ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করা জন্যে থানায় আসেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের রমেশ মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডল এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর সুমন মণ্ডল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে তিনদিন রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে সুমন স্কুলছাত্রীকে একা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে স্কুলছাত্রী নিরুপায় হয়ে সুমনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। কিন্তু তাকে সুমনের পরিবার মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে। পরে খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই সুমন মণ্ডল পলাতক রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যক্তির দুর্নীতির দায় নেবে না সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। এই নিষেধাজ্ঞার পর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

তিনি বলেছেন যে, তিনি বিজিপির মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় বা সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় তার ভাইদেরকে ব্যবসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনরকম অবৈধ কর্মতৎপরতা করেননি। এই বিষয়টি তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তবে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজিজ আহমেদের এই বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে‌। সরকার আজিজ আহমেদ বা অন্য কোন দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের দায় নেবে না। 

আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজিজ আহমেদের বিষয়টি তাদেরকে আগে থেকেই অবহিত করেছিল। সরকার বিষয়টি জানতো এবং সরকারের এ ব্যাপারে যে কোনও অবস্থান নেই তাও মার্কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, আজিজ আহমেদের বিষয়টি ব্যক্তিগত। এটির সাথে সরকার বা রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক নেই। সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। 

শুধুমাত্র আজিজ আহমেদ নয়, যারা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, বিদেশে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে বা দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের ব্যাপারে সরকার এখন নির্লিপ্ত থাকবে। এসব ব্যাপারে সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করবে না বা সরকার এই সমস্ত অভিযুক্তদের কোনও দায় দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। 

সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বেনজীর আহমেদ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে তিনি জাতিসংঘে একটি পুলিশ সম্মেলনে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু সেই সমস্ত বক্তব্য কোনোটাই তার দুর্নীতিকে খাটো করে না। বরং এই সমস্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এক ধরনের কৈফত এবং স্বীকৃতি রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

এ রকম একটি বাস্তবতায় আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও এখন তদন্ত করছে। এই তদন্ত যেন নিরপেক্ষ এবং নির্মমভাবে হয়। সে ব্যাপারেও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দুর্নীতির ব্যাপারে একেবারেই শুন্য সহিষ্ণু নীতিতে অবস্থান করছেন। দেশে-বিদেশে যারা দুর্নীতি করবে তাদের যদি আইনানুযায়ী বিচার করা হয়, সেসব বিচারে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না এবং এটাতে সরকারেরও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আজিজ আহমেদ বা বেনজির আহমেদের মত যে সমস্ত ব্যক্তিরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, যাদের বিদেশে সম্পদ আছে এই বিষয় গুলো সরকারও তার নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করে দেখছে। এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই মনে করেন, যে অভিযোগ গুলো তোলা হয়েছে এবং যে সমস্ত অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভাবে মিথ্যা নয়। সরকার এই দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিতর্কিত হতে চায় না।

বেনজীর আহমেদ   আজিজ আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট চলছে সেটা সমাধান হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা ভোটের নির্ভুল তথ্য আগামীকাল (বুধবার) পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল।

ভোটের অনিয়মের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। আর বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা বেশ গুরুতর আঘাত। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। তবে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তাদের এই মৃত্যু ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   সিইসি   কাজী হাবিবুল আউয়াল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: পূর্ণমন্ত্রী আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অনির্ধারিত দুটি বিষয় আলোচনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দ্রব্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কেন?

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বর্তমান সরকার প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারেও দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণই সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। কিন্তু গত চারমাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয়নি, বরং বিভিন্ন দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী ভাবে বাড়ছে এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাটাই আগামী বাজেটে সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ রকম বাস্তবতায় সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল এবং তত্পর করতে চাইছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোহাং সেলিম একজন দক্ষ সচিব হিসেবে ইতোমধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সিনিয়র সচিবের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেলিমকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, আগামী মাসের যে কোন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। এটি নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাজার মনিটরিং এবং দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন রাজনৈতিক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে যিনি দল এবং বাজারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের কেউ যদি বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

তবে কোন কোন মহল মনে করছেন যে, রাজনৈতিক নেতার চেয়ে যিনি এই বিষয়গুলোতে দক্ষ এরকম কাউকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির নাম আলোচনায় রয়েছে বলেও দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ বা রদবদল যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি এখতিয়ারাধীন বিষয় এজন্য এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। 

তবে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ এবং নির্দেশনার সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। আর এ কারণেই হয়ত সেখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। উল্লেখ্য যে, ১১ জানুয়ারি যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এই নতুন মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই প্রতিমন্ত্রী এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন। তার চেষ্টা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে নবীন এবং অনভিজ্ঞ থাকার কারণে ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাজারে বিদ্যমান প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এজন্যই একজন হেভিওয়েট নেতাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ   বাণিজ্য মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: যা যা করতে পারবেন না সাবেক সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাবেক সেনাপ্রধান অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হারাবেন। আসুন, দেখে নেয়া যাক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের কারণে তিনি কি কি হারাবেন। 

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেল আজিজ আহমেদ এখন আর ভ্রমণ করতে পারবেন না। শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রবেশের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁর যদি মার্কিন কোন ভিসা থেকে থাকে তাহলে সেটি বাতিল হবে। একইভাবে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মার্কিন ভিসাও বাতিল করা হবে। 

২. স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া যেকোন ব্যক্তির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাঁর যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাঁর ব্যাংক হিসাব থাকে তাহলে তা জব্দ করা হবে এবং সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজেয়াপ্ত করবে। এছাড়াও তাঁর পরিবারের কোন সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

৩. বাণিজ্য করতে পারবেন না: জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কোন বাণিজ্য করতে পারবে না। আজিজ আহমেদের কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন পণ্য রপ্তানি করতে চায় তাহলে তা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে এবং তা বারিত হবে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি কোন পণ্য আমদানি করারও সুযোগ পাবেন না। 

৪. মার্কিন বন্ধু রাষ্ট্রে ভিসা বিড়ম্বনা: এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বিভিন্ন সামরিক এবং অর্থনৈতিক জোটে আছে সেসমস্ত দেশগুলোতেও জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রবেশে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে। কারণ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে যেসব দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন রকম জোটে আছে সেমস্ত দেশগুলো তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এর ফলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিড়ম্বনায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সরাসরি ভাবে এ দেশগুলো মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে বাধ্য নয়। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক রাষ্ট্রগুলো যেমন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি। 

৫. আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারে জটিলতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত যেসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড রয়েছে যেমন, ভিসা, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক লেনদেন হয়। এইসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। ফলে এসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন সাবেক সেনাপ্রধান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

এছাড়াও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে অন্যান্য দেশে যাওয়া ভিসা প্রাপ্তি এমনকি ঐ সমস্ত দেশে আর্থিক বা অন্য কোন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন, হয়রানির শিকার হতে পারেন।  

সাবেক সেনাপ্রধান   আজিজ আহমেদ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই শোক পালন করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যদের মৃত্যুতে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। 

এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলেও এতে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

ইব্রাহিম রাইসি   বাংলাদেশ   রাষ্ট্রীয় শোক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন