ইনসাইড বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

স্বামী ও বোনকে খুঁজতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিজমিজি সাহেবপাড়ার নতুন মহল্লায় এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

রোববার রাতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ওই গৃহবর্ধকে ধর্ষণ করেন তার স্বামীর বন্ধুরা। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তার স্বামী ও ছোট বোনকে খুঁজতে তার স্বামীর বন্ধু মহসিনের কাছে যান। পরে মহসিন ওই এলাকার জসিমের নির্মাণাধীন একটি চারতলা ভবনে নিয়ে গৃহবধূর সন্তানকে পাশে রেখে মহসিন ও তার বন্ধু রমজান ধর্ষণ করেন। সোমবার বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। তার স্বামীর বন্ধু মহসিন ও রজমানকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। মৃত হজযাত্রী হলেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর -১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

হজযাত্রীদের মধ্যে যারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজার ৫৬২ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


হজযাত্রী   সৌদি আরব   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুনে আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য কতগুলো ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। পয়লা মার্চ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়। এখন মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ভুল ধারণা করছে। বিশেষ করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে সরকার নতুন করে গুরুত্ব দিতে চায় বলেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় এখনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তরুণ এই প্রতিমন্ত্রীর হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ন্যস্ত করার ফলে সংকটের সমাধান হয়নি। বরং জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার এখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দিতে পারেন এমন আলোচনা ছিল। এর আগেও মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অবসরে গেছেন এবং নতুন সচিবকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীকে আনা হবে। 

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। সেখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন বটে। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানা গেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম নীতির বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটি নিয়ে সামনে বড় ধরনের সমঝোতা এবং সংলাপে বাংলাদেশকে যেতে হবে বলে অনেকেই মনে করেন। এই বাস্তবতায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টিও সরকারি মহলে আলাপ আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। গত কয়েক মাসে তার পারফরম্যান্স অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছে। এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকা জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নসরুল হামিদের পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। 

বিভিন্ন মহল বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার রদবদল বা মন্ত্রিসভায় কাউকে অন্তভুর্ক্ত করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন সেই বিবেচনা অনুযায়ী যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তভুর্ক্ত করতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন এখনও মন্ত্রিসভা অপূর্ণাঙ্গ। তাই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ যে কোন সময় হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

মন্ত্রিসভা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেই অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে যাওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার জন্যও বলেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

গত সোমবার (১৩ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান। 

চিঠিতে বলা হয়, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরে ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ গৃহীত ব্যবস্থা ইসিকে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তার ভাই শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন।


ঝিনাইদহ-১  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীনকে ঠেকাতেই বাংলাদেশে মার্কিন কৌশল পরিবর্তন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর যেন পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে গেল। সব ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড লু মার্কিন নীতির পরিবর্তিত অবস্থার একটি জানান দিলেন। ডোনাল্ড লু’র এই সফরের শেষ প্রান্তে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বাংলাদেশ নীতি সম্পূর্ণ যে বদলে ফেলেছে সেই বার্তাটি দেওয়ার জন্যই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। 

এই পরিবর্তিত অবস্থার কারণ কী- সে ব্যাপারে কূটনীতিক মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে। নানা কারণ নিয়ে তারা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছেন। তবে অধিকাংশ কূটনীতিক মনে করেন বাংলাদেশে চীনের আধিপত্য প্রভাব ঠেকানোর জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। 

ডোনাল্ড লু এবার বাংলাদেশ সফরে কেবল যে তার কৌশল পরিবর্তন করেছেন তাই নয়, তিনি সরকারের সঙ্গে যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান, সেই বার্তাও দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এবং প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশ্যভোজ এবং তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক, বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন সাক্ষাৎ না করা, মার্কিন পন্থী সুশীলদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ডোনাল্ড লু সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক গভীর করতে চায়। আর সরকার এই সুযোগটি নিয়েছে। সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অতীতের তিক্ততাকে আর বাড়াতে চায় না এমন অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। 

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে চীনের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বাড়ছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ক্রমশ চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চীন নির্ভরতা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে গত এক দশকে। আর এ কারণেই বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বোয়িং বিক্রি করতে চায়। বিমান কেনার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে, তেমনই ফ্রান্সের এয়ার বাস কেনার বিষয়টি নিয়েও আলাপ আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। 

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর তেল গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টিও সামনে এসেছে। এখানেও একাধিক মার্কিন কোম্পানি আগ্রহী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে এ সমস্ত ব্যবসাগুলো যদি বাংলাদেশ থেকে তারা পেতে চায় তাহলে সরকারের সাথে সম্পর্ক করার কোনো বিকল্প নেই। আর অন্যদিকে বাংলাদেশে চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব এখন রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে।

অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে চীন কেবল অংশীদার নয়, এখন রাজনৈতিক বিষয়ে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের একাধিক দল চীন সফরে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের একটি দলের চীন সফর এবং এরপর কাজী জাফরউল্লাহ এর নেতৃত্বে দলের চীন সফরের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের নজর এড়ায়নি। আর এ কারণেই তারা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বলয় যেন বৃদ্ধি না হয় সেজন্য তাদের সাথে সুসম্পর্ক করাই তাদের জন্য জরুরী। চাপ দিয়ে নয়, বরং সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা বিশ্বাসের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র আপন করে নিতে চায়। এবং এই উপমহাদেশে কৌশলগত অবস্থান দৃঢ় করতে চায়। বাংলাদেশকে যে চাপ দিয়ে নতজানু করা সম্ভব নয় এই উপলদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের প্রধান কারণ বলে অনেক কূটনীতিক মনে করছেন।

চীন   বাংলাদেশ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন