নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
ঢাকা নিয়ে ঢাকাবাসীর অন্তহীন দু:খ। এই শহরটা ক্রমশ: বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আবর্জনার স্তুপ। যানজট নিরসন নেবার উপায় নেই। বুড়িগঙ্গা দূষনে মুমর্ষ প্রায়। তার যেন এক মৃত্যুফাঁদ। একটু বেশী হলেও জলবদ্ধতা। তবুও জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এই শহরেই আকড়ে থাকে মানুষ। উপায়হীন, অসহায় আর্তনাদ আর নি:শব্দ দীর্ঘশ্বাসে চলে তারে যাপিত জীবন। ঢাকাকে তিলোত্তমা করতে, বাসযোগ্য করতে কথার ফুলঝুরি কম হয়নি। ৯৪ সালে ঢাকাকে বাঁচাতে, নির্বাচিত নগর পিতার কাছে দায়িত্ব তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ শুধু তার অসহায়ত্বের কথাই বলেন।
তার নগর সরকারের ধারনা গৃহিত হয়নি। এরপর আসেন সাদেক হোসেন খোকা। তিনি আবিস্কার করেন, সিটি কর্পোরেশন আসলে টাকার খনি। নাগরিক সেবা দেয়া চুলোও যাক। এরপর কাজের গতি আনতে ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিনে ভাগ করা হয়। দুজন নগর পিতার ব্যবস্থা করা হয়। উত্তরে আনিসুল হক এবং দক্ষিনে সাঈদ খোকন মেয়র হন। আনিসুল হক প্রথম পথ দেখান। তিনি প্রমাণ করেন, বিদ্যমান আইন ও বিধি ব্যবস্থায় মেয়র অনেক কিছুই করতে পারেন। তেঁজগাও ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ, ঢাকার চাকা চালু সহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সব কিছু থমকে যায়।
যেখানেই হাত দেয়া যায়, সেখানেই বাঁধা। এবার দুই সিটিতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন, আতিকুল ইসলাম এবং ব্যরিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাপস বলেছিলেন দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান তিনি। কিন্তু তার বক্তব্য যে কেবল কথার কথা ছিলো না, এটা তিনি প্রমাণ করছেন। প্রথমেই জলবদ্ধতা নিয়ে তিনি ওয়াশার ব্যর্থতা সরেজমিনে গিয়ে তুলে ধরেন। ঢাকার আকাশকে ঢেকে দিয়েছে তার। ইন্টারনেটের তার, ক্যাবল, ইত্যাদি যেন উপরেও জঞ্জালের বিস্তৃতি করেছে। আনিসুল হক এনিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখনও ইন্টারনেট আর ক্যাবল ব্যবসায়ীরা নয়ছয় বুঝিয়েছেন। টেলিযোগাযোগ আর তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীরা বলেছেন ‘সর্বনাশ হবে।’ এবার তাপস লড়াইটা জমিয়ে তুললেন।
অবৈধ এসব তার অপসারণের নির্দেশ দিলেন। মন্ত্রীদের কথা শুনলেন না। অবশেষে আজ মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইন্টারনেট এবং ক্যাবল সেবা প্রদানকারীদের প্রতিনিধিরা। তারা আশ্বাস দিলেন, নভেম্বরের মধ্যে তারা সব তার অপসারণ করবেন। যে কাজ দুই যুগেও হয়নি, সেই কাজ এখন হচ্ছে। তাপস প্রমাণ করছেন, মেয়র জনগণের প্রশ্নে দৃঢ় থাকলে, ঢাকাকে বাসযোগ্য করা সম্ভব। যে সব ‘ভুত’ ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে দিতে চায় না, তাদের স্বার্থে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছেন তাপস।
মন্তব্য করুন
সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।
শনিবার
(১৮
মে)
দুপুরে
এ
ঘটনা
ঘটে।
ওই
স্কুলে
কর্মরত
(নৈশ
প্রহরী)
উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর
রহমানের বাড়িতে
স্কুলের শিক্ষক
থেকে
শুরু
করে
সকল
কর্মচারীদের নিয়ে
তিনি
দাওয়াত
খেতে
যান
প্রধান
শিক্ষক।
এভাবে
স্কুল
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ার
ঘটনায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েন
শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে
শুরু
করে
এলাকার
সচেতন
মানুষ।
দুপুর
২টার
দিকে
সরেজমিন গিয়ে
দেখা
যায়,
স্কুলের প্রধান
গেট
বন্ধ।
ভেতরে
নতুন
ভবন
নির্মাণ কাজের
জন্য
কয়েকজন
নির্মাণ শ্রমিক
অবস্থান করছেন।
যে
সময়
শিক্ষার্থীদের ক্লাস
হওয়ার
কথা
সেই
সময়
স্কুলে
নেই
কোনো
শিক্ষার্থী। প্রধান
শিক্ষকের কক্ষ
থেকে
শুরু
করে
প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল
তালাবদ্ধ। চলতি
পথে
বেশ
কয়েকজন
শিক্ষার্থীদের সাথে
কথা
বলে জানা যায়, সকালের
কয়েকটা
ক্লাস
হওয়ার
পরেই
দুপুর
১টার
আগে
স্কুল
ছুটি
ঘোষণা
করা
হয়।
জানা
গেছে,
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের নৈশ
প্রহরী
আতাউর
রহমান
এবার
স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ
জন্য
শনিবার
নিজ
বাড়িতে
অনুষ্ঠানের আয়োজন
করেন
তিনি।
ওই
অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
সকালে
কয়েকটা
ক্লাস
নেওয়ার
পরেই
তড়িঘড়ি
করে
দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রবের
নির্দেশে স্কুল
ছুটি
দেওয়া
হয়।
সেই
অনুষ্ঠানে প্রধান
শিক্ষক
নিজেই
সকল
শিক্ষক
ও
কর্মচারীদের নিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যান।
ক্লাস
বাদ
দিয়ে
প্রধান
শিক্ষকের এমন
স্বেচ্ছাচারিতা এবং
ছুটি
দেওয়ায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েছেন
অভিভাবকরা।
কয়েকজন
অভিভাবক অভিযোগ
করে
বলেন,
এমনিতেই নানা
কারণে
বছরের
বেশিরভাগ সময়
স্কুল
ছুটি
থাকে।
বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক
মতো
হয়
না।
তারপর
এভাবে
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ায়
বেশ
কয়েকটা
ক্লাস
করতে
পারলো
না
শিক্ষার্থীরা। আর
হুট
করে
ছুটি
দেওয়ায়
অনেক
অভিভাবকই তাদের
সন্তানদের নিতে
আসতে
পারেননি। এতে
বিপাকে
পড়ে
বেশ
কিছু
শিক্ষার্থী। এটা
কোনো
প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ
হতে
পারে
না
বলে
মন্তব্য করেন
তারা।
জানতে
চাইলে
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রব
বলেন,
'আমার
এক
স্টাফ
হজে
যাবে,
সে
জন্য
দাওয়াত
খেতে
এসেছি।
আসলে
প্রতিষ্ঠানের কোনো
স্টাফের দাওয়াত
খেতে
এভাবেই
যাওয়া
হয়।
বরাবরই
তাই
হয়ে
আসছে।'
স্কুল
বন্ধ
করে
এভাবে
যাওয়ার
ব্যাপারে জানতে
চাইলে
তিনি
বলেন,
'আসলে
মেয়েরা
তো
দুষ্টু। স্কুল
চালু
রাখা
ঠিক
হবে
না।
তাই
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
আসা
হয়েছে।'
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
চাটমোহর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম
বলেন,
'বিষয়টি
আমি
জানি
না।
এখানে
আমার
কিছু
বলার
নেই।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে
আপনি
কথা
বলেন।'
স্কুল বন্ধ দাওয়াত প্রধান শিক্ষক
মন্তব্য করুন
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।'
মন্তব্য করুন
গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল।
শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত যমজ দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০)। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই মেয়ের বাবা রেজাউল করিম রিজু।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে অনুরোধ করেন গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার যমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে লাঠি দিয়ে যমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যমজ বোন হাতুড়িপেটা চাটমোহর ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
রাস্তা পার হওয়া নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত মেহেদী হাসান (১৮) সদ্য এসএসসি পাশ করেছেন।
জানা যায়, মামার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোভাযাত্রায় এসেছিলেন। যাত্রা শেষ করে ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ হারায় মেহেদী।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন। এদিকে নিহতের মামা চয়ন ভাগ্নে হত্যার বিচার চেয়েছেন।
শেরে বাংলা নগর থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের
বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য
একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ
নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন
অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের
প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে
ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম,
সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা
নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার
মন্তব্য করুন