ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দেশে দেশে আঘাত হানছে ‘করোনার দ্বিতীয় টেউ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

প্রথম টেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ বা দ্বিতীয় টেউয়ের কবলে পড়েছে গোটা বিশ্ব। প্রথম দফায় করোনার সংক্রমন কমে যাওয়ার পর বিশ্বের অনেক প্রান্তেই যখন জীবনযাত্রা ‘প্রায় স্বাভাবিক’ হয়ে এসেছিলো তখন বিশেষজ্ঞদের আশস্কা সত্যি প্রমাণ করে পৃথিবীর অনেক দেশেই আবার নতুন করে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ বা দ্বিতীয় টেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে।

ফ্রান্সে প্রায় চারমাস পর আবার যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে বিশেষজ্ঞরা বলেই দিয়েছেন করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে যে আশস্কা করা হয়েছিলো; সেটা আঘাত হানতে শুরু করেছে। সংক্রমন কমার সাথে সাথে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন জায়গায় ভীড় করেছিল ফ্রান্সের মানুষ। সংক্রমন বাড়ায় আবার নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার। ফ্রান্স সরকার এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা আর লকডাউন কার্যকর করতে চায় না তাই সংক্রমন ঠেকাতে জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইউরোপের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে স্পেন । দেশটিতে ইতিমধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মার্চের শুরুর দিকে করোনার প্রথম দফায় স্পেনে এত করোনা রোগি সনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। এত রোগি সংক্রমনের হার বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে। বর্তমানে স্পেনে সংক্রমনের হার ১১.৮ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী স্পেনকে সংক্রমনের এই হারকে অন্তত পাঁচ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে।

দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করেছে চেক রিপাবলিকও। ১ কোটি ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশটি মার্চে করোনার প্রথম টেউ ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছিল। কিন্তু গত আগস্ট থেকে দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৪ দিন ধরে প্রতি এক লক্ষ মানুষে গড়ে ৯৪ জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন।

অস্ট্রিয়াতে করোনার ‘দ্বিতীয় টেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণ দিয়েছে সেদেশের সরকার। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংক্রমন ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে নতুন করে বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে আবারো লকডাউন ঘোষণা করা হবে কিনা সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

সংক্রমনের উর্ধ্বগতি দেখা গেছে ব্রিটেনেও । ইতিমধ্যে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছুঁই ছুঁই। বিভিন্ন মহল থেকে জানা যাচ্ছে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করতে পারে বরিস জনসনের সরকার। ইতিমধ্যে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ব্রিটেনে।

করোনা সংক্রমন বাড়ায় ইজরাইলে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহ জানিয়েছেন, আগামী তিন সপ্তাহ লকডাউনে থাকবে গোটা দেশ। এ সময় বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ির পাঁচশো মিটারের বেশি বেরোতে পারবেন না।

প্রথম দফায় অস্ট্রেলিয়া করোনার সাথে যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে ছিলো। লকডাউনও তুলে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মেলবোর্নে নতুন করে আবার করোনা সংক্রমন দেখা দিয়েছে। ফলে সেখানে ফের আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। মেলবোর্নে মাস্ক পরা বাধত্যামূলক করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় টেউ যাতে সারাদেশে বিস্তৃত হতে না পারে সেদিকে সর্তক আছে সরকার। আপাতত মেলবোর্নের দিকেই দৃষ্টি রেখেছে সরকার। সেখানে দুই সপ্তাহ লকডাউন জারি থাকবে।

চীনে আবার নতুন করে করোনা সংক্রমন দেখা দিয়েছে । সেখানে দ্বিতীয় দফায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শিনজিয়াং প্রদেশে মূলত নতুন করে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে সেখানে নতুন করে বিধি বিধান জারি করেছে প্রশাসন।

করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন করে লকডাউনের কথা ভাবছে। তবে দ্বিতীয় দফার লকডাউন এলাকাভিত্তিক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমন ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও করোনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এখন পর্যন্ত আমেরিকায় মাস্ক পরা বাধত্যামূলক করা হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্যাক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চান না বলেই মাস্ক পরা বাধত্যামূলক করেননি। যদিও দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে যা যা করা দরকার ছিলো তার অনেককিছুই করেননি ট্রাম্প। 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।


গাজা   শান্তিরক্ষী   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন