নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৭
চলতি অর্থ বছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুহিত। গতবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার জনগণের কাছ যে কর বা ভ্যাট আদায় করছে তার কতটা পাচ্ছে সরকার? নাকি আপনার প্রদেয় করের টাকায় অন্যের পকেট ভারী করছেন। আপনি আপনার কর ঠিকমত পরিশোধ করলেন কিন্তু যার মাধ্যমে পরিশোধ করলেন তারা বা সেই প্রতিষ্ঠান আপনার প্রদেয় কর সরকার ঠিক মত পাচ্ছে কি?
একটি উদাহরণ দিলে আরও পরিস্কার বোঝা যাবে। ধরুন, আপনি নুর ফার্নিচার থেকে কোন একটা পণ্য (আলমারি) কিনলেন ২০,০০০ টাকায়। যেহেতু এটা ভ্যাটসহ সুতারাং আপনার কেনা এই আলমারির প্রকৃত মূল্য ১৮,৮০০ টাকা এবং সরকারের ধার্যকৃত ভ্যাট হচ্ছ ১২০০ টাকাসহ মোট ২০,০০০ টাকা। অর্থাৎ ৬ শতাংশ ভ্যাট (১২০০ টাকা) নুর ফার্নিচারের মাধ্যমে সরকারকে দিলেন। কিন্তু আলম ফার্নিচার সরকারকে আপনার দেওয়া ভ্যাট দিচ্ছে কিনা তা কি আপনি দেখেছেন বা যাচাই করেছেন? একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে ভ্যাটের কাগজ বুঝে নেওয়া, কিন্তু আপনি ভ্যাট পরিশোধ করার পরেও তা না নিয়ে নুর ফার্নিচারকে কর/ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিলেন। এখন উক্ত নুর ফার্নিচার যদি সরকারকে আপনার পরিশোধকৃত ভ্যাট না দেয় বা কম দেয় তাহলে সেটুকু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এমনটি করে থাকে যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সাধারণ নাগরিক সর্বক্ষেত্রে ভ্যাট পরিশোধ করছে কিন্তু সরকার তার প্রাপ্যের শতকরা ২০ ভাগও পাচ্ছে না। এটাতো বলা হল ফার্নিচার তৈরী কোম্পানির কথা। এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উপরে ভিন্ন ভিন্ন রকমের ভ্যাট ধার্য করা আছে যা সম্পর্কে সাধারন জনগণ খুব একটা অবহিত নয়। সরকারও এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরী করতে ব্যর্থ হয়েছে বা উদ্যোগ নেয়নি।
আপনি কীভাবে বুঝবেন যে সরকার ভ্যাট পাচ্ছে। এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন থেকে জনসাধারনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো। আপনার দেওয়া কর সরকার পাচ্ছে কিনা, ইসিআর চালান কেমন হবে, এতে কী কী তথ্য থাকবে, ইসিআর চালান `মূসক ১১ চালান` বা ভ্যাট চালান হিসেবে গণ্য হবে কিনা, ইসিআর চালুর পর নীল চালান বৈধ কিনা, ইসিআর চালান দিলে আলাদা করে নীল চালান লাগবে কিনা, ইসিআর চালানে ভ্যাট প্রদর্শিত থাকলেও নতুন করে ভ্যাট চালান চাইতে হবে কিনা এই সকল তথ্য জানার জন্য মূসক আইন ১৯৯১ ও বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
ইসিআর চালান বা নীল চালান দিলে অন্য চালান লাগবে না। ইসিআর চালানে ভ্যাট প্রদর্শিত থাকলেও নতুন করে ভ্যাট চালান চাইতে হবে না। একটি যথার্থ ইসিআর চালানের প্রিন্ট কপিতে যা উল্লেখ থাকে: প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন নম্বর, নাম, ঠিকানা, চালান ইস্যুর তারিখ, সময়, চালানের সিরিয়াল নম্বর সার্ভিস চার্জসহ যোগফলের উপর ১৫% ভ্যাটের পরিমান মূসক ১১ক লেখা থাকতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছর
প্রায় শেষের দিকে। এর আগেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা
হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃত্তি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক
৮২ শতাংশ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন
ডলার।
সোমবার (২০ মে)
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে ।
বিবিএস আরও জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার। যা
এ বছর ৩৫ মার্কিন ডলার বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার। বর্তমান টাকার হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা।
মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এবার আসছে বাজেটে মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায়। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে প্রায় এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় অতিরিক্ত গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাপ্তরিক কাজ- সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৩৩ টাকার বেশি কর দেন। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেট কিনতেও।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়ানো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটা প্রক্রিয়া। ভ্যাট বাড়ালে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, ভ্যাট যেন বাড়ানো না হয়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়েও এ রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
মোবাইল ফোনেও স্বস্তির খবর নেই। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এ খাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’
যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক।
মোবাইল বিল ইন্টারনেট ভ্যাট অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম।
কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, এ জেড এম সালেহ্, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, ড. নাজমুল ইসলাম, ড. শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী।
মন্তব্য করুন