ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ক্ষমতা হস্তান্তর কোন পথে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

ভোটের পর পরাজিত পক্ষ ফলাফল মেনে নিচ্ছে না এমন ঘটনা তৃতীয় বিশ্বের দেশে অহরহ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হবে সেটা কল্পনার বাইরে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার পর সেখানে এমন অনেক কিছুই ঘটে গেছে যা দেশটির ইতিহাসে প্রায় নজিরবিহীন।

নির্বাচনের প্রায় পাঁচ ছয় সপ্তাহ আগে; হেরে গেলে খুব সহজেই ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আভাস দিয়ে আলোচনায় আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই আভাস দেন।  

নির্বাচনে যদি তিনি পরাজিত হন তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে - এমন নিশ্চয়তা তিনি দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন "দেখা যাক কী হয়", তার পর তিনি ডাকযোগে দেয়া ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তার সন্দেহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ক্ষমতায় আবার আসীন হচ্ছেন এমন আভাস দিয়ে ট্রাম্প বলেন‘, আপনারা দেখবেন যে হস্তান্তর নয়, `অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ` ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।"

কিন্তু ট্রাম্প যদি নির্বাচনের ফল মানতে অস্বীকার করেন, তা হবে সাম্প্রতিককালের এক অভূতপূর্ব ঘটনা এবং সেক্ষেত্রে কি ঘটবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্প যদি হেরে যান তাহলে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কি হবে? ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, সে ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে সামরিক বাহিনী ডাকা হতে পারে।

রিপাবলিকান সিনেটর মিট রমনি’র মত হচ্ছে ‘‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর গণতন্ত্রের মৌলিক ব্যাপার, এটা না থাকার মানে হচ্ছে বেলারুস হয়ে যাওয়া।’’ অপর এক সিনিয়র রিপাবলিকান সিনেটর লিজ চেনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্ত সংবিধানের অংশ এবং প্রজাতন্ত্রের টিকে থাকার জন্য আবশ্যিক।

ট্রাম্পের একজন মিত্র সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও বলেন - যদি সুপ্রিম কোর্ট জো বাইডেনের পক্ষে রায় দেয় - তাহলেও রিপাবলিকানরা নিবাচনের ফল মেনে নেবে।

আইন বিশেষজ্ঞ এবং ম্যাসাচুসেটসএর এ্যামহার্স্ট কলেজের অধ্যাপক লরেন্স ডগলাস অবশ্য বলেছেন নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে গেলে বিশেষ করে ব্যবধান সামান্য হলে তিনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন।

লরেন্স ডগলাস "উইল হি গো? ট্রাম্প এ্যান্ড দ্য লুমিং ইলেকশন মেল্টডাউন ইন ২০২০" নামে একটি বই লিখেছেন যা আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও সংবিধান পরীক্ষা করে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন- ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মানতে অস্বীকার করলে কী কী হতে পারে।

লরেন্স ডগলাস বলেছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পদ্ধতি এধরণের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত নয়। তার কথা - `মার্কিন সংবিধান শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করে না বরং ধরেই নেয় যে এমনটাই হবে।`

২০০০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও সাংবিধানিক সংকট এড়াতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৮০০ ও ১৮৭৬ সালেও নির্বাচনের ফলাফল অস্পষ্ট হলে সংবিধান ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে আপোষরফা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটেছিল তখন।

১৮৭৬ সালের নির্বাচনে তিনটি অঙ্গরাজ্যে এমন হয়েছিল। দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট হেইস ও রিপাবলিকান টিলডেন দুইজনই ২৭০ এর কম ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছিলেন। এখনকার মত তখনও সিনেট ছিল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণে, আর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ছিল ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষে কয়েক মাস ধরে তীব্র বিবাদ চলেছিল। তখন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইউলিসিস এস গ্রান্ট । সংকট এড়ানোর জন্য তিনি সামরিক শাসন জারি করার কথাও ভেবেছিলেন।

শেষ পর্যন্ত এক আপোষ ফর্মুলায় পরাজয় স্বীকার করে নেন হেইস, প্রেসিডেন্ট হন টিলডেন। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে একটা আইন করা হয়েছিল যে একটি অঙ্গরাজ্য কখনো একটির বেশি নির্বাচনী রিপোর্ট দিতে পারবে না। কিন্তু এখন আইন বিশেষজ্ঞরা উপলব্ধি করছেন যে ১৮৮৭ সালের ওই আইনের অনেক ফাঁক-ফোকর রয়ে গেছে।

এ অবস্থায় সম্ভব্য কি ঘটতে পারে তার একটা আগাম চিত্র অনুমান করেছেন লরেন্স ডগলাস। এ অবস্থায় দু পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন। কিন্তু তাতেও সমাধান হবে না কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের বিষয়ে কোন বিতর্ক একবার কংগ্রেসের কাছে গেলে তা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালত কোন ভুমিকা রাখতে পারে না - এবং ১৮৮৭ সালের সেই আইনে এর সমর্থন আছে।

তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা এতে হস্তক্ষেপ করবে না। ডগলাস বলছেন, এ অবস্থায় দেখা গেল, কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হলো। কোন পক্ষই পরাজয় স্বীকার করছে না। সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হলো।

ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে তার `বিজয়` সুরক্ষিত করার জন্য সামরিক বাহিনী ডাকতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিতেছেন তা স্পষ্ট না হলে, কংগ্রেসের স্পিকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন।

ডগলাস মনে করছেন, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি হয়ত ন্যান্সি পেলোসি শপথ গ্রহণ করাবেন, আবার অন্যদিকে আরেক বিচারপতি ক্ল্যারেন্স টমাস শপথ গ্রহণ করাবেন ট্রাম্পকে। এমনও হতে পারে যে কেউই শপথ নিলেন না এবং ট্রাম্প, বাইডেন ও পেলোসি - এরা সবাই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এবং অধিকার দাবি করতে পারেন। ডগলাস লিখছেন এর মধ্যে ট্রাম্প হয়তো এমন সব টুইট করা শুরু করলেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে।

তিনি বলছেন, "মনে রাখতে হবে এদেশে প্রচুর বন্দুক আছে এবং এর অধিকাংশ আছে প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে উগ্র সমর্থকদের হাতে।”

ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ করতে হলে ট্রাম্পকে বিপুল ভোটে পরাজিত হতে হবে। বিপুল ব্যবধানে স্পষ্ট পরাজয় হলে হয়তো তিনি তা মেনে নেবেন। তবে এর জন্য `ডিপ স্টেট` এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীদের দায়ী করতে পারেন।

কিন্তু যদি দেখা যায় যে জয় পরাজয় নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করছে পোস্টাল ভোট - তাহলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।

 
 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। মৃত হজযাত্রী হলেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর -১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

হজযাত্রীদের মধ্যে যারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজার ৫৬২ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


হজযাত্রী   সৌদি আরব   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুনে আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য কতগুলো ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। পয়লা মার্চ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়। এখন মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ভুল ধারণা করছে। বিশেষ করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে সরকার নতুন করে গুরুত্ব দিতে চায় বলেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় এখনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তরুণ এই প্রতিমন্ত্রীর হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ন্যস্ত করার ফলে সংকটের সমাধান হয়নি। বরং জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার এখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দিতে পারেন এমন আলোচনা ছিল। এর আগেও মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অবসরে গেছেন এবং নতুন সচিবকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীকে আনা হবে। 

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। সেখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন বটে। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানা গেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম নীতির বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটি নিয়ে সামনে বড় ধরনের সমঝোতা এবং সংলাপে বাংলাদেশকে যেতে হবে বলে অনেকেই মনে করেন। এই বাস্তবতায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টিও সরকারি মহলে আলাপ আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। গত কয়েক মাসে তার পারফরম্যান্স অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছে। এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকা জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নসরুল হামিদের পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। 

বিভিন্ন মহল বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার রদবদল বা মন্ত্রিসভায় কাউকে অন্তভুর্ক্ত করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন সেই বিবেচনা অনুযায়ী যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তভুর্ক্ত করতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন এখনও মন্ত্রিসভা অপূর্ণাঙ্গ। তাই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ যে কোন সময় হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

মন্ত্রিসভা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেই অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার জন্যও বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

গত সোমবার (১৩ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান। 

চিঠিতে বলা হয়, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরে ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ গৃহীত ব্যবস্থা ইসিকে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তার ভাই শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন।


ঝিনাইদহ-১  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীনকে ঠেকাতেই বাংলাদেশে মার্কিন কৌশল পরিবর্তন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর যেন পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে গেল। সব ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড লু মার্কিন নীতির পরিবর্তিত অবস্থার একটি জানান দিলেন। ডোনাল্ড লু’র এই সফরের শেষ প্রান্তে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বাংলাদেশ নীতি সম্পূর্ণ যে বদলে ফেলেছে সেই বার্তাটি দেওয়ার জন্যই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। 

এই পরিবর্তিত অবস্থার কারণ কী- সে ব্যাপারে কূটনীতিক মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে। নানা কারণ নিয়ে তারা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছেন। তবে অধিকাংশ কূটনীতিক মনে করেন বাংলাদেশে চীনের আধিপত্য প্রভাব ঠেকানোর জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। 

ডোনাল্ড লু এবার বাংলাদেশ সফরে কেবল যে তার কৌশল পরিবর্তন করেছেন তাই নয়, তিনি সরকারের সঙ্গে যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান, সেই বার্তাও দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এবং প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশ্যভোজ এবং তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন সাক্ষাৎ না করা, মার্কিন পন্থী সুশীলদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ডোনাল্ড লু সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক গভীর করতে চায়। আর সরকার এই সুযোগটি নিয়েছে। সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতীতের তিক্ততাকে আর বাড়াতে চায় না এমন অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। 

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে চীনের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বাড়ছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ক্রমশ চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চীন নির্ভরতা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে গত এক দশকে। আর এ কারণেই বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বোয়িং বিক্রি করতে চায়। বিমান কেনার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে, তেমনই ফ্রান্সের এয়ার বাস কেনার বিষয়টি নিয়েও আলাপ আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। 

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর তেল গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টিও সামনে এসেছে। এখানেও একাধিক মার্কিন কোম্পানি আগ্রহী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে এ সমস্ত ব্যবসাগুলো যদি বাংলাদেশ থেকে তারা পেতে চায় তাহলে সরকারের সাথে সম্পর্ক করার কোনো বিকল্প নেই। আর অন্যদিকে বাংলাদেশে চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব এখন রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে।

অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে চীন কেবল অংশীদার নয়, এখন রাজনৈতিক বিষয়ে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক দল চীন সফরে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের একটি দলের চীন সফর এবং এরপর কাজী জাফরউল্লাহ এর নেতৃত্বে দলের চীন সফরের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের নজর এড়ায়নি। আর এ কারণেই তারা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বলয় যেন বৃদ্ধি না হয় সেজন্য তাদের সাথে সুসম্পর্ক করাই তাদের জন্য জরুরী। চাপ দিয়ে নয়, বরং সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা বিশ্বাসের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র আপন করে নিতে চায়। এবং এই উপমহাদেশে কৌশলগত অবস্থান দৃঢ় করতে চায়। বাংলাদেশকে যে চাপ দিয়ে নতজানু করা সম্ভব নয় এই উপলদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের প্রধান কারণ বলে অনেক কূটনীতিক মনে করছেন।

চীন   বাংলাদেশ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'এমন খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি'

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি।

তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, 'এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।'

বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে এম মেজবাহ উদ্দিনকে মেয়র হিসেবে জয়ী করতে এক হাজার মানুষকে তাঁবু টানিয়ে দুদিন ভাত খাইয়েছি। প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করেছি। এরপর সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাকে চাপ দেওয়া হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, ডিসি, ইউএনও, ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লাখ লাখ টাকা সহায়তা করেন এবং উপঢৌকন দেন। করোনাকালীন প্রশাসনকে উপকরণ সহায়তাসহ নগদ টাকা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনে টাকা ব্যয় করার কথা উল্লেখ করে সারু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে ব্ল‍্যাকমেইল করেছেন। আমি নির্বাচনের সময় তার জন্য ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন তিনি বিএনপি-জামায়াতকে রামগতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপি মামুন বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের পক্ষাবলম্বন করার তীব্র সমালোচনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এমপি সাহেব আমাকে ব্ল‍্যাকমেইল করেছেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তিনি এখন বিএনপি নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত রামগতি- কমলনগরকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছেন।

২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমপির পক্ষে নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করে ড. সারু বলেন, এমপি আব্দুল্লাহ অতীতের মতো আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় দেবেন না এবং জামায়াত বিএনপিকে লালন-পালন করবে না বলে ওয়াদা করায় আমি তার নির্বাচন করেছি। কিন্তু এখন তিনি তার কথা রাখেননি। তিনি আবারও সেই আগের মতোই কাজ করছেন। এমপি এলাকায় সন্ত্রাস নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন। স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে নির্বাচন করায় রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদকে অথর্ব উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে ড. সারু ভোট করেছেন রোকেয়া আজাদের আনারস প্রতীকের। সেখানেও তিনি ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের কঠোর সমালোচনা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম নিজাম, সহসভাপতি একরামুল কবির টিটু, সদস্য ও পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সাহেদ আলী মনুসহ অনেকে।

বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. সারু বলেন, আমি যা বলেছি সবই সত্য। আমার বক্তব্যেই আমার উত্তর রয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আশ্রাফ আলী সারু সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে ২২ দিন প্রচার করেছেন। বিনিময়ে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাও নিয়েছেন।


লক্ষ্মীপুর   রামগতি উপজেলা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন