নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিতর্ক কাটছেই না। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়া আগামীকাল ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কেটে উৎসব পালন করবেন না। শুধু তিনি নন, বিএনপির কোন অঙ্গসহযোগী সংগঠনই যেন কেক কেটে জন্মদিন উৎসব পালন না করে সে ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং দলের অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ১৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে দোয়া-মাহফিল করবে বলেও কর্মসূচী পাওয়া গেছে।
অর্থাৎ এখন থেকে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট নয়, ১৬ আগস্ট উদযাপিত হবে। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে আসার পর এটাই হবে তাঁর ষষ্ঠ জন্মদিনের তারিখ। এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন কাগজপত্রে পাঁচটি জন্মদিনের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটে দেখা যায় তাঁর জন্মদিন ৯ জানুয়ারি। পাসপোর্ট অনুযায়ী তাঁর জন্মদিন সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি যখন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেন তখন তিনি তাঁর জন্মদিন উল্লেখ করেছিলেন ডিসেম্বর মাস। এরপর হঠাত করেই তাঁর জন্মদিন ১৫ আগস্টে পালিত হচ্ছিল এবং সর্বশেষ এখন তাঁর জন্মদিন ১৬ আগস্ট পালিত হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে যে, গত কয়েক বছর ধরেই জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর এই সমালোচনার তোপে বিগত দুই বছর জন্মদিনের কেক কাটার বীভৎস উৎসব বেগম খালেদা জিয়া পালন করেননি। বেগম খালেদা জিয়া কেক না কাটলেও বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ঠিকই কেক কেটে নোংরা উৎসব করেছিল।
অবশ্য গত জন্মদিনে খালেদা জিয়া কারান্তরীণ ছিলেন। এইজন্যে তাঁর জন্মদিন পালিত হয়নি, দোয়া মাহফিল হয়েছিল। এইবার ১৫ আগস্টে বিএনপি খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত কোনরকম কর্মসূচী গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, জাতীয় শোক দিবসে এই ধরণের কর্মসূচী সাধারণ জনগনের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এইজন্যেই ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ১৬ আগস্ট দোয়া-মাহফিল করে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর মানে কি বেগম খালেদা জিয়ার নতুন জন্মদিন ১৬ আগস্ট?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন