ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের ধূমকেতু সাবের?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

সাবের হোসেন চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে তাঁর নামটিও কেউ জানতো না। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার জন্য যতগুলো চমক দেখিয়েছিল তাঁর মধ্যে অন্যতম চমক ছিল সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো তরুন-আনকোরাকে মনোনয়ন দেওয়া। তাও আবার মতিঝিলের মতো নির্বাচনী এলাকা থেকে, যেখানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মির্জা আব্বাস। এই সময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মোজাফফর হোসেন পল্টু, কিন্তু শেখ হাসিনা মোজাফফর হোসেন পল্টুকে না দিয়ে তরুণ ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা সাবের হোসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। এই মনোনয়ন দেওয়ার পর সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচার অভিযানের সূচনা করেন। যে নির্বাচনী প্রচার এখনো বিরল ব্যতিক্রমধর্মী। এর সঙ্গে তুলনা করা যায় শুধুমাত্র প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মেয়র নির্বাচনের প্রচারণার সঙ্গে।

সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণায় রাজনীতির বাইরের বিশেষ করে ক্রীড়াবিদ, শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন মানুষকেও যুক্ত করেন। নিজে বিনয়ী চেহারায় নিষ্পাপ ভাব এবং সুন্দর বাচনভঙ্গির কারণে ঐ নির্বাচনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে পরাজিত করেন এবং রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন। তাঁর রাজনীতির অভিষেকটা যেন ছিল এলাম-দেখলাম-জয় করলামের মতো। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদে নিয়োগ পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ক্রীড়া সংগঠক সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশের ক্রিকেটের দন্ডমুন্ডের কর্তা হন। তাঁর হাত ধরেই দেশের ক্রিকেট অনেকগুলো সাফল্য অর্জন করে, যার মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট মর্যাদা প্রাপ্তি অন্যতম। এই সময়ে উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। রাজনীতিতে অভিষিক্ত হয়ে একবারে এতকিছু আওয়ামী লীগের হয়ে অন্য কেউ পেয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

অনেকে মনে করতেন সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতাদের অন্যতম এবং আওয়ামী লীগে তিনি অনেক দূরে যাবেন। বিশেষ করে যখন শেখ হাসিনার স্নেহ এবং ভালোবাসা তাঁর জন্যে ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পরে সাবের হোসেন চৌধুরী দল ছেঁড়ে যাননি, বরং দলের মধ্যে তাঁর অবস্থান আরো শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় করেছেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আরো নৈকট্য হয়েছে। সাবের হোসেন চৌধুরীকে শেখ হাসিনা তাঁর রাজনীতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেন। এই সময় আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক হয়ে ওঠেন সাবের হোসেন চৌধুরী। এই কারণেই রাজনীতিতে অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরী অনেক নির্যাতনও ভোগ করেছেন। তাঁকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই মামলা এখনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম প্রহসন। তিনি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফরে যাচ্ছিলেন এই সময়ে ফেরি থেকে কাঁটা চামচ এবং প্লেট চুরির মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের রাজনীতিতে যত প্রহসন এবং অপকর্ম করেছে তাঁর একটি বড় উদাহরণ সম্ভবত এটা।

সাবের হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগকে ২০০১ পরবর্তী সময়ে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নানামুখী তৎপরতা করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করায় তিনি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় ওয়ান ইলেভেন ঝড় এবং ওয়ান ইলেভেনের পর হঠাৎ করেই সাবের হোসেন চৌধুরী বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন। এখনো স্পষ্ট নয় সাবের হোসেন চৌধুরীর কি হয়েছিল, তিনি কি সংস্কারপন্থি হয়েছিলেন? তিনি কি শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন? নাকি তাঁর অন্যকোন চিন্তা ছিল? বিষয়টা যেমন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও স্পষ্ট করেননি, তেমনি সাবের হোসেন চৌধুরীও এই নিয়ে কখনো কথা বলেননি। তবে সাবের হোসেন চৌধুরী একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি কখনো সংস্কারপন্থি ছিলেন না। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় যে, সাবের হোসেন চৌধুরী ভারতের সোনিয়া গান্ধী মডেল বাংলাদেশে চালু করার জন্য কারো কারো সঙ্গে দেনদরবার করেছিলেন বলে জানা যায়। বিশেষ করে তৎকালীন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সেই সময়ে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গেও। এই বাস্তবতায় সাবের হোসেন চৌধুরী আসলে শেখ হাসিনার মুক্তি বিলম্বিত করতে চেয়েছিলেন নাকি শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন তা এক বড় প্রশ্ন।

কিন্তু সাবের হোসেন চৌধুরী তারপরেও ভাগ্যবান। ২০০৮ সালে যারা সংস্কারপন্থী ছিলেন তাঁদের অনেকেই মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পাননি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীরের মতো অনেকেই। কিন্তু সাবের হোসেন চৌধুরী তারপরেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং এখনো আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে আছেন। এর মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরীকে ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্ট কমিটির সহ সভাপতি পদেও মনোনয়ন দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা এবং সেখানে তিনি বিজয়ীও হয়েছিলেন।

কাজেই সাবের হোসেন চৌধুরীর রাজনৈতিক অবস্থান রহস্যাবৃত। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর দুরত্ব আছে, কিন্তু তারপরেও তিনি আওয়ামী লীগে আছেন। তিনি যেন আওয়ামী লীগে ধূমকেতুর মতো। হঠাৎ আলো ছড়িয়েছিলেন, এখনো তাঁর আলোর ছটার রেখা দৃশ্যমান। তিনি রাজনীতিতে টিকবেন কিনা তা ভিন্ন প্রশ্ন, তবে রাজনীতিতে তাঁর আগ্রহ আছে কিনা সেই প্রশ্ন কেউ করতেই পারে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতকে নিয়ে বিএনপিতে ঘরে বাইরে বিরোধ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতকে নিয়ে নতুন বিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব অন্তঃকলহ তেমনই বিএনপি যাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জামায়াতকে নিয়ে আবার প্রকাশ্য আন্দোলনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই বৈঠকে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য জোটের ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। 

তারা বলছেন যে, জামায়াত এবং বিএনপি একসাথে জোট অনেকটাই অর্থবহ ছিল এবং এটির ফলে জনসমর্থনের দিক থেকেও তারা একটি আস্থাশীল অবস্থার মধ্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনের পরে আন্তর্জাতিক চাপে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপির। জামায়াত-বিএনপির ২০ দলীয় জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এখন আবার নতুন করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাঁধতে চাইছে। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল ভারত বিরোধিতা। 

বিএনপির নেতা যারা জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঐক্য গড়ার পক্ষে, তারা বলছেন যে, ভারত বিরোধিতার রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই জামায়াতকে পাশে নিতে হবে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য ঐক্যের বিরোধী। তারা বলছেন যে, এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা মনোভাব তৈরি হবে। বিএনপির মহাসচিব এটাও মনে করেন যে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সমর্থন ছাড়া বিএনপির পক্ষে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়ানো সম্ভব না। আর এই কারণেই জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য করা হবে আত্মঘাতী। 

জামায়াতের সাথে ঐক্যের বিষয়টি নিয়ে এখন বিএনপির ঐক্যের মধ্যেও এক ধরনের টানাপোড়েন এবং বিভক্তি তৈরি হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছিল, সেই সমস্ত আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যেও এ নিয়ে এক ধরনের বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছে যদি জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করা যায় তাহলে আন্দোলনের গতি হবে এবং শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে যে, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যের কোন প্রয়োজন নেই এবং এই ধরনের ঐক্য হলে সেটা হবে আত্মঘাতী। 

গতকাল ১২ দলীয় জোট এবং এলডিপির সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে। এই বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। ১২ দলীয় জোটের মধ্যে থেকে অনেকেই জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন যে, জামায়াতকে ছাড়া জোটে যে অন্যান্য দলগুলো আছে সেগুলো শক্তিশালী নয়। এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যে কর্মী সমর্থক এবং কৌশলগত অবস্থান সেটি তৈরি করতে পারে না। এ কারণেই তারা জামায়াতকে পাশে পেতে চায়। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা বিএনপির সঙ্গে অভিন্ন ইস্যুটিতে আন্দোলন করছে তারা মনে করছে যে, জামায়াতকে প্রকাশ্য রাজনীতি করতে দেওয়া এখন উচিত না। এ নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। 

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ধাপে ধাপে তারা সমমনা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার বৈঠক করবে এবং এই সমস্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে। 

জামায়াত   বিএনপি   রাজনীতির খবর   মির্জা আব্বাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর: সুশীলরা অতি উৎসাহী, আগ্রহ নেই রাজনীতিবিদদের

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড লু বা কে বাংলাদেশে আসল সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা এটা নিয়ে আগ্রহও নই। অথচ ৬ মাস আগেও তিনি এই ধরনের সফর নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তখন বিএনপির মধ্যে রীতিমতো উৎসবের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। এখন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেন ডোনাল্ড লুর ব্যাপারে এত নিস্পৃহ-এর উত্তরে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে, তারা মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে এবং ডোনাল্ড লুর বিভিন্ন কঠোর কথাবার্তায় তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে সবকিছু তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফলাফল ইতিবাচক হয়নি নিন।

ডোনাল্ড লুর নির্বাচনের আগে শেষ তৎপরতা ছিল সকল পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার জন্য তিনি একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কিন্তু এই চিঠি বিফলে গেছে। কোন পক্ষই এই চিঠির প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসার জন্য আগ্রহী হননি। তাঁর আগেই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ না হয় তাহলে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই হুমকিও বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি। 

আওয়ামী লীগ অবশ্য শুরু থেকেই ডোনাল্ড লুর এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থায় ছিল। তবে ৭ জাতীয় নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিল, তিনি কি করবেন, না করবেন ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা ছিল, এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন কোনো আলোচনা নেই। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, এই সফরটি সরকারি এবং এখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে ডোনাল্ড লুর এই সফর নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের। সুশীল সমাজ শুরু থেকে ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল এবং নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুকে ব্যবহার করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশলও দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় সুশীলরা আশাহত হয়ে পড়েন। এবার ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে তারা নতুন করে আশায় বুক বেধেছেন। ডোনাল্ড লুর সফরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে, ডোনাল্ড লু এই যাত্রায় তিনটি দেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত এবং শ্রীলঙ্কা সফর করছেন। এই উপমহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে এটি একটি রুটিন সফরের অংশ। এ কারণেই এই সফরটি রাজনৈতিক ভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তৃতীয় ধাপেও ভোটের মাঠে সক্রিয় বিএনপি নেতারা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে দলটির তৃণমূল নেতারা। কড়া সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে রয়েছেন। বিএনপি যাদেরকে বহিষ্কার করছে এমন সাত জন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই কেন্দ্রের নির্দেশনা মানছেন না। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত আছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে আছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী।

রোববার (১২ মে) তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে এ ধাপে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

তৃতীয় ধাপে তিন পদে মোট ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৮ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০০ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে ২৭ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। ২৯ মে এ ধাপে ভোট নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগে মাঠে বিএনপি প্রার্থীরা

জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল খালেকের ছেলে আনোয়ার সাদাত ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম সোহাগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

খুলনায় রয়ে গেলেন বিএনপির সবাই

খুলনার ডুমুরিয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীই ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনিমুর রহমান নয়ন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী আবদুল হালিম ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন।

রংপুর বিভাগে মাঠে বিএনপি-জামায়াতের ৫ প্রার্থী

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিপ্টন।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিএনপি নেতা মোকারম হোসেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের সদস্য আবদুস সালাম সুজা।

প্রার্থী আছে সিলেটেও

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সুমন সিলেটের বিয়ানীবাজারে নির্বাচন করছেন।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআর ও কাস্টমসের সমস্যা এবং সেবাগ্রহীতারদের হয়রানির বিষয়টি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিটেন্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ও এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ'র দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।

এনবিআর   কাস্টমস   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে’

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন