ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন নির্বাচনের এ বি সি ডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

ইলেকটোরাল কলেজ কী?

জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ইলেকটোরাল কলেজ নামে পরিচিত এক দল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কলেজ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবার কাজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা।
প্রত্যেক চার বছর অন্তর অন্তর, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পরে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকরা একত্রিত হন তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী এই পদ্ধতিতেই একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন যা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের আইনের জটিল এক সমন্বয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
তাত্ত্বিকভাবে বলা যায়: প্রার্থীদের মধ্যে সারা দেশে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান ইলেকটোরাল কলেজ তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে থাকে। কিন্তু সবসময় যে ঠিক এরকম হয় তা নয়।


ইলকেটোরাল কলেজ কীভাবে কাজ করে ?

ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট।

কোন রাজ্যের কতোজন ইলেকটোর বা নির্বাচক থাকবেন সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর।
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। ফলে এই রাজ্যে ইলেকটোরের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৫।
ছোট ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট। আলাস্কা এবং নর্থ ড্যাকোটা রাজ্যের হাতেও তিনটি করে ভোট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যেসব ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট এবং ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ইলেকটোরাল ভোট।
কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট তাদের পকেটেই যাবে।
ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।
মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮ এর অর্ধেক ২৬৯ এবং জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার জন্যে আরো একটি ভোট এভাবেই ২৭০টি ভোট পেতে হবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে

একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
গত পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে দুটোতেই কম পপুলার ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ কম পপুলার ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন এই পদ্ধতি বেছে নেওয়া হলো
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন দেশটির বিশাল আকার ও বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ কঠিন হওয়ার কারণে জাতীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব ছিলো।
তখনও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয় ঠিক মতো গড়ে ওঠেনি, অঙ্গরাজ্যগুলোও তাদের নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে ছিলো অনেক বেশি সোচ্চার, রাজনৈতিক দলগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখা হতো এবং পপুলার ভোটকে মানুষ ভয় পেতো।

সংবিধান প্রনেতারা ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচনার সময় কংগ্রেস এবং জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুটো ধারণাই বাতিল করে দেন।
তাদের যুক্তি ছিল পপুলার ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লোকেরা তাদের স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তার ফলে বড় রাজ্যগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
ছোট ছোট রাজ্যগুলো এই ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিকে সমর্থন করে কারণ এর ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই পদ্ধতির পক্ষ নেয় কারণ সেসময় এসব রাজ্যে দাসের সংখ্যা ছিলো অনেক। দাসদের ভোটাধিকার না থাকা সত্ত্বেও আদম শুমারিতে তাদের গণনা করা হতো।
এছাড়াও সংবিধান রচয়িতারা চাননি যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে শুধু আইন প্রণেতারা দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুক।
আমেরিকায় হোয়াইট হাউসে যাবার দৌড়ে নির্বাচন পদ্ধতি অন্য দেশের তুলনায় ভিন্ন এবং কিছুটা জটিল।
কোন একজন প্রার্থী নাগরিকদের সরাসরি ভোট পেলেই যে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন - ব্যাপারটা তা নয়।

বরং ইলেকটোরাল কলেজ নামে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশেষ নির্বাচনী ব্যবস্থা আছে - আসলে তার মাধ্যমেই ঠিক হয় কে হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনে প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের যে ভোটগুলো পাবেন, সেটাকে বলা হয় পপুলার ভোট। ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা যায় `ইলেকটোরাল ভোট।`
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট আছে।
দুটি ছাড়া প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নিয়ম হলো - যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।
এইভাবে সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ হয়ে যে প্রার্থী ২৭০টি ভোট পাবেন - তিনিই নির্বাচিত হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

কারা এই ইলেকটোরাল কলেজ ?

এরা হচ্ছেন একদল নির্বাচকমণ্ডলী বা কর্মকর্তা - যারা একেকটি রাজ্যের পপুলার ভোটে প্রতিফলিত রায় অনুযায়ী ভোট দেন।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের অধীনে একটি জটিল ব্যবস্থা।
ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। হোয়াইট হাউজের দৌড়ে বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে এর মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে।

ফলে প্রার্থীদের কাছে কিছু কিছু অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র।
ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটও বেশি।
ফলে এসব রাজ্য থেকে সর্বাধিক ইলেকটোরাল ভোট জেতার জন্য বিশেষ কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।
আমেরিকার প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের হাতে ইলেকটোরাল কলেজের নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট রয়েছে
কেন এক একটি অঙ্গরাজ্য `ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট` হয়ে ওঠে?
আমেরিকার নির্বাচনী ইতিহাসে দেখা গেছে বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের অনুকূলে ভোট দিয়ে থাকে।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা কিছুটা নিশ্চিত থাকেন যে, তারা প্রথাগতভাবে এইসব রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটগুলো পাবেন।

আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় `রেড স্টেট` বা `লাল রাজ্য` আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় `ব্লু স্টেট` বা `নীল রাজ্য`।
কিন্তু হাতে গোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোন শিবিরে যেতে পারে।
এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে `বেগুনি রাজ্য`।
আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এসব রাজ্যেই প্রচারণার বিনিয়োগ ও ব্যয় সবচেয়ে বেশি। এসব রাজ্যেই ঘন ঘন চলে প্রার্থীদের আনাগোণা, তাদের প্রচারণা সমাবেশ।

এবারের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো

আমেরিকার নির্বাচনী ইতিহাসে দেখা গেছে এই স্টেটগুলোতে
অনেক ভোটারই কোনো একটি দলের কট্টর সমর্থক নন এবং প্রার্থীদের নীতিমালা এবং আগামী চারবছরের জন্য প্রার্থীদের পরিকল্পনার বিচারে তারা শেষ মুহূর্তে ভোট দেন।
তারা প্রচার প্রচারণার নিরিখে কাকে ভোট দেবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। ফলে এই রাজ্যগুলোর ভোটই চূড়ান্ত ফলকে যে কোনো প্রার্থীর পক্ষে ঠেলে দিতে পারে।
এই ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে ভোট কোন্ দুর্গে যাবে তা যেহেতু বোঝা কঠিন তাই এই রাজ্যগুলোকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যও বলা হয়।

সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য

নির্বাচনী সময়সূচির মধ্যে যে কোন সময়ে এই ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্রে ভোটের অঙ্ক বদলে যেতে পারে।
ফাইভ থার্টি এইট নামে আমেরিকার একটি নির্বাচন বিষয়ক ওয়েবাসইট, যারা জনমত জরিপ বিশ্লেষণ করে, তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কিছু অঙ্গরাজ্যকে গত কয়েকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে "বরাবরই" সুইং স্টেট হিসাবে আবির্ভূত হতে দেখা গেছে।
গত কয়েকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে অঙ্গরাজ্যগুলোর `দোদুল্যমান` ভোট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জয়-পরাজয় নিশ্চিত করেছে সেগুলোর মধ্যে ছিল কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন।
তারা ২০০৪ থেকে ২০১৬ গত চারটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জুন পর্যন্ত জনমত জরিপের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলছে ২০২০র নির্বাচনে অ্যারিজোনা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা আর উইসকনসিন গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট হয়ে উঠতে পারে।
কোন কোন বিশ্লেষক ২০২০-র নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান স্টেটের তালিকায় রাখছেন অ্যারিজোনা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যকে।
কোন কোন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের মতে ২০২০এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নর্থ ক্যারোলাইনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, উনসকনসিন এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যগুলো নির্ধারক সুইং স্টেট হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কারণ এই অঙ্গরাজ্যগুলো থেকেই ২০১৬-র নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে অল্প ব্যবধানে হিলারি ক্লিন্টনের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাজেই ২০২০র নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের জন্য এই রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ধরে রাখা খুবই জরুরি হবে।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। 

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'  

ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু'সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।  

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।'

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। 


গাজা   যুদ্ধ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, খুশি নন ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।

ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।

শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।

গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।


জিম্মি   মরদেহ   উদ্ধার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।


শয়তানবাদ   ইরান   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস: বিশ্বের শীর্ষ আইকনিক জাদুঘর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ। দিনটিতে জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়— যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতো ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে আদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। চলুন বিশ্বজুড়ে কিছু বিখ্যাত যাদুঘরের ভার্চুয়াল সফর করি।

ল্যুভর মিউজিয়াম, প্যারিস

ফ্রান্সের প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের উল্লেখ না করে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের কোনো তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসার আইকনিক পেইন্টিংয়ের বাড়ি, দ্য ল্যুভর হল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর এবং শিল্প উৎসাহীদের জন্য একটি অবশ্যই দেখার গন্তব্য৷ প্রাচীন সভ্যতা থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ৩৮,০০০ টিরও বেশি শিল্পকর্মের সাথে, ল্যুভর হল মানুষের সৃজনশীলতা এবং কল্পনার ভান্ডার। 

স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন, ওয়াশিংটন, ডিসি

ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন হল বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর, শিক্ষা এবং গবেষণা কমপ্লেক্স, যেখানে ১৯ টি জাদুঘর এবং গ্যালারী, ন্যাশনাল জুলজিক্যাল পার্ক এবং নয়টি গবেষণা সুবিধা রয়েছে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি থেকে ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম পর্যন্ত, স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী এবং অভিজ্ঞতার অফার করে যা সব বয়সের এবং আগ্রহের দর্শকদের জন্য পূরণ করে। 

ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন

১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহটি মানব ইতিহাস এবং সংস্কৃতির দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক শিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী সহ। রোসেটা স্টোন, পার্থেনন ভাস্কর্য এবং মিশরীয় মমি যাদুঘরের সবচেয়ে আইকনিক এবং জনপ্রিয় প্রদর্শনী। 

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, নিউ ইয়র্ক

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, যা দ্য মেট নামেও পরিচিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যাপক শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত, দ্য মেটের সংগ্রহটি ৫,০০০ বছরেরও বেশি বিশ্ব সংস্কৃতি এবং শিল্পকে বিস্তৃত করে, যেখানে প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। মেটের ছাদের বাগান এবং কস্টিউম ইনস্টিটিউট হল এর কিছু জনপ্রিয় আকর্ষণ। 

ভ্যাটিকান মিউজিয়াম, ভ্যাটিকান সিটি

ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান মিউজিয়াম হল জাদুঘর এবং গ্যালারির একটি সংগ্রহ যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং উল্লেখযোগ্য শিল্প ও নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহে মাইকেলেঞ্জেলো, রাফেল এবং অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ, সেইসাথে প্রাচীন রোমান এবং মিশরীয় শিল্পকর্ম রয়েছে। সিস্টিন চ্যাপেল, মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা তার চমৎকার ছাদ সহ, ভ্যাটিকান যাদুঘরের সবচেয়ে পরিদর্শন করা এবং আইকনিক আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি।

অ্যাক্রোপলিস মিউজিয়াম, এথেন্স

গ্রীসের এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস যাদুঘরটি প্রাচীন দুর্গ এবং এর চারপাশের স্মৃতিস্তম্ভ, পার্থেনন, এথেনা নাইকির মন্দির এবং এরেকথিয়ন সহ নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প এবং অন্যান্য নিদর্শন যা অ্যাক্রোপলিস এবং আশেপাশের এলাকা থেকে খনন করা হয়েছিল। যাদুঘরের কাঁচের মেঝে দর্শকদের বিল্ডিংয়ের নীচে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে দেয়, একটি অনন্য এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে। 

জাতীয় প্রাসাদ যাদুঘর, তাইপেই

তাইওয়ানের তাইপেই ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম হল চীনের শিল্প ও নিদর্শনগুলির বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহ ওভার নিয়ে গঠিত প্রাচীন চীনা চিত্রকর্ম, মৃৎশিল্প, ক্যালিগ্রাফি এবং জেড খোদাই সহ ৭০০,০০০ বস্তু। জাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল জাদেইট বাঁধাকপি, জেডের একটি ছোট টুকরো যা বাঁধাকপির মাথার মতো খোদাই করা হয়েছে এবং এটি কিং রাজবংশের জেড খোদাইয়ের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

হারমিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের হারমিটেজ মিউজিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ত্রিশ লাখেরও বেশি আইটেম, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্প, বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে প্রদর্শনী সহ। শীতকালীন প্রাসাদ, রাশিয়ান রাজাদের প্রাক্তন বাসস্থান, এটিও যাদুঘরের একটি অংশ এবং এটি রাশিয়ান রাজপরিবারের ঐশ্বর্যময় জীবনধারার একটি আভাস দেয়।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নৃবিজ্ঞান, মেক্সিকো সিটি

জাতীয় জাদুঘর মেক্সিকো সিটিতে নৃবিজ্ঞানের একটি বিশ্ব-বিখ্যাত জাদুঘর যা মেক্সিকো এবং মেসোআমেরিকার প্রাচীন সভ্যতার জন্য নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে অ্যাজটেক, মায়া এবং অন্যান্য প্রাচীন সংস্কৃতির শিল্পকর্ম রয়েছে, যেখানে প্রাক-কলম্বিয়ান শিল্প থেকে সমসাময়িক মেক্সিকান লোকশিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী রয়েছে। যাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার স্টোন, একটি বিশাল পাথরের চাকতি যা অ্যাজটেকরা ক্যালেন্ডার এবং আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসেবে ব্যবহার করত। 

উফিজি গ্যালারি, ফ্লোরেন্স

ইতালির ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারি হল বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, যেখানে মিকেলেঞ্জেলো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং অন্যান্য ইতালীয় রেনেসাঁর মাস্টারদের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত ইতালীয় শিল্পের বিবর্তন প্রদর্শনের জন্য কালানুক্রমিক ক্রমে সাজানো প্রদর্শনী সহ যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকলা। জাদুঘরের ছাদের টেরেস ফ্লোরেন্স এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।


আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস   বিশ্ব   আইকনিক জাদুঘর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন