কালার ইনসাইড

জহির রায়হান: উপমহাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্রের কারিগর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের কালজয়ী এক পথিকৃতের নাম জহির রায়হান। প্রগতিশীল ও প্রতিবাদী সাহিত্য চর্চা করতে করেতই একসময় তিনি চলচ্চিত্রকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রই হয়ে ওঠে তার ধ্যান-জ্ঞান। জহির রায়হান এককথায় বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার।

মাত্র আটটি উপন্যাস লিখেই তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখক হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন। তার রচনাগুলো ছিল জীবনমুখী। তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস `হাজার বছর ধরে` প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। এ উপন্যাসে গ্রামের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রাকে তিনি অসম্ভব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়া শহুরে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার আরেক উপন্যাস `বরফ গলা নদীর` মাধ্যমে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রচনা করেন `আরেক ফাল্গুন` এবং `একুশে ফেব্রুয়ারি` নামের দুটি উপন্যাস।

কিশোর বয়স থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিনি জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক থাকাকালীন তার লেখায় এসব নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে পড়াশোনাকালীন তিনি ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।

খুব অল্প বয়স থেকেই সিনেমা জগতের প্রতি তার আলাদা ভালোবাসা তৈরী হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন বিভিন্ন নাট্য কর্মশালার সাথেও সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি কলকাতার এক ফিল্ম স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু অর্থাভাবে দশ মাসের কোর্স মাত্র ছ`মাস করেই তাকে দেশে ফিরতে হয়।

সিনেমা জগতে তিনি প্রথম পদার্পণ করেন ১৯৫৭ সালে `জাগো হুয়া সাভেরা` নামের এক উর্দু সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে। `এ দেশ তোমার আমার` ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সময় শ্যুটিং স্পটে তার প্রথম স্ত্রী সুমিতা দেবীর সাথে প্রথমবার দেখা হয়। পরিচালক হিসেবে জহির রায়হানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬১ সালে তার প্রথম সিনেমা `কখনো আসেনি` এর মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে তিনি উপমহাদেশের প্রথম রঙিন ছবি `সংগম` তৈরি করেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র `লেট দেয়ার বি লাইট` নির্মাণ করেন। এছাড়াও বাণিজ্যিক, অবাণিজ্যিক ও তথ্যচিত্র মিলিয়ে তিনি সর্বমোট ১২টি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। তার বানানো `বেহুলা` চলচ্চিত্র দিয়ে নায়করাজ রাজ্জাক বড় পর্দায় জনপ্রিয় হন। 

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন তাকে এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে তিনি ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯৭০ সালে `জীবন থেকে নেওয়া` চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রকার হিসেবে এটিই তার শ্রেষ্ঠ কাজ। এই সিনেমা দেখে মুগ্ধ হয়ে তখনকার বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, তপন সিনহা প্রমুখ জহির রায়হানের বিপুল প্রশংসা করেন।

বাঙালির এই ঐতিহ্য পুরুষের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে। ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। বাবা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এবং মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুনের আট সন্তানের পরিবারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার প্রকৃত নাম আবু আবদাল মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ এবং ডাকনাম জাফর। বাবার কলকাতার এক আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতার কারণে তিনি পরিবার সহ কলকাতায় থাকতেন। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তারা সপরিবারে ঢাকায় ফিরে আসেন।

কলকাতায় ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়ার সময় বড় ভাইয়ের প্রভাবে জহির রায়হান প্রথম রাজনৈতিক সংস্পর্শে আসেন। এসময় তিনি কলকাতায় রাস্তায় রাস্তায় ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকা বিক্রি করতেন কমিউনিস্ট পার্টির জন্য। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চলমান সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সমর্থক

ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঙালি জাতির উপর চলা বর্বরতা দেখতে দেখতে বড় হয়েছেন। তার লেখনী আর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এগুলো অনেক স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজনীতির সাথে তিনি সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে  আন্দোলন করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা মিটিংয়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে জেলে পুরে দেয়। এই জেলে বসেই তিনি ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার কালজয়ী উপন্যাস ‘আরেক ফাল্গুন’ রচনা করেন।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি আন্দোলনে যোগ দেন। এসময় বহু পত্রিকায় তার আইয়ুব খান বিরোধী লেখা ছাপতে থাকে। তার তৈরীকৃত ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’ সরাসরি বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি সৈন্যের বর্বরতার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। বিখ্যাত ব্যক্তি হওয়ার কারণে ও নিজের  চলচ্চিত্র ও লেখার মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি কলকাতায় চলে যান। তিনি সে সকল ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও দেশের স্বাধীনতা লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কলকাতায় থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রচার অভিযান শুরু করেন। ভারত ও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন। এসময় চরম অর্থকষ্টে থাকা সত্ত্বেও নিজের লেখা ও চলচ্চিত্র থেকে আয় করা টাকা মুক্তিযুদ্ধ ফান্ডে দান করেন। বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র তৈরির মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রচারণা চালান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি প্রোপ্যাগান্ডা অনেক অপপ্রচার শুরু করে। এসব দেখে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার এই প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ পৃথিবীব্যাপী অনেক সাড়া ফেলে। এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিকতা সম্পর্কে বাইরের দেশগুলোতে ঘরে ঘরে মানুষ জানতে পারে। জহির রায়হান রাতারাতি দেশের বাইরে অনেক পরিচিতি পেয়ে যান। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তখন তার সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করে।

কলকাতার একটি পত্রিকায় জহির রায়হান সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি জহির রায়হান। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই। আমি কেবল  একজন লেখক এবং চলচ্চিত্রকার। কিন্তু আমি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় দেখেছি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো আমি কিছু পাকিস্তানি মিলিটারিদের একটা অপারেশনের সময় একটা মুভি ক্যামেরা হাতে রাস্তায় চলতে দেখতাম। তারা মানুষ গুলি করে মারার পর সেই মুভি ক্যামেরা দিয়ে মৃত লাশগুলোর ভিডিও চিত্র নিতো। ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পর সেগুলোর ভিডিও চিত্র নিতো। তারা কিছু বাঙালিকে একত্র করে একটা দোকান লুট করতে বাধ্য করে। নিজেদের মুভি ক্যামেরা দিয়ে তারা সেই লুট করার ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এরপর আমি শুনেছি এবং পরে নিজে দেখেছি যে তারা এই ধারণকৃত অংশগুলো ইডিট করে। এই ইডিট করা ভিডিওগুলো প্রেসে ছেড়ে দিয়ে বলে যে, বাঙালিরা অবাঙালিদের হত্যা করা শুরু করেছে। এই অরাজক ও বিভ্রান্তিমূলক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাদের (মিলিটারিদের)রাস্তায় নামতে হয়েছে। এটি ছিল পুরোপুরি একটা মিথ্যা বানোয়াট কথা।’



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলের দায়িত্ব পালনের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৫ মে ফলাফল বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করেন পরাজিত সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার। ফলাফল বাতিল চেয়ে তিনি বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। এছাড়া বর্তমান কমিটির দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয় এই রিটে।

তার আগে, গত ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেত্রী নিপুন আক্তার (২০৯)


ডিপজল   হাইকোর্ট   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভোটে জয়ী হলে অভিনয় ছেড়ে দিবেন কঙ্গনা

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের কন্ট্রভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রথমবারের মতো ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি থেকে নির্বাচনের টিকিট নিয়ে ভোটে লড়ছেন লাইট, ক্যামেরা রেখে জয়ী হতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুড়ছেন তিনি। এর মধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন ভোটে জয়ী হলে ছেড়ে দিবেন অভিনয়।

হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কঙ্গনা। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লড়ছেন শক্তিশালী বিক্রমাদিত্য সিং। যার গোটা পরিবার ভারতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তো সিনেমায় অভিনয়ের চেয়েও এই লড়াইকে কঠিন মনে করছেন এই অভিনেত্রী।

সাম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে কঙ্গনা অভিনয় ছাড়ারার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে সিনেমাসংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। যদি ভোটে জয়ী হই, তাহলে আমার হাতে কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো শেষ করে অভিনয় ছেড়ে দেব। কারণ সিনেমা জগত পুরোটাই মিথ্যা, সেখানে সবই নকল। অভিনয়ের থেকে ভোটের মাঠে টিকে থাকা আমার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে। আমি জগণের পাশেই থাকতে চাই।

চলতি লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় জুন মান্ডিতে ভোট রয়েছে। তাই প্রতিদিনই জনগণের সঙ্গে তার বিভিন্ন সভায় উপস্থিত হতে হয়। ইতোমধ্যেই তিনি তার হলফনামা জমা দিয়েছেন। দেখিয়েছেন আয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ। ছাড়া নির্বাচনের কারণে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তারইমার্জেন্সিসিনেমার মুক্তির তারিখও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।


ভোট   অভিনয়   কঙ্গনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

২৬ মে বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক

প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে আসার তারিখ জানালেন কুরুলুস উসমানের বুরাক ওজচিভিত। রোববার (১৯ মে) সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় আগামী ২৬ মে বাংলাদেশে আসার কথা জানান তিনি।

জানা গেছে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে আসছেন বুরাক ওজচিভিত। এটাই হবে বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।

ভিডিও বার্তায় বুরাক বলেন, বাংলাদেশ তোমায় সালাম। আমি এখন ইস্তাম্বুলে আছি। আমার সব দর্শকদের বলছি, আমি বাংলাদেশে আসছি। তারিখটি তোমরা মনে রেখো। সেটা হলো ২৬ মে। সেদিন সবার সঙ্গে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, বুরাক ওজচিভিত উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভক্ত-অনুসারী তার।


বাংলাদেশ   কুরুলুস উসমান   বুরাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অভিনেত্রী স্ত্রীর মৃত্যুশোক স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ১২ মে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তেলেগু অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবা নগরের কাছে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। হিট তেলেগু টেলিভিশন ধারাবাহিকত্রিনয়নীতে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পবিত্রা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর আহত হয় স্বামী অভিনেতা চন্দ্রকান্ত।

দুর্ঘটনায় গাড়িতে তিনিও ছিলেন। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েন অভিনেতা। এবার নিজেও পাড়ি জমালেন পরপারে। গত শুক্রবার তেলেঙ্গনার অলকাপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার (১৮ মে)  এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।


অভিনেত্রী   মৃত্যুশোক   স্বামী   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

৫৪ হাজার কোটি টাকার মালিক অভিনেত্রী শারমিনের শ্বশুর

প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওয়েব সিরিজহীরামাণ্ডিতে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। 

মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।

ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ .৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।


কোটি টাকা   অভিনেত্রী   শারমিন   শ্বশুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন