নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এই নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যে, দেন-দরবার ও তদবির করেছিলেন, সে ব্যাপারে তিনি কোন রাখঢাক করেননি। হিলারি ক্লিনটন এবং বিল ক্লিনটন দু’জনেই ড. মোহাম্মদ ইউনূস যাতে নোবেল পুরষ্কার পান- সে ব্যাপারে সুইডিশ একাডেমিকে তদবির করেছিলেন। বিল ক্লিনটন অন্তত দুটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাতে নোবেল পুরষ্কার পায়, এই ব্যাপারে তিনি সুইডিশ একাডেমির কাছে অনুরোধ করেছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, সুইডিশ একাডেমি তাকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার দিতে পারেনি, কিন্তু তাকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য। যদিও এই নোবেল পুরস্কারটি যৌথভাবে দেওয়া হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক কে। কিন্তু ২০০৬ এর শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার কৃতিত্ব মুহাম্মদ ইউনূস একাই পকেটে পুরেছেন। তবে পুরষ্কারের ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আলাদা আগ্রহ রয়েছে। পুরষ্কার প্রাপ্তির জন্য একজন মানুষকে যা যা করতে হয়, তার সব কিছুই তিনি করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পুরষ্কারের পাল্লাটাও বেশ ভারী। ১৯৯৪ সালে তিনি ‘র্যামন ম্যাগসাসে’ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন, ১৯৮৭ সালে তিনি ‘ইন্ডিপেন্ডেস ডে এ্যাওয়ার্ড’ পান, ১৯৮৯ সালে তিনি ‘আগা খান এ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হন, ১৯৯৪ সালে তিনি ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ পান। ওই বছরই তিনি ‘প্রফেট শান্তি পুরষ্কার’ পান। ২০০০ সালে তিনি ‘গান্ধী শান্তি পুরষ্কার’ পান, ২০০৩ সালে তিনি পান পরিবেশ পদক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদক পেয়েছিলেন একটি হল ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’, যেটি তিনি ২০০৯ সালে পেয়েছেন। এর পরেরটা ছিল ‘কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। এসব কিছুর পরেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি অতৃপ্তি রয়েছে, তিনি এখন ইউনুস সেন্টারের মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই সামাজিক ব্যবসায় যাতে নোবেল পুরষ্কার পান। সেজন্য এবার বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছেন, বলে খবর পাওয়া গেছে।
এমনকি বিভিন্ন দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য লবিং করছেন। সামাজিক ব্যবসার যে অর্থনৈতিক নীতি-কৌশল, এটার জন্য যেন তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান; সে ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করছেন, বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে, যখন তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়; সেই সময় তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে, তিনি সেই অব্যাহতি আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সর্ব্বোচ আদালত তার অব্যাহতিকে বৈধ বলার পর, সরকারের সঙ্গে তার এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন ফোরামে তিনি সরকারের নীতি-কৌশলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন, বলেও জানা গেছে। সেই সমস্ত বক্তব্য গুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে। এরপর থেকে সামাজিক ব্যবসার যে উদ্যোগ ও কর্মসূচি সেটির দিকে তিনি মনোযোগ দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য, বিবৃতি দেন। সামাজিক ব্যবসাকে তিনি জনপ্রিয় করার জন্য বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ঘুরছেন। সামাজিক ব্যবসা মডেলকে অর্থনীতির একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই তার এত দৌড়ঝাপ। আর এর ওপর ভিত্তি করে, তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়ার চেষ্টা করছেন, বলে একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে, গত বছরই তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। নোবেল পুরস্কার তিনি পাবেন, এ রকম একটি নিশ্চিত ধারণা তার অনেক সুহৃদকে বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর, এবার তিনি আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। এ কারণে করোনার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে তিনি সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল সেমিনার এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্র্যতা জাদুঘরে যাবে, কিন্তু বিশ্বে দারিদ্র বেড়েছে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে সারা বিশ্বেই প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যেই সামাজিক ব্যবসা মডেল অর্থনীতিতে তাকে নোবেল এনে দেয় কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড লু
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি।
তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, 'এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।'
বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে এম মেজবাহ উদ্দিনকে মেয়র হিসেবে জয়ী করতে এক হাজার মানুষকে তাঁবু টানিয়ে দুদিন ভাত খাইয়েছি। প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করেছি। এরপর সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাকে চাপ দেওয়া হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, ডিসি, ইউএনও, ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লাখ লাখ টাকা সহায়তা করেন এবং উপঢৌকন দেন। করোনাকালীন প্রশাসনকে উপকরণ সহায়তাসহ নগদ টাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনে টাকা ব্যয় করার কথা উল্লেখ করে সারু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। আমি নির্বাচনের সময় তার জন্য ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন তিনি বিএনপি-জামায়াতকে রামগতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাচনে এমপি মামুন বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের পক্ষাবলম্বন করার তীব্র সমালোচনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এমপি সাহেব আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তিনি এখন বিএনপি নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত রামগতি- কমলনগরকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছেন।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমপির পক্ষে নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করে ড. সারু বলেন, এমপি আব্দুল্লাহ অতীতের মতো আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় দেবেন না এবং জামায়াত বিএনপিকে লালন-পালন করবে না বলে ওয়াদা করায় আমি তার নির্বাচন করেছি। কিন্তু এখন তিনি তার কথা রাখেননি। তিনি আবারও সেই আগের মতোই কাজ করছেন। এমপি এলাকায় সন্ত্রাস নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন। স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে নির্বাচন করায় রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদকে অথর্ব উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে ড. সারু ভোট করেছেন রোকেয়া আজাদের আনারস প্রতীকের। সেখানেও তিনি ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের কঠোর সমালোচনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম নিজাম, সহসভাপতি একরামুল কবির টিটু, সদস্য ও পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সাহেদ আলী মনুসহ অনেকে।
বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. সারু বলেন, আমি যা বলেছি সবই সত্য। আমার বক্তব্যেই আমার উত্তর রয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আশ্রাফ আলী সারু সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে ২২ দিন প্রচার করেছেন। বিনিময়ে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাও নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ফজলু নামে এক রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে সাভারের এক ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রেখেছে রিকশাচালকরা।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রিকশাচালক দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বাসনাপুর মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের রেকার ড্রাইভার সোহেল রানা ও মোস্তফা।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফজলু বলেন, আমি পাকিজার সামনে থেকে রিকশাচালিয়ে গেন্ডার দিকে আসছিলাম। এসময় একটি মোটরসাইকেলে করে দুই ট্রাফিক পুলিশ আমাকে ধাওয়া দেয়। পরে আমি গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসে রিকশা ব্রেক করি। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ট্রাফিক পুলিশ নেমে আমার বাম পায়ে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। কিন্তু আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করি, কিন্তু পারিনি। পরে আমি সড়কে পড়ে যাই সেখান থেকে আর দাঁড়াতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আমাকে মারধর করা থামায় ট্রাফিক পুলিশ। এরপরে আমাকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান তিনি।
রুবেল নামে অপর এক রিকশাচালক অভিযোগ করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশরা সকাল থেকেই টাকার জন্য রিকশা ধরে। রিকশা ধরলেই দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। আর যদি কেউ টাকা না দেয় বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য আমরা আজকে সড়কে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের বাঁধা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
রেকার চালক মোস্তফা বলেন, আজ আমার ডিউটি ছিল না। আমি এ মারামারির বিষয়ে কিছুর জানি না। বর্তমানে আমি স্যারের সঙ্গে রয়েছি। পরে কথা বলবো বলে জানান তিনি।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিকশা চালকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিস্তারিত ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন জানেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীধ চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ট্রাফিক পুলিশ রিকশাচালক আহত রিকশাচালক দিনাজপুর জেলা
মন্তব্য করুন
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার জন্যও বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর যেন পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে গেল। সব ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড লু মার্কিন নীতির পরিবর্তিত অবস্থার একটি জানান দিলেন। ডোনাল্ড লু’র এই সফরের শেষ প্রান্তে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বাংলাদেশ নীতি সম্পূর্ণ যে বদলে ফেলেছে সেই বার্তাটি দেওয়ার জন্যই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, 'এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।'