, শেখ হাসিনার উপর ভরসা
আওয়ামী লীগের তৃতীয় মত যারা পোষণ করেন তাঁদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে নেতৃত্বের সংখ্যা কম, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই বেশি। তাঁরা মনে করছেন যে, সরকারের মধ্যে ভুলভ্রান্তি আছে। বিশেষ করে সরকারের মন্ত্রীদের অনেকেই অযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে, প্রশাসন নির্ভরতাকেও তাঁরা সমালোচনা করেন। তবে তাঁরা মনে করেন যে, দলের নেতা হিসেবে বা সরকারপ্রধান হিসেবে যখন শেখ হাসিনা আছেন তখন চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং বিচক্ষণতার উপর তাঁদের পুরো আস্থা আছে। তাঁরা মনে করেন যে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত এবং দলের উপর তাঁর কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ। তাই এই যে বিপর্যয়, সমস্যা রয়েছে তা সাময়িক এবং শেখ হাসিনা অতীতের মতো তাঁর বিচক্ষণতায় এই সঙ্কটগুলো কাটিয়ে উঠবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেও তাঁরা মনে করেন যে, শেষ বিচারে আওয়ামী লীগ সঠিক পথেই যাবে। কারণ তাঁদের নেতা শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।