নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২০
এক বছর ধরে জেলে আছেন ক্যাসিনো সম্রাট। একাধিক মামলা তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও তার কথায় চলে ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগ। তিনি হলেন, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এসময় আদালত প্রাঙ্গনে দুই হাজারের মতো নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। তারা সম্রাটের পক্ষে শ্লোগান দেন এবং মুক্তি দাবী করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যারা সেদিন সম্রাটের পক্ষে মিছিলে গিয়েছিলেন, তারা সবাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের নেতা কর্মী। এদের মধ্যে দক্ষিন যুবলীগের কয়েকজন নেতাও ছিলেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে যুবলীগের প্রায় সব নেতাই সম্রাটের মুক্তির দাবীতে আদালত প্রাঙ্গনে জড়ো হয়েছিলেন। যুবলীগের দক্ষিনের বহিস্কৃত সভাপতি হলেও পুরো ঢাকা জুড়েই সম্রাটের কর্মী, সমর্থক ও ক্যাডার রয়েছে। গত বছর সম্রাট গ্রেপ্তার হবার পর থেকে মূলত: যুবলীগের কর্মীরাই সম্রাটের মুক্তির দাবীতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী পালন করছে। তারা ঢাকা শহরে সম্রাটের মুক্তির দাবীতে পোষ্টার ছাপিয়ে বিলি করেছে। মানববন্ধন করেছে। এক বছর পরও সম্রাটের পক্ষে কর্মীরা কাজ করছে। আর এটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের জন্য নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে।
সম্রাটের প্রথম আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে আসেন আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কেলেংকারীতে। ২০১৮র সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন ‘স্রমাট আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবী করেছে।’ শেখ হাসিনা বলেন ‘ঐ সংগঠনকে আমি, রেহানা সহযোগিতা করি। এখন তারা একটা ভবন নির্মান করছে। আর সেখানে স্রমাট যেয়ে চাঁদা চেয়েছে।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি তখনই সম্রাটকে বহিস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যুবলীগ সে সময় তার বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। পরের বছর সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধি অভিযান শুরু হলে গ্রেপ্তার হয় স্রমাট। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু যুবলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন ‘ঢাকা মহানগরে যুবলীগ মানেই সম্রাটের অনুসারী। শুধু যুবলীগ নয়, এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সম্রাটের একটা ফ্যাক্টর বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
জানা গেছে, সম্রাটের কারণেই যুবলীগের কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে। কারণ যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ কর্মীদের খুব একটা চেনেন না। আবার, সাধারণ সম্পাদক নিখিল জানেন, যুবলীগে সম্রাটের প্রভাবের কথা। তাই যুবলীগের নতুন কমিটি ‘সম্রাট মুক্ত’ করতে চান তারা। কিন্তু সম্রাট অনুসারীরা প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগ এবং সম্রাটের প্রতি সমর্থন জানায়। কর্মী বিবেচনায় যুবলীগের চাবি এখনও সম্রাটের হাতেই বলে মনে করেন অনেকেই।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।