ইনসাইড পলিটিক্স

আবার সুশীলদের রাজনৈতিক দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

 

বাংলাদেশের সুশীল সমাজ বিভিন্ন সময়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। কখনো অনির্বাচিত সরকারের মদদ দিয়ে, কখনো নিজেরাই রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে, কিন্তু বরাবরই তারা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ পঁচাত্তরের পর থেকেই বিভিন্ন অরাজনৈতিক এবং সামরিক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, তাদেরকে মদদ দিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশ বিরাজনীতিকরণের বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে।

আবার এই প্রেক্ষাপটে এই সুশীল সমাজই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করেছে। বিশেষ করে, দুর্নীতি, সুশাসন ইত্যাদি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাজনৈতিক সরকারকে বিতাড়িত করার প্রয়াস পেয়েছে। অথচ তারাই সামরিক সরকারের দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেনি। বাংলাদেশের সুশীলরা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল গঠনেরও চেষ্টা করেছেন।

তবে তাদের সবচেয়ে বড় উদ্যোগটি ছিল ২০০৬ সালে। এই সময়ে ড. মোহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরপরই রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। এই রাজনৈতিক দল গঠনই ছিল পরবর্তীতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিকল্প হিসেবে রাজনীতিতে একটি তৃতীয় শক্তির উন্মেষ ঘটানোর প্রয়াস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার প্রকল্প থেকে সরে আসে। কারণ জনগণ তার ডাকে সাড়া দেয়নি।

এরপর আমরা দেখি ১/১১ এর সময়ে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে কিংস পার্টি গঠিত হয়। এর পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল আমাদের সুশীলরা। সাম্প্রতিক সময়ে আবার একটি নতুন রাজনৈতিক দলের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে এবং নীরবে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেছেন যে, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিচ্ছেন। তবে নুর রাজনৈতিক দলের কেবল একটা মানুষ মাত্র এর পেছনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ রয়েছে, যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে রাজনৈতিক একটি তৃতীয় ধারা তৈরি করতে চান।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে, নতুন রাজনৈতিক দলটি কেবল নুর বা ড. জাফরুল্লাহ নয়, আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে একটি নতুন খিচুড়ি তৈরির চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক দলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ কে এই দলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে শেষ পর্যন্ত তিনি থাকবেন কি না- তা নিশ্চিত নয়। বিএনপি নেতা মেজর অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল হাফিজ কেও এই দলে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, কর্নেল অলি আহমেদকে এই দলে রাখার জন্য কথা বলা হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে যারা মুক্ত চিন্তা করেন এবং যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপির মুল নেতৃত্বের সঙ্গে অস্বস্তি প্রকাশ করেন তাদেরকে দিয়েই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের মেরুকরণের চেষ্টা করছে। তবে এই উদ্যোগ শেষপর্যন্ত সফল হবে কি না- তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। আর এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপট তৈরির জন্যই সাম্প্রতিক সময়ে গনস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ এবং ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুর মধ্যবর্তী নির্বাচন সহ নানা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখছেন।

একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বেশ কিছু নেতা এখন দলের নেতৃত্ব নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন। বিএনপিকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপার নিয়েও বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশ্নেও বিএনপির মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দের কারণে ভোটাররা বিএনপির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে অনেকেই মনে করেন।

সেজন্য বিএনপির একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন। জামাত থেকে যে দলটি বেরিয়ে গেছে তাদের সঙ্গেও নুরের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকেও এই দলে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি, যারা বড় রাজনৈতিক দলের নেতা নন, কিন্তু এককভাবে আলোচিত এ রকম কয়েকজনকে নতুন রাজনৈতিক দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে সুশীলরা রাজনৈতিক দল করে রাজনীতিতে ‘তৃতীয় ধারা’র সৃষ্টির চেষ্টা করেন। প্রতিবারই তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন। এবার তাদের পরিণতি কি হয়- সেটাই দেখার বিষয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন